মানুষ কি জন্মগতভাবে সমকামি হয়?

মানুষ কি জন্মগতভাবে সমকামি হয়?
======================
এবার ঈদে সমকামিতা নিয়ে নাটক বানানো হয়েছে। বেশ ক’ বছর থেকে হঠাৎ করেই আমাদের সমাজে সমকামিতার মত একটা জঘন্য অন্যায়কে জোর করে টেনে আনা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, সমকামিতা একটা ন্যাচারাল বিষয়, সমকামীদেরকে সমর্থন করতে হবে। এক অমুসলিম সমকামী লোকের লেখা পড়েছিলাম অনেক দিন আগে, সে সমকামিতা থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। তার লেখাটাই অনুবাদ করে দিলাম। তার সাথে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য থাকতে পারে, তবে “গে” হওয়া যে কোনো ন্যাচারাল বিষয় না, আর গে থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যায়, সেটাই এই লেখা থেকে শিক্ষা নেওয়ার বিষয়।

“আমার মনে হয়, আমি দুর্ঘটনাবশত “স্ট্রেইট” হয়ে গেছি। ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলি। আমি থেরাপি নিচ্ছিলাম। তবে স্ট্রেইট হতে চাই এমন কোন পরিকল্পনা থেকে সেটা নেওয়া হয়নি। আমার মাঝে কমিটমেন্ট রাখা নিয়ে কিছু সমস্যা ছিল, সেটা বদলাবার আশাতেই থেরাপির শরণাপন্ন হওয়া। যৌনতা পরিবর্তনের ইচ্ছা আমার কোনোকালেই হয়নি। অথচ শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়েছে! আমার সব কিছুই বদলে গেছে।
.
বিশ্বাসই হয় না, কয়েকশ’রও বেশি সমকামী পার্টনারের সাথে থাকার পর আমি কিনা বিয়ে করেছি একজন নারীকে! এমনকি আমাদের একটা সন্তানও আছে। সত্যি বলতে, আমার জীবনটাই পুরোপুরি বদলে গেছে। আগে খুব কোলাহল-প্রিয় ছিলাম। যেখানে যেতাম, সবার চেয়ে গলার স্বর উঁচু থাকত আমার। সবার সাথে গলাবাজি আর উদ্ধত আচরণ করতাম। নিজের ভেতরকার অনিশ্চয়তা লুকিয়ে রাখতে তটস্থ হয়ে থাকতাম, তাই হইচই করে বেড়াতাম, হট্টগোল আর দেমাক দেখিয়ে আমার নিরাপত্তাহীনতা চাপা দিতে চাইতাম। এখন আমার স্বভাব-চরিত্র একদম বদলে গেছে। তেজী, আশাবাদী একজন মানুষে পরিণত হয়েছি। যুদ্ধের মুভিগুলো দেখতে ভালো লাগে। ৪৬ বছর চলছে। এই ৪৬ বছরের মধ্যে নিজেকে নিয়ে এতটা খুশি আর কখনোই হই নি।
.
আমার কাহিনীর গভীরে যাওয়ার আগে শুরুটা বলি। শুরুটা হয়েছিল এভাবে –
তখন আমার বয়স দশ কি এগার। আমার এক ছেলে কাজিন একদিন আমাকে বলল সে নাকি গে। আর তখনই আমার মনে হল, আমার আকর্ষণও আসলে একই রকম। দশ-এগারো বছর বয়স থেকে ছেলেরা মেয়েদের ব্যাপারে কৌতূহলী হতে থাকে, কিন্তু আমার আগ্রহ ছিল ছেলেদের প্রতি।
.
