Day: July 14, 2021

উত্তর:- যে কোন ইবাদতের সওয়াব যেকোন ব্যক্তির নামে পৌছানো যায়। তাই ওমরা বা তাওয়াফের সওয়াব কারো নামে পৌছাতে কোন সমস্যা নাই।   রদ্দুল মুহতার - ২/৫৯৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া -১/৩৩১; ফাতাওয়া হাক্কানিয়া -৪/২১১; কিতাবুল ফাতাওয়া - ৪/২৫৬।...

উত্তর :- ইহরাম অবস্থায়  সেলাই করা কাপড় পরা নিষেধ। তাই যদি কোন মুহরিম পুরা একদিন সেলাই করা কাপড় পরে তাহলে তাকে দম দিতে হবে। আর যদি এর থেকে কম সময় পরে তাহলে তাকে সদকা দিতে হবে।   আল হিদায়া - ১/২৬৭; আদ দুররুল মুখতার - ২/৫৪৭; আল বাহরুর রায়েক -...

উত্তর :- ইসলামি শরীয়াতে মোহরানা স্ত্রীর বৈধ ও স্বীকৃত হক। যা আদায় করা স্বামীর উপর ওয়াজিব। এবং মোহরের বকেয়া টাকা স্বামীর উপর ঋণ হিসেবে থাকে। তাই স্বামীর  জন্য উচিত হলো, হজে যাওয়ার পূর্বে অন্যান্য ঋণের মত স্ত্রীর মোহরানা পরিশোধ করে দেয়া। তবে এ মোহরা...

উত্তর :- সুস্থ ব্যক্তির জন্য হজ ফরয হওয়ার সাথে সাথেই হজ আদায় করা জরুরী। বিলম্ব করা উচিত নয়। মেয়ের বিবাহ বা এজাতীয় কোন কারণে হজ পিছিয়ে দেয়ার উচিত নয়। তাই সে আগে হজ করবে। পরে মেয়ের বিয়ে দিবে।   সুরা আলে ইমরান - ৯৭; সুনানে তিরমিযি - ১/১৬৭;...

উত্তর :- কুরবানির ক্ষেত্রে মোটাতাজা পশু নির্বাচন করাই উত্তম। তাই সংখ্যা বাড়িয়ে দূর্বল পশু কুরবানি না করাই উত্তম।   ফাতাওয়া হিন্দিয়া - ৫/৩৪৯; ফাতাওয়া কাজিখান - ৩/২৪৬; ফাতাওয়া বাযযাযিয়া - ৩/৩৫৮; ফাতাওয়া মাহমুদিয়া - ১৭/৩৩৬।...

উত্তর :- জিলহজের ১০,১১,১২ তারিখে নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক থাকলে অথবা গরিব ব্যকিত এ সময়ের মধ্যে কুরবানির নিয়তে পশু ক্রয় করলে তার উপর কুরবানি ওয়াজিব হয়ে যাবে। তাই বর্ণিত লোকটি যেহেতু ধনী অবস্থায় এই পশু ক্রয় করেছিল। এবং কুরবানির দিন আসার আগেই সে গরীব ...

উত্তর:- হজ্ব হালাল মাল দ্বারা করাই আবশ্যক, হারাম মাল দ্বারা করলে দায় মুক্ত হলেও হজ্ব কবুল হওয়ার সওয়াব পাওয়া যায় না। সুতরাং প্রশ্নেবর্ণিত মাহতাব সাহেবের হজের ফরযিয়্যাত আদায় হলেও কবুল হজের সওয়াব প্রাপ্ত হবে না। -ফাতাওয়া শামী...

উত্তর :- পশুর প্রবাহিত রক্ত নাপাক। তাই কুরবানির পশুর রক্ত মাখা পোষাকে নামায পড়া জায়েয নেই।   ফাতহুল কাদীর - ১/২০৩; হাশিয়ায়ে তাহতাভী- পৃ. ১৫৪; আল ফিকহুল হানাফি- ১/১১৯; আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল- ৫/৪৭৬।...

উত্তর :- কুরবানির কোন অংশ বিক্রি করা বৈধ নয়। একান্ত বিক্রি করে ফেললে প্রাপ্ত টাকা সদকা করে দিবে।   হাশিয়া ইবনে আবেদীন - ৯/৫৪৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া - ৫/৩৪৭; আল বাহরুর রায়েক - ৮/১৩১; ফাতাওয়া কাজিখান - ৩/২৪৯।...

উত্তর:- জমজম কুপের পানি কিবলা মুখি হয়ে দাড়িয়ে পান করা মুস্তাহাব। বসে পান করারও অনুমতি আছে। -সুনানে তিরমিযী-২/১০,  আদ্দুররুল মুখতার- ২/৫২৪, ইবনে আবদীন- ৩/৬২৩....

উত্তর :- ওমরায় আরাফায় অবস্থান সুন্নাত। যা ছুটে যাওযার দ্বারা ওমরার কোন ক্ষতি হয় না। তাই প্রশ্নোক্ত ব্যক্তির ওমরা আদায় সহিহ হয়ে গেছে।   হাশিয়া ইবনে আবেদিন - ৩/৫১৭; আল ফিকহুল হানাফি - ১/৪৬৭; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া - ৩/৬১৫; রাফাআত কাসেমি , মা...

উত্তর:- অসুস্থতার কারণে বদলী হজ্ব করানোর পর সুস্থ হয়ে গেলে তাকে পুনরায় ফরয হজ্ব আদায় করতে হবে এবং তখন তার বদলী হজ্ব নফল হয়ে যাবে। সুতরাং প্রশ্নেবর্ণিত সূরতে আপনার চাচাকে পুনরায় হজ্ব করা লাগবে। -রদ্দুল মুহতার-২/৫৯৮, ফাতহুল ...

উত্তর :- তাওয়াফ পবিত্র অবস্থায় করা জরুরী। অপবিত্র অবস্থায় কৃত তাওয়াফ গ্রহণযোগ্য নয়। তাই অযু ছাড়া তাওয়াফ করলে তাকে দম দিতে হবে। হোক তা হজের বা ওমরার।   আদ দুররুল মুখতার - ২/৫৫১; বাদায়েসউ সানায়ে’ ৩/৭৫; ফাতাওযা তাতারখানিয়া - ৩/৬০৯; আল বাহরুর ...

উত্তর:- যার নিকট হজের সফরের খরচ থাকবে এবং তার অুনপস্থিতিতে পরিবারের কোন সমস্যা থাকবে না এমন ব্যক্তির উপর হজ্ব ফরয। সুতরাং প্রশ্নেবর্ণিত সূরতে সাআদ সাহেবের উপর হজ্ব ফরয হয়ে গেছে। -সূরা আলে ইমরান-৯৭, আল হ...

উত্তর :- হজ ও ওমরা দু’টি আলাদা স্বতন্ত্র ইবাদাত। তন্মধ্যে হজ ফরজ আর ওমরা সুন্নাত বা মুস্তাহাব। একটি  আদায় করলে অন্যটা আদায়  হয়ে যাবে না। তাই ওমরা করার পর হজের সামর্থ্য চলে আসলে তাকে হজও করতে হবে ।   তাফসিরে কাবীর - ৩/১৯৬’;ফাতাওয়া হিন্দিয়া ...