নাস্তিকদের অভিযোগ খণ্ডন – ১; “তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের শস্যক্ষেত্র” – এই আয়াতের মাধ্যমে ইসলাম কি নারীকে ছোট করেছে? (১ম পর্ব)

.
#তোমাদের_স্ত্রীগণ_তোমাদের_শস্যক্ষেত্র (সূরা বাকারাহঃ ২২৩) এই আয়াতের মাধ্যমে ইসলাম কি নারীকে ছোট করেছে? (প্রথম পর্ব)
.
ছোটবেলা থেকেই যখন নাস্তিকদের বিভিন্ন ধরণের লিখনী পড়তাম, দেখতাম যে তারা বেশীরভাগই এই আয়াতটিকে ইসলামের বিরুদ্ধে তাদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতো। ডঃ আজাদও সেটার ব্যতিক্রম করেন নি। ইসলাম সম্পর্কে অন্যান্য নাস্তিকদের তুলনায় তারও জ্ঞান সীমিত মাত্রায় থাকার কারণে তিনিও এই আয়াতটির মর্মার্থ ভালোভাবে অনুধাবন করতে পারেন নি। ড. আজাদ সুরা বাকারার এই আয়াতের দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেনঃ
.
“সব ধর্মেই নারী অশুভ, দূষিত, কামদানবী। নারীর কাজ নিষ্পাপ স্বর্গীয় পুরুষদের পাপবিদ্ধ করা; এবং সব ধর্মেই নারী সম্পূর্ণ মানুষ। নারী কামকূপ,তবে সব ধর্মই নির্দেশ দিয়েছে যে নারী নিজে কাম উপভোগ করবে না, রেখে দেবে পুরুষের জন্যে; সে নিজের রন্ধ্রটি একটি অক্ষত টাটকা সতীচ্ছেদে মুড়ে তুলে দেবে পুরুষের হাতে। পুরুষ সেটি ইচ্ছামত ভোগ করবে, নিজের জমি যেভাবে ইচ্ছা চষে বেড়াবে। ইসলাম নারী সম্পর্কে এই ধারণাই পোষণ করে”। (হুমায়ুন আজাদ, নারী, পৃষ্ঠাঃ ৮২; আগামী প্রকাশনী, ৩য় সংস্করণ, ষষ্ঠদশ মূদ্রণ, মে ২০০৯)
.
ড. আজাদের উত্থাপিত অযৌক্তিক অভিযোগটির জবাব দেয়ার পূর্বে চলুন কোরআন কারীমের এই আয়াতটি প্রকৃতপক্ষে কি বলছে তা জেনে নেয়া যাক। মহান আল্লাহ বলেনঃ
.
“তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্যক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর। আর নিজেদের জন্য আগামী দিনের ব্যবস্থা কর এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাক। আর নিশ্চিতভাবে জেনে রাখ যে, আল্লাহর সাথে তোমাদেরকে সাক্ষাত করতেই হবে। আর যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে সুসংবাদ জানিয়ে দাও”। (সূরা বাকারাহঃ ২২৩ আয়াত)।
.
যাই হোক আয়াতটি শুনেই আপনার মনে ড. আজাদের মত হয়ত প্রশ্ন জাগতে পারে যে, (১) স্রষ্টা কেন নারীদেরকে শস্যক্ষেত্রের সাথে তুলনা করলেন?
.
(২) আর কেনই বা পুরুষকে যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার করার সুযোগ করে দেয়া হল?
.
তাহলে এই আয়াত কি নারীদের বিরুদ্ধে পুরুষকে স্বেচ্ছাচারী হতে উৎসাহিত করল?
.
আপনার এই প্রশ্ন দুটি একটু মনে রাখুন।
.
১ নং প্রশ্নের জবাব দেয়ার পূর্বে আমরা আয়াতটিকে একটু ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করি। আয়াতটি যদি আমরা একটু ভাগ ভাগ করে নেই তাহলে বিষয়টি বুঝা আমাদের জন্য সহজতর হবে।
.
আয়াতে প্রথমে বলা হয়েছে,
“তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র”।
.
এরপর বলা হয়েছে,
.
“অতএব তোমরা তোমাদের শস্যক্ষেত্রে যেভাবে ইচ্ছা গমন করতে পার”।
এবং আয়াতটির শেষাংশে বলা হয়েছে,
.
“আর নিজেদের জন্য আগামী দিনের ব্যবস্থা কর এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাক। আর নিশ্চিতভাবে জেনে রাখ যে, আল্লাহর সাথে তোমাদেরকে সাক্ষাত করতেই হবে। আর যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে সুসংবাদ জানিয়ে দাও”।
.