আমার টিন-এইজ জীবনটা যেন এক রকম নরকের মধ্যে কাটতে লাগল। মাঝেমধ্যেই আত্মহত্যার কথা ভাবতাম, কখনও কখনও নিজের শরীরের বিভিন্ন ক্ষতি করতাম। ওদিকে মদ খাওয়া, পর্নোগ্রাফির সমস্যা বাড়ছে তো বাড়ছেই। সমকামীদের তৈরি বাজে সব ভিডিও-ক্লিপ দেখতাম। আমার বয়স যখন সতেরো চলছে, একদিন চোখের পানিতে ভেসে বাবা-মায়ের সামনে হাজির হলাম। কিন্তু আমার বাবা-মা সত্যিই অসাধারণ! তারা বললো, তারা আগে থেকেই আমার গে হবার ব্যাপারটা জানত। তারা আমাকে আশ্বস্ত করল, আমি গে হলেও তারা আমাকে নিঃস্বার্থভাবেই ভালোবাসবে। আমার স্কুলের বন্ধুবান্ধবেরাও বলল, তারাও নাকি আমার বিষয়টা বেশ কিছুদিন থেকেই টের পেয়েছে। তারাও আমাকে সমর্থন করল। সব মিলিয়ে আমার “গে” হিসেবে আত্মপ্রকাশের সময়টা মারাত্মক ভয়াবহ বা যন্ত্রণাদায়ক কিছু ছিল না।
.
আঠারো বছর বয়সে, আমি নর্থ ইংল্যান্ড থেকে লন্ডনে চলে আসি। ততদিনে আমি গে হওয়াকে নিজের পরিচয় হিসেবে পুরোপুরি গ্রহণ করে নিয়েছি। আমার ভার্সিটিতে যে বিভাগে আমি পড়তাম, সেখানে আমিই সর্বপ্রথম গে হিসেবে জনসম্মুখে নিজের এই পরিচয় দিয়েছি। এমনকি ভার্সিটিতে একটা গ্রুপও খুলে ফেললাম। এলজিবিটি গ্রুপ। ছাত্রছাত্রীদেরকে জোরেসোরে বোঝাতে শুরু করলাম – যারা বলে গে হওয়াটা মানুষের ইচ্ছাধীন কিংবা গে হওয়া ভুল, তারা একেবারেই সঠিক না।
.
যা বলছিলাম, আমার কখনোই বদলাবার দরকার হয়নি। আমি জন্মেছি গে হয়ে, এটাই সবসময় জেনে এসেছি। ব্যাস খতম। আমি বড়ো হয়েছি ক্রিশ্চিয়ান হিসেবে, লন্ডনের সমকামী ক্রিশ্চিয়ানদের আন্দোলনে নিয়মিত যোগ দিতাম, কিন্তু খেয়াল করলাম আমি আসল মজা পাই শহরের সমকামীদের ক্লাবগুলোয় যখন নাচ-গান-পার্টি আর নেশা করি, তখন। অতিরিক্ত কামুক আর বিশৃঙ্খলভাবে জীবনযাপন করতে শুরু করলাম। আমার ধারণা, সে সময় আমার পার্টনারের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে গেছে।
.
শেষমেশ আমি বহুদিনের পুরোনো এক বয়ফ্রেন্ডের সাথে সেটল করলাম। সে একজন এক্স-সৈনিক, ফকল্যান্ড দ্বীপের পশুচিকিৎসক। আমরা ভাবছিলাম, দেশের বাইরে কোথাও গিয়ে বিয়ে করবো – অন্ততপক্ষে সামাজিকভাবে স্বীকৃত একটা সম্পর্ক শুরু করব। কিন্তু ঠিক সে সময়েই আমি অন্য আরেকজনের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লাম। তার নাম ক্রাইস্ট। এই সম্পর্কটাই আমাকে আমার জীবনটা গভীরভাবে যাচাই করার সুযোগ দেয়।
.
