যুব আলেমদের সাথে ইসলামি যুব আন্দোলনের মতবিনিময় ;(ব্যক্তিগত) অনূভুতি ও প্রস্তাবনা-
————————–
বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য,ধর্মীয় মূল্যবোধ ও মানুষের আবেগের দিক বিবেচনায় ইসলামি দলগুলোই ক্ষমতায় থাকার কথা। কিন্তু দুঃখজনকভাবে তা হয়ে উঠছেনা। এর বড় একটা কারণ ইসলামপন্থীদের মাঝে অনৈক্য- দূরত্ব এবং ভুল বুঝাবুঝি। যা দুর সময়ের সেরা দাবী।
গতকাল বি এম মিলনায়তনে ইসলামি যুব আন্দোলনের উদ্যোগে যুব আলেমদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। আয়োজনটি খুবই সময় উপযোগী ও দরকারী। এ ধরনের আয়োজন আরও বেশি বেশি হওয়া দরকার।
প্রস্তাবনা-
(১) ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা। এ লক্ষ্যে ১০/১৫ জনের একটি টিম গঠন করা। ঐক্য প্রক্রিয়ার পথ ও পদ্ধতির উপর(কেন করবো, কিভাবে করবো) সুনির্দিষ্ট পয়েন্ট উল্লেখ করে সমমনা ইসলামি দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা।
(২) অন্যান্য সংগঠনের সাথে সম্পর্কবৃদ্ধি করা। এক্ষেত্রে চা চক্র,গোলটেবিল বৈঠক এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে মাঝে মাঝে বসা।
(৩) বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ বাড়ানো। এক্ষেত্রে মিডিয়ার সুস্থ ব্যবহারের প্রতি অধিক গুরুত্বারোপ করা এবং কাজ বাড়ানো। অন্তত গঠনমূলক ও গোছানোভাবে অনলাইন -অফলাইন প্রচারণা বৃদ্ধি করা।
(৪) অহেতুক বিতর্কে জড়িয়ে না পড়া।
(৫) শীর্ষ নেতৃবৃন্দ مختلف فیه ও مجتهد فیه (মতবিরোধ পূর্ণ বিষয়) আলোচনা করা থেকে দূরে থাকা সম্ভব হলে বিরত থাকা। এ কাজের জন্য আলাদা টিম গঠন করে তাদের মাধ্যমে কাজ করা।
(৬) ইসলামি আন্দোলনের রাজনৈতিক যে বিষয়গুলো নিয়ে চরম বিতর্ক ও বিভ্রান্তি আছে(দালালী ও একলা চলা পদ্ধতির উপর)। ওইসব খোলামেলা আলোচনা করা। জাতির সামনে শীর্ষ কেউ ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ তুলে ধরা।
(৭) চরমোনাই’র তাসাউফ কেন্দ্রিক চালুকৃত বিভিন্ন আমল এবং বিভিন্ন বইয়ের যেসব অভিযোগ আরোপ করা হচ্ছে সেগুলোকে পুনঃ বিবেচনায় নেওয়া এবং দেশের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান থেকে মতামত গ্রহণ করে তা ছড়িয়ে দেয়া।
গতকালের আয়োজনে বিভিন্ন দল-মত ও পথের ভাইদের উপস্থিতি আমাকে চরম আশাবাদী করে তুলেছে।
ভালো লেগেছে অনুষ্ঠানের মধ্যমনি মুফতি ফয়জুল করিম সাহেবের অমায়িক আচরণ। সবাইকে কাছে টানার যে ঈর্ষনীয় কারিগর তিনি তা আবার জানান দিলেন নিজের মত করে। স্ব হাস্য সালাম মুসাফাহার পাশাপাশি কপালে চুমু দিয়ে যেন নিজের অবস্থান আরও পাকাপোক্ত করে নিলেন।
সবার জন্য শুভকামনা।
Leave Your Comments