যাই হোক আয়াতটির প্রথম অংশ নিয়ে আমরা আগে আলোকপাত করি। ২২৩ নং আয়াতের প্রথমাংশে মহান আল্লাহ নারীদেরকে শস্যক্ষেত্রের সাথে তুলনা করেছেন।
.
কেন এমন করা হল?
.
কেন নারীদেরকে শস্যক্ষেত্রের সাথে তুলনা করা হল?
আসুন এর জবাবটাও কোরআন থেকেই নেই। কোরআন আমাদেরকে বলছেঃ
.
“নিশ্চয় আমি এ কোরআনে মানুষকে নানাভাবে বিভিন্ন উপমার দ্বারা আমার বাণী বুঝিয়েছি। মানুষ সব বস্তু থেকে অধিক তর্কপ্রিয়”। (সূরা কাহাফঃ ৫৪ আয়াত)
.
সূরা কাহাফের এই আয়াত থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, মহান আল্লাহ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উপমা ব্যবহার করে তার বাণীকে মানুষের সামনে সহজবোধ্য করে উপস্থাপন করেছেন, যাতে মানুষ তার সঠিক অর্থ অনুধাবন করতে সক্ষম হয়। আর তাই এই আয়াতে নারীদেরকে তুলনা করা হয়েছে শস্যক্ষেত্রের সাথে। অর্থাৎ এই আয়াত আমাদের সামনে জীববিজ্ঞানের একটি জটিল শাখাকে উপমার দ্বারা সহজতর ভাবে উপস্থাপন করছে যাতে আমরা ব্যাপারটি বুঝতে পারি।
.
আসুন বিষয়টিকে আমরা আরেকটু ব্যাখ্যা করি।
.
আপনি হয়ত ভ্রুণবিদ্যা (Embryology) সম্পর্কে জেনে থাকবেন। ভ্রুণবিদ্যা হল জীববিজ্ঞানের একটি শাখা যেখানে মানব শিশু জন্মের ক্রমবিকাশ নিয়ে আলোকপাত করা হয়। ভ্রুণবিদ্যা আমাদেরকে বলছে, সন্তান উৎপাদনে একমাত্র সক্ষম দেহ হলো নারীদেহ। পুরুষের পক্ষে এটি অসম্ভব যে, সে তার গর্ভে সন্তান ধারণ করবে। সন্তান ধারণের জন্য প্রাকৃতিকভাবেই একমাত্র সক্ষম দেহ হলো নারীদেহ। আর সন্তান উৎপাদনের ক্ষেত্রে বীজ হিসেবে সহায়ক ভূমিকা পালন করে পুরুষের দেহ থেকে নিঃসৃত শুক্রানু (Sperm)। পুরুষ ও নারীর যৌনমিলনের মাধ্যমে স্খলিত শুক্রাণু নারীদেহে স্থানান্তর লাভ করে। এর পর শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলন ঘটে যাকে নিষেক বলে। এই নিষিক্ত শুক্রাণু ও ডিম্বানোর মাধ্যমে নারীদেহে এক নতুন জীবনের সূচনা ঘটে। শুক্রাণু ও ডিম্বানো নিষিক্ত হওয়া থেকে শুরু করে একটি মানব শিশু জন্ম নেয়া পর্যন্ত তাকে অনেকটি জটিল ধাপ অতিক্রম করতে হয়, যা নীচে অতি সংক্ষেপে উপস্থাপন করা হলোঃ
.
(1)Fertilization: প্রাথমিক পর্যায়ে নারী ও পুরুষের যৌনমিলনের মাধ্যমে পুরুষের দেহ হতে শুক্রাণু নারীদেহে পৌছায়। পুরুষের দেহ থেকে প্রায় একই সাথে ২০০-৩০০ মিলিয়ন শুক্রকীট (spermatozoa) নিঃসৃত হয়। তার মধ্যে প্রায় ৩০০-৫০০ মিলিয়ন নিষেকের (fertilization) জন্য ডিম্বানুর নিকটে গিয়ে পৌছায়। কিন্তু শুধুমাত্র একটি পরিপক্ক শুক্রকীটের দরকার হয় স্ত্রীর ডিম্বানু (ovum) নিষিক্ত হওয়ার জন্য। এই একটি শুক্রকীটকে ডিম্বানুর সাথে নিষিক্ত হওয়ার জন্য তিনিটি পর্দাকে ভেদ (penetrate) করতে হয়। পর্দা তিনটি হলোঃ
.
i) Corona radiate
ii) Zona pellucida
iii) Oocyte cell membrane.
.