আমি বুঝতে পারলাম, আমার কিছু সমস্যা আছে। কমিটমেন্ট নিয়ে সমস্যা। আমি কারো সাথেই অঙ্গীকারবদ্ধ হতে পারিনা। আরও আবিষ্কার করলাম, আমি কারো থেকে “না” শুনতে পারিনা। আমার মধ্যে প্রত্যাখ্যিত হওয়া নিয়ে অসম্ভব একটা ভয় কাজ করে। ছোটোবেলা থেকেই আমি সব সময় বাড়াবাড়ি রকমের বিচলিত থাকতাম। আমার আশেপাশের মানুষদের ব্যবহার করতাম। আমার ভেতর জন্মগতভাবে পুরুষদের প্রতি একটা ভয় ছিল — তারা সমকামিতাকে ঘৃণা করে সেটাকে আমি ভয় পেতাম না; বরং ভয়টা ছিল অন্য জায়গায়। আমার ভয় হতো পুরুষদের দেখে। আমার আর একজন সাধারণ “heterosexual” পুরুষের মাঝে যে বিস্তর ফারাক, সেটাই ছিল আমার ভয়ের মূল কারণ।
.
আমি সবকিছু নতুন করে শুরু করার চেষ্টা করলাম। বহুদিনের পুরোনো পার্টনারের সাথে সম্পর্কের ইতি টানলাম। এক বন্ধুর পরামর্শে থেরাপি নিতে শুরু করলাম যাতে আমার কমিটমেন্ট রাখার বিষয়টা সারিয়ে তোলা যায়। থেরাপিতে গিয়ে যেসব সাহায্য-সহযোগিতা পেয়েছি, তার কোনটাই পাশবিক, নির্মম, বা বিধ্বস্ত হবার মতো কিছু ছিল না। কিছু কিছু “গে থেকে স্ট্রেইটে রূপান্তর” ডকুমেন্টারিতে যেসব ভয়ঙ্কর কাহিনি শোনা যায়, তার কোনটাই আমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। আমার থেরাপিটা ছিল মূলত কয়েকটা চিন্তাগত ও আচরণগত থেরাপির সমন্বয়। আমাকে আমার মজ্জাগত বিশ্বাসগুলো নিয়ে প্রশ্ন করা হল, আমার চিন্তা-চেতনা, ধ্যান-ধারণা নিয়ে প্রশ্ন ছোঁড়া হত। আমার একপেশে ভাবনাগুলোকে যেন উপড়ে ফেলা যায়, আমার বহু বছরের বদ অভ্যাস, আমার সমস্যাপূর্ণ আচার-আচরণগুলোকে যেন বদলানো যায়, সেটাই ছিল এ থেরাপির উদ্দেশ্য।
.
আমি কেন খালি পুরুষদের প্রতি আকর্ষিত হই, তা নিয়ে আমার বা আমার থেরাপিস্ট কারোরই তেমন মাথাব্যথা ছিল না। তবে সঙ্গত কারণেই আমার গে হওয়া নিয়ে কথা বলাটা আলোচনার একটা অংশ ছিল, কারণ তা নাহলে আমার জীবনের একটা বড় অংশকে বাদ দিয়ে দেওয়া হবে। পুরো সময়টায় একটা মূল কাজ ছিল- ক্ষমা করে দেওয়া। যাদেরকে মাফ করে দেওয়া প্রয়োজন, তাদেরকে মাফ করে দেওয়া। আর আরেকটা ব্যাপার, আমি আমার খুব কাছের কিছু মানুষের সাথে যে দেয়াল তৈরি করেছিলাম, বিশেষ করে আমার বাবা-মা ও ভাইবোনের সাথে, সেটা বোঝা।
.
ধীরে ধীরে আমার কাছে পুরো বিষয়টা পরিষ্কার হতে লাগল। আমি বুঝতে পারলাম, আসলে বালক অবস্থায় আমি অন্যান্য পুরুষদের সাথে ভালোভাবে মিশতে পারতাম না। ছোটোবেলা থেকেই ভাবতাম যে আমি অন্য পুরুষদের থেকে প্রত্যাখ্যিত হচ্ছি। আর তাই নিজের অজান্তেই নিজের ভেতর একটা প্রতিজ্ঞা করে নিয়েছিলাম যে কখনও ছেলেদেরকে পুরোপুরি বা গভীরভাবে বিশ্বাস করব না। কেউ যখন আমার কাছে আসত, আমি তাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করতাম আর নিজেকে বড় ভাবতাম। আমার বাবা আর বড় দুই ভাইয়ের সাথেও আমি এমন আচরণই করেছি। তাদেরকে দূরে সরিয়ে দিয়েছি। কাজেই “পুরুষ” ব্যাপারটা আমার জন্য রহস্যময় হয়ে দাঁড়াবে, সেটাই স্বাভাবিক। আর টিন-এইজে সেই রহস্যময়তা নেশায় রূপ নিল, আমি পুরুষ লোকের প্রতি দৈহিকভাবে আকর্ষিত হতে শুরু করলাম। সেই সাথে পর্নের মাধ্যমে নিজের এই সমস্যাটা দিনকে দিন আরো উসকে দিতে লাগলাম।
.
