প্রশ্ন: কোন ব্যক্তি যদি এক দিরহামের চেয়ে বেশি পরিমাণ গোবর শরীরে বা কাপড়ে নিয়ে নামাজ আদায় করে তাহলে তার নামাজের হুকুম কি?

প্রশ্ন: কোন ব্যক্তি যদি এক দিরহামের চেয়ে বেশি পরিমাণ গোবর শরীরে বা কাপড়ে নিয়ে নামাজ আদায় করে তাহলে তার নামাজের হুকুম কি?

উত্তর: শরয়ী দৃষ্টিতে গোবর নাজাসাতে গালিজা, যা এক দিরহামের চেয়ে বেশি শরীর বা কাপড়ে লাগলে ধৌত করা জরুরী।

সূতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে এক দিরহামের চেয়ে বেশি গোবর শরীরে বা কাপড়ে লাগার কারণে তা ধৌত করা জরুরী , যদি ধৌত করা ব্যতিত উক্ত নাপাকী নিয়ে নামাজ আদায় করে তাহলে নামাজ সহীহ হবে না। পবিত্রতার সাথে পুণরায় নামাজ আদায় করতে হবে।
★ عن عبد الله قال خرج النبی لحاجته فقال التمس لي ثلاثة أحجار قال فأتيته بحجرين
وروثة فأخذ الحجرين و القي الروثة وقال انها رجس.
(سنن الترمذي ج١/ص١٠)

★واذا اصاب الثوب من الروث اومن اخثاء البقر اكثرمن قدر الدرهم لم تجز الصلوة فيه عند أبي حنيفه لأن النص الوارد في نجاسة وهو ما روى أنه عليه السلام رمى الروثة وقال هذا رجس او رکس ……. بهذا ثبت التغليظ عنده.
(الهداية ج١/ص٧٥)
★سوال : قمیص کی آسین پر چار پانچ چھٹیں گندے پانی يا اور کسی نجاست کی لگ گئیں، اور بھول کر اسی قمیص سے نماز پڑھ لی تو نماز ہوگی یا اعادہ واجب ہے ؟
جواب: اگر نجاست دلدار ہو جیسے گوبر وغیرہ تو چھینٹوں کے مجموعہ کاوزن بقدر ایک مثقال/ ٥ ماشہ ٨٦.٤ گرام ہو یا اس سے کم ہو تو نماز ہو جائے گی۔ پھیلاؤ میں خواہ کتنا ہی زیادہ ہو، اور اگر پتلي نجاست ہو مثلا نجس پانی يا پیشاب وغیرہ تو پھیلاؤ میں ہتھیلی کے گہراؤ کے برابر معاف ہے۔
(احسن الفتاوى ج٢/ص٨٩)

★سوال: حلال جانوار جن کا گوشت کھایا جاتا ہو ان کا پیشاب اور بول و براز نجاست خفیفہ ہے یا نجاست غلیظہ ؟ اور اگر یہ نجاست کپڑے کے ساتھ لگ جائے تو نماز کا کیا حکم ہے ؟

جواب : جن جانواروں کا گوشت حلال ہے تو ان کا پیشاب نجاست خفیفہ کے حکم میں ہے. البتہ گوہر نجاست غلیظہ ہے.
نجاست حفيفہ کا حکم یہ ہے کہ کپڑے (مثلاً آستین) کے ربع کے مقدار سے کم لگا ہو تو یہ مانع الصلوة نہیں اور زیادہ ہو تو مانع صلوۃ ہے جبکہ نجاست غلیظہ ایک درہم سے زاىٔد مانع صلوة ہے.
(فتاوى حقانية ج٢/ص٥٨٠)
আরো দেখুন:
★কানজুদ দাকায়িক পৃষ্টা নং:১৬ (ইসলামিয়া)
★আল-বাহরুর রায়েক ১/৩৯৫ (রশিদিয়া)
★বাদায়েয়ুস সানায়া ১/২২২ (দারুল হাদিস)
★খুলাসাতুল ফাতওয়া ১/৪৬ (রশিদিয়া)
★ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া ১/১০০ (ইত্তেহাদ)
★ফাতওয়ায়ে শামী ১/৫৭৭ (আজহার)

উত্তর লিখনে:
মুহা. মুজ্জাম্মিলুল হক সাঈদ
দারুল ইফতা ১৪৪৪ হি.
জামিয়া ইসলামিয়া রাওজাতুল উলুম বাউনিয়াবাদ.
মিরপুর-১১,পল্লবী,ঢাকা।
তত্তাবধানে:মুফতি শামসুদ্দোহা আশরাফী সাহেব দা.বা.

Leave Your Comments

Your email address will not be published. Required fields are marked *