প্রশ্নঃ- ইকামতের সময় কখন দাঁড়াবে? শুরুতে নাকি হাইয়া আলাস- সালাহ বলার সময়। জামে মসজিদের এক ইমাম বলেন ইকামতের সময় মুসল্লীগন বসে থাকবে। এবং হাইয়া আলাস সালাহ বলার সাথে সাথে উঠতে হবে। এই পদ্ধতী পালন না করলে গুনাহগার হবে। সঠিক সমাধান জানিয়ে উপকৃত করবেন।

উত্তরঃ- ইকামতের সময় মুসল্লীদের জন্য দাঁড়ানোর তিনটি পদ্ধতি রয়েছে। ( যা মুস্তাহাব তথা নফল )

১/ ইমাম যদি পূর্ব থেকেই মেহরাবের নিকট অবস্থান করেন তাহলে হাইয়া আলাস সলাহ বলার সময় ইমাম ও মুসল্লীগন দাঁড়াবে।

২/ ইমাম যদি মসজিদের পিছন দিক থেকে প্রবেশ করেন তাহলে তিনি যে কাতার অতিক্রম করবেন সে কাতারের মুসল্লিগন দাড়িয়ে যাবে।

৩/ ইমাম যদি মসজিদের সামনের দিক থেকে প্রবেশ করেন তাহলে মুসল্লীগন তাকে দেখা মাত্রই দাড়িয়ে যাবে।

 

তবে বর্তমানে সর্ব সাধারণের অসতর্কতা ও অমনযোগিতার কারণে ১ম সূরতের উপর আমল করতে গেলে কাতার সোজা করার মত ওয়াজিব আমল আদায় করা সম্ভব হবে না। বরং অনেক ক্ষেত্রে ইকামতের শুরুতে দাড়িয়েও কাতার সোজা করা হয় না। আর  নফল আদায় করতে  গিয়ে ওয়াজিব তরক হলে নফল তরক করে ওয়াজিব আদায় করতে হয়। তাই বর্তমানে কাতার সোজা করার জন্য ইকামতের শুরুতেই দাড়িয়ে যাওয়া জরুরী।

সর্বোপরি নফল এমন আমলের অন্তর্ভূক্ত যা আদায় করলে সাওয়াব আছে, ছেড়ে দিলে গুনাহ বা তিরস্কারের উপযুক্ত হয় না। তদুপরি নফল যদি শরীয়তের কোন বিশেষ প্রয়োজনে ছেড়ে দেয়া হয়, তাহলে গুনাহর কোন সম্ভাবনাও নেই।

 

তাই জামে মসজিদের ইমামের উক্তি  ( ইকামতের সময় মুসল্লীগন বসে থাকবে, এবং হাইয়া আলাস সলাহ বলার সময় দাড়াবে। এ পদ্ধতি পালন না করলে গুনাহগার হবে।) শরীয়তের ব্যাপারে বাড়াবাড়ির অন্তর্ভূক্ত।

তাই ইমাম সাহেবের কথা সঠিক নয়। এবং তার উক্ত কথার উপর আমল করা যাবে না।

 

– সহীহ মুসলীমঃ- ১/২২০, সহীহুল বুখারীঃ- ১/১০০, আদ দুররুল মুখতার বিহামিশি রদ্দিল মুহতারঃ-১/৪৭৯,

Leave Your Comments

Your email address will not be published. Required fields are marked *