আমি বুঝতে পারলাম আমি নিজেকে নিঃসঙ্কোচে নারীদের জগতে ঠেলে দিয়েছিলাম। আমার পৌরুষত্ব এই সিদ্ধান্তের বিপরীতে কোনো প্রভাব খাটাতে পারেনি। অথচ আমি নারীদেরও ঘৃণা করতাম! তারা এত সহজে সাধারণ (স্ট্রেইট) ছেলেদের মন ভুলাতে পারত যে আমার অসহ্য লাগত। কেননা আমি গে হয়ে এই কাজটা কখনোই করতে পারতাম না। আমি আবিষ্কার করলাম যে আমার স্থান স্বাভাবিক ভাবেই নারীদের মধ্যে নয়। আবার নিজেকে আমি পুরুষদের মধ্য থেকেও বের করে এনেছি।
.
আমার অস্তিত্বের একদম কেন্দ্রীয় অনেক ব্যাপারকে চ্যালেঞ্জ করা হল – আমার চেহারা, আমার দেহ, আমার হাঁটার ভঙ্গিমা — আমার থেরাপিস্ট আমাকে একটা চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন: কোন কোন ব্যাপারে আমি বাকি সব পুরুষের মতো ছিলাম, আর কোন কোন ব্যাপারে ছিলাম না। তিনি আমার গলার স্বর, চালচলন নিয়েও কাজ করছিলেন। সত্যি বলতে, আমাকে ভিন্ন ভাবে চিন্তা করার আর ভিন্ন ভাবে আচরণ করার একটা সুযোগ দিচ্ছিলেন।
.
আমার ভয়, উদ্বেগ আস্তে আস্তে কমে আসতে লাগল। একটা সময় এমন হল যখন নারী-পুরুষ সবার কাছেই নিজেকে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য মনে হতে লাগল। আমার পুরুষ পরিচয়কে এতদিন পুরোপুরি অস্বীকার করে এসেছি, সেটাই এখন পুরোপুরি গ্রহণ করে নিলাম। আমার দাঁড়ানোর ভঙ্গি বদলে গেল, সোজা হয়ে দাঁড়াতাম। আগের মতো মেয়েলি ভাবে আর হাঁটতাম না, বড় বড় পা ফেলে একজন পুরুষের মতো হাঁটতে শুরু করলাম। এমনকি আমার গলার স্বরও পাল্টে ভারি হয়ে গেল। এতো সুন্দর ভরাট স্বর যে সবাই নিয়মিতই আমাকে আমার গলার স্বর নিয়ে কিছু একটা মন্তব্য দিতে লাগল।
.
আমার মনে হল, হয়ত বা, হয়ত বা আমি কখনোই সত্যিকার অর্থে গে ছিলাম না। হয়ত আমার মাঝে সবসময়ই এমন একজন পুরুষ ছিল, যে সত্যিকারের পুরুষ, যে এমন একজন উন্নত পুরুষ — যেমন পুরুষদেরকে আমি বরাবর শ্রদ্ধার চোখে দেখেছি। হয়ত আমার ভেতরের এই পুরুষটি সবসময় মুক্ত স্বাধীন হওয়ার অপেক্ষায় ছিল।
নারীদের সাথে দৈহিক মেলামেশা অনেক বেশি আনন্দায়ক লাগতে লাগল, এমনকি একজন নারীর চুলে হাত বুলিয়ে দেওয়ার মাঝেই যে কত আনন্দ আছে সেটা বুঝতে পারলাম। একজন পুরুষ হবার আনন্দ উপভোগ করতে লাগলাম। নারীদের সঙ্গ বেশি প্রিয় হয়ে গেল। এর মানে এই না যে, আমি যত নারীকে দেখেছি সবার প্রতি আকর্ষণ বোধ করেছি! আমি উত্তপ্ত তরুণ ছিলাম না। বরং এটা ছিল একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া, যার ফলস্বরূপ প্রেম এবং সম্পর্ক শুরু হয়েছে।
.