এভাবে তিনটি পর্দা ভেদ করার পর শুক্রাণুটি ডিম্বানোর সাথে মিলিত হয় এবং ডিম্বানুটি পুরুষের শুক্রানোর দ্বারা নিষিক্ত হয়। নিষিক্ত শুক্রাণু ও ডিম্বাণু থেকে ভ্রূণের (zygote) সূচনা হয়। নিষেকের পরে ডিম্বানু তার মিয়োসিস (Meiosis) কোষ বিভাজন সম্পন্ন করে। ২৩ ক্রোমসোম (Chromosome) বিশিষ্ট ডিম্বানু ও ২৩ ক্রোমসোম বিশিষ্ট শুক্রাণু নিষিক্ত হয়ে ৪৬ টি ক্রোমোসোমের সৃষ্টি করে। এর পর শুরু হয় প্রি-এম্ব্রায়োনিক পিরিয়ড (Preembryonic period)।
.
(2) Preembryonic period:
.
(a) Cleavage: ১ম ক্লিভেজ (cleavage) ঘটে নিষেকের ৩০ ঘণ্টা পর। মিয়োটিক কোষ বিভাজন ৩ দিন ধরে অনবরত চলতে থাকে। নিষিক্ত কোষ ক্রমান্বয়ে ছোট ছোট হয়ে বিভাজিত হতে শুরু করে। প্রতিটি বিভাজিত কোষকে blastomere বলে।
.
(b) Morula: ৭২ ঘণ্টা পর নিষিক্ত ডিম্বাণু জরায়ুতে (Uterus) প্রবেশ করে। একে মরুলা বলা হয়।
.
(c) Blastocyst: মরুলা ৪-৫ দিন যাবত অনবরত বিভাজিত হতে থাকে। যা পর্যায়ক্রমে ১০০ তে গিয়ে পৌছায়, এদের blastocyst বলে। Blastocyst অনান্তরিক (hollow) এবং তরল পদার্থ দ্বারা পূর্ণ থাকে। এর প্রাচীরগাত্রকে বলা হয় ট্রফোব্লাস্ট (Trophoblast) যা প্লাসেন্টা তৈরিতে সাহায্য করে।
.
(d) Implantation: নিষেকের ১০ দিন পর blastocyst এন্ডোমেট্রিয়াম এর ভিতরে প্রোথিত হতে শুরু করে। এটি ১ সপ্তাহ ধরে চলতে থাকে।
.
(e) Primitive Streak: যখন মানব ভ্রূনের বৃদ্ধির বয়স ১৫-১৬ দিন হয় তখন এই ধাপ শুরু হয়। ২য় সপ্তাহের শেষের দিকে এসে hypoblastic কোষগুলো পুচ্ছ সংবন্ধীয় অঞ্চলে চলে আসে এবং একটি লম্বা অনচ্ছতা (opacity) সৃষ্টি করে একেই Primitive Streak বলা হয়। এর পর এ থেকে তিনটি কোষের স্তর সৃষ্টি হয়, যা ectoderm, mesoderm, endoderm নামে পরিচিত। Ectoderm থেকে চামড়া ও স্নায়ু তন্ত্র তৈরি হয়। Mesoderm থেকে কঙ্কাল তন্ত্র, পেশী, রক্ত সংবহনতন্ত্র, মুত্রতন্ত্র, এবং প্রজননতন্ত্র তৈরি হয়। Endoderm থেকে পরিপাকতন্ত্র, শ্বসনতন্ত্র, প্রজননতন্ত্রের কিছু অংশ তৈরি হয়।
.
(3) Embryonic Stages:
এটি ১৬ দিন বয়সে শুরু হয়। এটি আবার কয়েকটি ধাপে বিভক্ত।
(a) Neurula: স্নায়ুতন্ত্র ভ্রূণের বৃদ্ধির সহায়তাকারী অন্যতম প্রধান তন্ত্র। এই ধাপে এসে মস্তিষ্ক তৈরি হয় সেই সাথে spinal cord ও রক্ত সংবহনতন্ত্র তৈরি হয়। একটি সরল হৃদপিণ্ড এ সময়ে রক্ত প্রবাহের সৃষ্টি করে, যা ভ্রূণকে বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবারোহ করে।
.
(b) Embryonic Membrane: এই ধাপে এসে ভ্রুণের চারপাশে ভ্রুণীয় মেমব্রেন তৈরি হয়। যেমনঃ amnion (bag of waters), chornion (it becomes principal part of the placenta) ।
.
(c) Tailbud: এটি ৫ সপ্তাহ বয়সে শুরু হয়। এই সময়ে ভ্রূণের আকার একটি এসপিরিন ট্যাবলেটের মত হয়। এই ধাপকেই tailbud বলা হয়।
.
