প্রশ্ন : আমি গত মুহাররমের দশ তারিখে ঘুম থেকে জাগ্রত হই ফজর নামায আদায় করার জন্য, কিন্তু তখন মুহাররমের রোযা রাখার কোন ইচ্ছা ছিল না। ফজরের নামায আদায় করে ঘুমিয়ে পড়ি, ঘুম থেকে উঠতে উঠতে প্রায় ১০ টা বেজে যায়। তখন আমার রোযা রাখার ইচ্ছা জাগে, সাথে সাথে নিয়ত করি। এখন জানার বিষয় হলো, আমার নিয়ত ধর্তব্য হয়েছে কি না? সাহরী না খাওয়ায় কোনো সমস্যা হবে কি না? – মুহাম্মদ রুকনুদ্দীন, বরিশাল।

উত্তর : রোযার সময় সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত। এ সময়ের অর্ধেক অতীত হওয়ার পূর্বেই নফল রোযার নিয়ত করলে নিয়ত সহীহ হবে। রোযাও আদায় হবে। ১০ই মুহাররমের রোযা নফল তাই আপনার উপর্যুক্ত নিয়ত সহীহ হয়েছে।

হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে দিনের বেলা নিয়ত করে রোযা রাখার নযীর রয়েছে। হযরত আয়েশা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-

“كان النبي -صلى الله عليه وسلم- إذا دخل على قال: “هل عندكم طعام؟ ” فإذا قلنا: لا، قال: “إني صائم”.

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো দিনের বেলা আমার নিকট এসে জিজ্ঞাসা করতেন, তোমার নিকট কি কোনো খাবার আছে? যদি আমরা বলতাম নেই, তখন তিনি বলতেন, আমি আজ রোযা রাখলাম”। (সুনানে আবী দাউদ, হাদীস নং-২৪৫৫) এই হাদীস থেকে স্পষ্ট বুঝা গেল যে, নফল রোযার জন্য দিনের বেলাও নিয়ত করা যথেষ্ট।

উল্লেখ্য, রোযার জন্য সাহরী খাওয়া জরুরি নয় বরং মুস্তাহাব। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো কখনো সাহরী না খেয়েই রোযা রাখতেন। হাদীসে বর্ণিত হয়েছে-

” أن النبي صلى الله عليه وسلم بعث رجلا ينادي في الناس يوم عاشوراء এরإن من أكل فليتم أو فليصم، ومن لم يأكل فلا يأكل.

“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশুরার দিন মানুষের মাঝে ঘোষণা করার জন্য এক ব্যক্তিকে পাঠালেন যে, যে ব্যক্তি সাহরী খেয়েছে সে যেন রোযা রাখে, আর যে ব্যক্তি সাহরী খায়নি সেও যেন রোযা রাখে” (সহীহ বুখারী- ১৯২৪)। (ফাতাওয়া তাতারখানিয়া- ৩/৩৬৭, বাদায়েউস সানায়ে- ২/৮৬, তাবয়ীনুল হাকায়েক- ১/৩১৩)।

Leave Your Comments

Your email address will not be published. Required fields are marked *