প্রশ্নঃ বর্তমানে বিভিন্ন দেশে খুনের ধরণ সনাক্ত করনে দীর্ঘদিন পরে রাষ্টীয় প্রয়োজনে কবর থেকে লাশ উত্তলন করা হয়। ইসলামী শরীয়তে এর হুকুম কি?
উত্তরঃমৃত্যুর কারন জানার জন্য সব -ব্যাবচ্ছেদের মাধ্যমে পরিক্ষা করাকে পোস্টমর্টেম বা ময়না তদন্ত বলে,বর্তমান বিশ্বে পোস্টমর্টেম যে প্রথা চালু রয়েছে অর্থাৎ মৃত্যুর কারণ জানার জন্য মৃত দেহ অস্ত্রোপচার করা হয়, শরীয়তের দৃষ্টিতে এ পোস্টমর্টেমের মাধ্যমে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা নিশ্চিত নয়,আর এর দারা মৃত্যুর কারণ জানা গেলেও তার উপর ভিত্তি করে কোন হুকুম প্রদান করা যায় না।যে পর্যন্ত সাক্ষী অথবা সুনিশ্চিত লক্ষন দারা ঘটনা উদঘাটন না হবে,সে পর্যন্ত কাউকে দোষারোপ করা যাবে না।যখন ময়নাতদন্তের উপর নির্ভর করে কাওকে দোষারোপ করা যায় না, তখন এ অনার্থক কাজের কোন বৈধতা হতে পারে না। দিতিয় এতে লাশের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করা হয়।আর শরীয়তে অসমর্থিত বিনা প্রয়োজনে লাশের অসম্মান করা হারাম।তবে যদি অন্যের জমিতে অনুমতী ছাড়া দাফন করে, তাহলে মালিক চাইলে লাশ তার জমীতে রাখতে পারে,আর না চাইলে লাশ উত্তলন করে দিতে পারে,যেমন উদাহরণ সরুপ কোন জমীতে লাশ কবর দিল আর অন্য কেউ এসে শুফা গ্রহণ করলো এমতো অবস্থায় সে চাইলে লাশ তার জমীতে রাখতে পারে, না চাইলে সে লাশ উঠিয়ে দিতে পারে।উল্লেখিত কারণ ছাড়া মৃত লাশ কবর থেকে উঠানো হারাম,কেননা এতে মানুষের অসম্মান করা হয়।সুতরাং প্রশ্নে বর্নিত সুরতে খুনের ধরন সনাক্ত করনে দীর্ঘদিন পরে রাষ্টীয় প্রয়োজনে কবর থেকে লাশ উত্তলন করা ইসলামি শরীয়তে বৈধ নয়।দলিলঃআবু দাউদ ২/৪৫৮।তিরমিজি ২/৫৭-৫৮ ইবনে মাজাহ ১১৬ দুররুল মুখতার ২/২৩৮ ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া ১/২২৮ ফাতাওয়ায়ে তাতার খানিয়া ৩/৮০ কিফায়াতুল মুফতী ৫/৫১৭ ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ ৫/৪০৩
Leave Your Comments