(d) Metamorphosis: এটি ৬ সপ্তাহে শুরু হয় এবং কমপক্ষে ২ সপ্তাহ ধরে চলতে থাকে। এই ধাপে এসে অংগুলি সহ দুই হাত,পা তৈরি হয়। ইন্দ্রিয়তন্ত্র এ সময়ে গঠিত হয়। চোখে পিগমেন্ট লেয়ার চলে আসে।
.
(4) Fetal Stages:
ফিটাস সব ধরণের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ধারণ করে। এই পর্যায়ে এসে মা ও সন্তানের মধ্যে সব ধরণের সংবহন শুরু হয়, ফিটাস মাতৃদেহ হতে তার প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ও পুষ্টিলাভ করে। ২য় মাসে এসে কোমলাস্থি গুলো ক্রমান্বয়ে শক্ত হতে থাকে। ৩য় মাসে এসে ফিটাসে হাতের ও পায়ের আঙ্গুলে নখর তৈরি হয় এবং চুল গজায়। বৃক্ক সচল হতে শুরু করে এবং তার বিভিন্ন কার্যাবলী শুরু করে। এই ধাপে এসে বাচ্চা তার মুখ খুলতে পারে। চতুর্থ মাসে এসে বাচ্চার দ্রুত বৃদ্ধি ঘটতে শুরু করে। বাচ্চা জরায়ুতে নাড়াচাড়া শুরু করে দেয়। পঞ্চম মাসে এসে বাচ্চা মায়ের পেটে লাথি দিতে সক্ষম হয়। এই ধাপে বাচ্চা তার আংগুল নাড়াচাড়া শুরু করে, হেঁচকি প্রদান করে এবং ঘুমাতে পারে। ছয় মাস বয়সে এসে তার শরীরে তৈলাক্ত গ্রন্থির উৎপত্তি ঘটে। সাত মাস বয়সে এসে বাচ্চা তার শরীরের তাপমাত্রা, বৃদ্ধি, গ্রাস ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সেই সাথে তার মস্তিষ্ক বৃদ্ধি ঘটে। অষ্টম মাসে এসে তার চোখ আলো বুঝতে পারে, ঘ্রাণ নিতে পারে কিন্তু তার কানের স্নায়ু পরিপূর্ণভাবে তখনো বেড়ে উঠে না। নবম মাসে এসে ফিটাসের বৃদ্ধি পরিপূর্ণভাবে শেষ হয়ে যায়। বাচ্চাটি তখন নতুন পৃথিবীতে আসার উপযোগীতা অর্জন করে। এই বয়সে সে তার মায়ের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করে। আর দশম মাসে এসে সে নতুন পৃথিবীতে তার এক নতুন জীবনের যাত্রা শুরু করে।
.
{T.W Sadler, Lungman’s Medical Embryology, (Lippincott Williams & Wilkins, A Wolters Kluwer Company, New York, 9th edition), R.G Harrison, A Textbook of Human Embryology (Blackwell Scientific Publications, First published, 1963), Rani Kumar, Textbook of Human Embryology, (International Publishing House, New Delhi, India, 2008)}.
.
উপর্যুক্ত আলোচনা আমাদেরকে একথা বুঝতে সহায়তা করে যে, একটি শিশু তার ভ্রুণাবস্থা থেকে বেড়ে উঠার সবগুলো ধাপই তার মায়ের দেহে সম্পন্ন করে এমনকি এ সময়ে তার জন্য যে পুষ্টির দরকার হয় সেটাও সে তার মায়ের দেহ থেকে লাভ করে।
.
এখন একটু শস্যক্ষেত্রের কথা চিন্তা করুন তো!
শস্যক্ষেত্রে ফসলের বীজ বপণ করা হয়, বীজ শস্যক্ষেত্র থেকে পুষ্টিলাভ করে বিকশিত হয় এবং পরিপক্ষতা লাভ করে।
.
এখন আপনিই বলুন সন্তান উৎপাদনে সক্ষম একমাত্র নারীদের দেহকে যদি শস্যক্ষেত্র বলা হয় তাহলে কি তা ভুল? কেননা উপরের জটিল প্রক্রিয়াগুলোর একটিও পুরুষের দেহে ঘটে না বরং সবগুলোই নারীদের দেহে ঘটে।
.
তাহলে সন্তান উৎপাদনে সক্ষম নারীদেহকে যদি ইসলাম সহজবোধ্যভাবে উপস্থাপনের জন্য শস্যক্ষেত্রের সাথে তুলনা করে তাহলে সেটা অবশ্যই যৌক্তিক এবং বৈজ্ঞানিক।
.
(ইনশাআল্লাহ চলবে……………………)
.
লেখকঃ জাকারিয়া মাসুদ

Leave Your Comments

Your email address will not be published. Required fields are marked *