আজ আমি একজন নারীর স্বামী। আট বছর যাবৎ আমরা বিবাহিত আছি। আর আমাদের একটা পাঁচ-বছর বয়সী মেয়েও আছে। আর্ট আর থিয়েটার ভালোবাসি। তবে টিম স্পোর্টসগুলো প্রচণ্ড টানে। আমার খুব প্রিয় একটা মুভি হলো – সেভিং প্রাইভেট রায়ান, এই মুভিতে ভ্রাতৃত্ববোধ আর পুরুষদের অন্তর্বর্তী বন্ধুত্বকে দেখানো হয়েছে — যেই অসাধারণ জিনিসটা আমি আগে কখনোই উপভোগ করিনি।
অনেকে জিজ্ঞেস করে, আমি কি এখন পুরোপুরি একজন heterosexual? হ্যাঁ, প্রায় পুরোটা সময়ের জন্য এটাই সত্যি। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষের জীবনেই এমন কিছু সময় আসে যখন যৌনতা বেশ বায়বীয় পর্যায়ে থাকে। হঠাৎ হঠাৎ আমার ক্ষেত্রেও সেটা সত্যি। তবে আমি আমার ফেলে আসা গে লাইফস্টাইল মোটেও মিস করি না। আমার থেরাপিরও প্রায় পাঁচ বছর পরে, পুরোনো বয়ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করেছিলাম। গে জীবনযাপনের ক্ষতিকর দিকগুলো তখন খুব ভালোভাবেই আমার কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে। আমার এক্স-বয়ফ্রেন্ডের গলার স্বর দেখলাম একেবারে মেয়েলি আর কেমন দুর্বল হয়ে পড়েছে, শুধু তাই নয়, সে ততদিনে এইচআইভি-ও বাধিয়ে ফেলেছে।
সেই মুহূর্তে একটা ব্যাপার খুব ভালোভাবে বুঝতে পারলাম – আমার থেরাপি নেওয়ার সিদ্ধান্ত এবং বিকৃতভাবে গড়ে ওঠা যৌন-আকর্ষণকে সারিয়ে তোলার জন্য পরবর্তীতে নেওয়া আরেকটি থেরাপি শেষপর্যন্ত আমাকে রক্ষা করেছে!
.
তবে আমার জীবনের পরিবর্তনগুলোর কারণে আমি কাউকে জোর করে বদলে যেতে বা “ধর্মপরিবর্তন” করে গে থেকে স্ট্রেইটে পরিণত হতে বলব না। কারো নিজেকে “কনভার্ট” হবার জন্য বাধ্য মনে করার দরকার নেই।
.
তবে একটি কথা বলব, আমি বিশ্বাস করি, মানুষ জন্মগত ভাবে গে হয় না। এবং যে কেউ-ই চাইলে নিজের ভেতর বাস করা লুকোনো সত্তাটি বের করে আনতে পারে। সেই সত্তা যেখানে আমি আমার পৌরুষত্বকে খুঁজে পেয়েছি।”

জেমস পার্কার।
***অনূদিত
মূল লেখক জেমস পার্কার একটি প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে কাজ করেন, যার নাম: জার্নি টু ম্যানহুড। প্রোগ্রামটি “পিপল ক্যান চেইঞ্জ” নামের একটি শিক্ষা ও সহযোগিতামূলক সংস্থা দ্বারা পরিচালিত।
==============================
লেখিকাঃ আনিকা তুবা

Leave Your Comments

Your email address will not be published. Required fields are marked *