প্রশ্নঃ-এক বৃদ্ধলোক অসুস্থতার কারণে রমজান মাসে কিছু রোজা রাখতে সক্ষম হয়নি,এখন তার করনীয় কি?

উত্তরঃ-বার্ধক্যের দূর্বলতার কারণে রোজা রাখতে অসামর্থ্য  হলে রোজা না রাখার অনুমতি রয়েছে। তবে সুস্থ হওয়ার পরে অনাদায় রোজাগুলোর কাযা করা জরুরী। আর যদি সুস্থ না হয় তাহলে প্রতি রোযার জন্য একটি করে ফিদয়া দিবে।

সুতরাং, প্রশ্নোক্ত ব্যক্তির সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে অপেক্ষা করবে এবং সুস্থ হওয়ার পর রোজাগুলো ক্বাজা করবে। তবে যদি সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলে তাহলে ফিদিয়া দিয়ে দিবে।

দলিলঃ-

أَيَّامًا مَّعْدُودَٰتٍۢ ۚ فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضًا أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍۢ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَ ۚ وَعَلَى ٱلَّذِينَ يُطِيقُونَهُۥ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍۢ ۖ فَمَن تَطَوَّعَ خَيْرًا فَهُوَ خَيْرٌ لَّهُۥ ۚ وَأَن تَصُومُواْ خَيْرٌ لَّكُمْ ۖ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ.(القرآن الكريم:سورة البقرة/رقم الآية:١٨٤)

فصل في العوارض المبيحة لعدم الصوم:…(منها) أو مريض خاف الزيادة المرضه وصحيح خاف المرض..وقضوا لزومًا……والشيخ الفاني العاجز عن الصومالفطر ويفدي وجوباً.(الدر المختار:٤٢١/١<سعيد>)

الاعذار التي تبيح الإفطار: منها المرض اذا خاف على نفسهالتلف، أو ذهاب عضو،يفطر بالإجماع وعليه القضاء.ومنها كبر السن:فالشيخ الفاني الذي لا يقدرعلى الصيام يفطر ويطعم لكل يومٍمسكيناً.(الفتاوى الهندية:٢٦٩/١ <اتّحاد>)

 سوال : ایک شخص رمضان شریف میں مریض تھا بعض دن روزہ رکھتا تھا بعض دن افطار کرتا تھا اتفاقا ایک روز روزہ کی نیت کي، پھر بعد نماز صبح افطار کر لیا تو اس صورہ میں قضاء واجب ہے  ياکفارہ ؟

الجواب : اس صورت میں اس روزہ کی قضاء واجب ہو گی کفارہ واجب نہیں۔ کیونکہ وہ پہلے سے مریض تھا لہذا اس کو افطار کرنا جائز تھا.(فتاوى دار العلوم ديوبند:٤٢٥/٦ <زكريا>)

আরো দেখুনঃ-

ফাতওয়া রহিমিয়্যা:৭/২৭০(যাকারিয়া),ফাতওয়া হক্কানিয়া:৪/১৯২(হক্কানিয়া),মাজমায়ুল আনহুর:১/৩৬৬(রশিদিয়া),আল-বাহরুর রায়েক:২/৪৯২(রশিদিয়া)

 

উত্তর প্রদানে:

মুফতি মুহাম্মাদ শামছুদ্দোহা আশরাফী দা.বা.

প্রিন্সিপাল ও প্রধান মুফতি:- জামিয়া ইসলামিয়া রওজাতুল উলুম বাউনিয়াবাদ, মিরপুর ১১, পল্লবী,ঢাকা ।

খতিব :-সাইন্স ল্যাবরেটরি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, ধানমন্ডি, ঢাকা।

Leave Your Comments

Your email address will not be published. Required fields are marked *