গুহ্যকামীদের জন্য দুঃসংবাদ

গুহ্যকামীদের জন্য দুঃসংবাদ
.
কিছুদিন আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আমাদের একটা তথ্য দিয়েছে, গনোরিয়া নামক সেক্সচুয়ালি ট্রান্সমিটেড ইনফেকশন বা যৌন সংসর্গের মাধ্যমে ছড়ানো রোগটি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।এই রোগের জীবাণু অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করছে। কার্যকর নতুন অ্যান্টোবায়োটিক উদ্ভাবনে খুব বেশি সাফল্য এখনও না আসায় পরিস্থিতি আরও বেশি নাজুক হয়ে পড়েছে। প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় সাত কোটি ৮০ লাখ মানুষ এ রোগের সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন।
.
গনেরিয়া রোগের জন্য দায়ী ব্যাক্টেরিয়ার বাস মূলত গলা ও মলদ্বারে স্বাভাবিকভাবে ওরাল ও গুহ্যদ্বারে সঙ্গমকারীরা মারাত্মক গনেরিয়া রিস্কে থাকেন। এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী গনেরিয়ার প্রকোপ গুহ্যকামিদের মধ্যে বেশি। ২০১৪ সালে আমেরিকার ন্যাশনাল সেন্টার ফর এইচএইভি/এইডস থেকে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে বলা হয়েছে, গনেরিয়া সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়ার এন্টিবায়োটিক রেসিস্টেন্স ক্ষমতা ০.৬ থেকে বেড়ে ২.৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ৫০০০ এর উপরে বিভিন্ন ধারার নারী পুরুষের উপরে গবেষণা করে দেখা গেছে গুহ্যকামীদের ক্ষেত্রে গনেরিয়া সৃষ্টিকারী এন্টিবায়োটিক রেসিস্টেন্স ব্যাক্টরিয়ার উপস্থিতি ব্যাপক এবং অন্যদের থেকে বেশি।
.
এটাতো মাত্র একটা উদাহরণ সেখানে গুহ্যকামীদের জীবনবিনাশী রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের থেকে অনেকগুন বেশি, এই রকম আরো অনেক উদাহরণ আছে যার অল্প কিছু উল্লেখ করছি।
২০০০ সালে ওয়েস্ট জার্নাল অফ মেডিসিনে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে সমকামীদের স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে তথ্য উপাত্ত সমেত ব্যাপক আলোচনা করা হয়। শুধুমাত্র দৈহিক নয়, মানসিক স্বাস্থ্যেরও করুন অবস্থা সমকামীদের। গুহ্যকামীদের আত্মহত্যার করার প্রবণতা অন্য স্বাভাবিকদের তুলনায় ৬ গুন্ বেশি, লেসবিয়ানদের ক্ষেত্রে এটা দ্বিগুন।এক তৃতীয়াংশ গুহ্যকামীরা মাত্রাতিরিক্ত এলকোহল ও ড্রাগ সেবন করে থাকে। মানসিক চাপের কারণে এদের অনেকেই ঘর ছাড়া হয়ে যায়। হোমলেস মানুষদের মধ্যে লেসবিয়ান ও গুহ্যকামীদের সংখ্যা বেশি।
.
লেসবিয়ানদের ক্ষেত্রে সারভিক্যাল ক্যান্সার হওয়ার রেট স্বাভাবিকের থেকে বেশি। এক সমীক্ষায় ৩০ শতাংশ লেসবিয়ানদের সাথে সেক্সচুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজের সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া গেছে। গুহ্যকামীদের স্বাস্থ্যের অবস্থা আরো ভয়ানক। এদের সেক্সওয়ালী ট্রান্সমিটেড ডিজিজ হওয়ার সম্ভাবনা বহুগুন। এনাল-রিসেপটিভ ইন্টারকোর্সের কারণে তাদের এহেন কোনো ট্রান্সমিটেড ডিজিজ নাই যা হওয়ার সম্ভাবনা নাই। এইডস, হেপাটাইটিস, গনেরিয়া সহ মারাত্মক সব রোগের জন্য তারা উৎকৃষ্ট ক্যান্ডিডেট। এনাল ক্যান্সার, জেনিটাল ওয়ার্টস সহ প্রাণঘাতী রোগেরও উৎস এই এনাল-রিসেপটিভ ইন্টারকোর্স।
.
সিদ্ধান্ত এখন আপনার হাতে। নিজের জীবনের উপরে মায়া থাকলে দ্রুত সরে আসুন এই অপ্রাকৃত ও অস্বভাবী পন্থা থেকে।
.
=====
লেখকঃ সাইফুর রহমান [ফেসবুক id: Saifur Rahman]

Leave Your Comments

Your email address will not be published. Required fields are marked *