প্রশ্ন: কোন ব্যক্তির নিকট হজ ফরয হওয়া পরিমাণ সম্পদ রয়েছে কিন্তু তার চাইতে দ্বিগুণ ঋণ রয়েছে, তাহলে তার উপর হজ ফরজ হবে কি না?

উত্তর: শরিয়তের নিয়ম হল নিজের ব্যক্তিগত ও পরবিাররে একান্ত প্রয়োজন পূরণের পর অবশিষ্ট সম্পদ হজের নেসাব পরিমাণ হলে হজ ফরয হয়। ঋণ ব্যক্তিগত প্রয়োজনের অন্তর্ভুক্ত। যা বাদ দিয়ে নেসাবের হিসাব করতে হবে।


সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত ব্যক্তির যেহেতু ঋণ রয়েছে এবং তা তাঁর মালিকানায় থাকা সম্পদের চেয়ে দ্বিগুন! তাই তিনি নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক বিবেচিত হবেন না। ফলে তার উপর হজ আবশ্যক নয়।


-আল ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু ৩/৮৮, রদ্দুল মুহতার ৩/৫২৮, বাদায়েউস সানায়ে ৩/৪৫, মাসায়েলে রাফআত কাসেমী ৫/৪৫

উত্তর প্রদানে-মুফতী মুহা.শামছুদ্দোহা আশরাফী ,প্রিন্সিপাল ও প্রধান মুফতী-রওজাতুল উলুম মাদরাসা মিরপুর,খতীব-সাইন্সল্যাবরটেরী  কেন্দ্রীয় জামে মসজদি ধানমন্ডি ঢাকা।

Leave Your Comments

Your email address will not be published. Required fields are marked *