যারা বলেন- দেশে মাদরাসার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতো মাদরাসা দিয়ে কী হবে ইত্যাদি! তাদের বলে দেয়া হোক- যে হারে গুনাহ বৃদ্ধি পেয়েছে সে হারে মাদরাসা বৃদ্ধি পায় নি। তাদের আরও বলে দেয়া হোক- মাদরাসা বেড়ে গেলে তাদের সমস্যা হবে কেন? গুনাহ বেড়ে গেলে তারা সমস্যা বা আপত্তির কথা তোলেন না কেন? তাহলে তাদের কাছে কি গুনাহর পরিবেশের চেয়ে মাদরাসা বেড়ে যাওয়ার পরিবেশ আপত্তিকর? এগুলোর চেয়ে কি সমাজিক অবক্ষয় বড় আপত্তিকর নয়? এগুলোর চেয়ে কি খুন-দর্শন বড় আপত্তিকর নয়? এগুলোর চেয়ে কি পাপাচার বেশি আপত্তিকর নয়?
যে আপত্তিগুলো তাসলিমা, ইমরান, শাহরিয়ার আর জাফর গংরা তোলার কথা সেগুলো আমাদের মুখে উচ্চারিত হবে কেন? আমরা তো স্কুল-কলেজ বেড়ে যাওয়ার অভিযোগ করি না। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো ভাবেও যদি অভিযোগ করা হতো; তবে প্রথমে জাফরেরা মিডিয়ায় আমাদের বিরুদ্ধে যা যা করার তা তা করে ছাড়তেন। এমনকি জঙ্গী-মৌলবাদীর তকমা লাগিয়ে দিতেও কুণ্ঠবোধ করতেন না। কিছুটা ডানপন্থি অথবা একেবারেই বামপন্থিরা এগুলো যুগ যুগ ধরে বলে আসছে। তাই বলে আমরাও…!
বড় আশ্চর্যের ব্যাপার হলো এখন ঘরের লোকেরা মাদরাসা বেড়ে যাওয়ার অভিযোগ করে থাকেন। অথচ পাড়ায়-পাড়ায় ঘরে-ঘরে এমনকি হাতে-হাতে টেলিভিশন আর লাগামহীন ফিল্ম এর আধিক্য দেখে বলা হয় না- টেলিভিশন, ফিল্ম খুব বেড়ে গেছে ইত্যাদি, চাই সেটা মানসম্মত হোক বা না হোক। কিন্তু মাদরাসা বৃদ্ধির কথা তুলে মানসম্মত হওয়া না হওয়ার প্রশ্ন ঠিকই তোলা হচ্ছে। আমিও বলি- মানসম্মত হওয়া দরকার; তবে মানসম্মত না হলেও সেখানে গুনাহ বা গুনাহর পরিবেশ তো হয় না। তাই বলে কি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা বন্ধ করে দেয়া হবে?
এসব কথা বলে মাদরাসা কায়েম করার চিন্তা-চেতনা নষ্ট করে দেয়ার কোনো মানে হয় না। এগুলো কারা কোন মতলবে কেন করছে? এক কথায় সামাজিক অবক্ষয়, খুন-দর্শন ও পাপ প্রতিরোধে দীনি মাদরাসার কোনো বিকল্প নেই। এ সকল মাদরাসা যুগে যুগে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছে বলে এগুলো বৃদ্ধির অভিযোগ তোলা হচ্ছে। হতাশার কথা হলো- এ আপত্তি এখন আমাদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে। আর যাই কিছু হোক অন্তত আমাদের জবান যেন আমাদের দীনি মারকায গড়ার চেতনাগুলো ভেঙ্গে না দেয়! আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।_
Leave Your Comments