Month: July 2021

উত্তর: শরয়ী দৃষ্টিতে অনির্দিষ্ট মান্নত কারীর জন্য স্বীয় মান্নত যে কোন সময় আদায় করার সুযোগ রয়েছে, সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে যদি কেউ কাযা ও মান্নতের রোযা একসাথে রাখার নিয়ত করে তাহলে কাযা রোযা আদায় হয়ে যাবে। আর মান্নতের রোযা যেহেতু যে কোন সময় আদায় ...

উত্তর: হানাফি মাযহাবের পরবর্তি ফুকাহায়ে কেরামের মতানুসারে দূরবর্তী দুই দেশের একটির চাঁদ দেখা অন্যটির জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে উক্ত ব্যক্তি বাংলাদেশ অনুসরণে রোযা রাখবে।   রদ্দুল মুহতার ৩-৪১৮, তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহি...

উত্তর: শরীয়তের মূলনীতি হলো, রোযা অবস্থায় পেট অথবা মস্তিস্কে কোন কিছু প্রবেশ করলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যায়। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে যেহেতু নাকে ও কানে ঔষধ ব্যবহার করলে পেট বা মস্তিস্কে পৌছে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। তবে চোখের ক্ষেত...

উত্তর: ঈদের দিন রোযা রাখা নিষেধ। ফলে উক্ত ব্যক্তি ঈদের দিন রোযা না রেখে অন্য কোন দিন তার কাযা করবে।   ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়্যাহ ৩-৪৩২, আলমুহিতুল বুরহানি ১-৩৭৪, মাসায়েলে রাফআত কাসেমী ৪-১১৫...

উত্তর: মান্নতের এ’তিকাফ পুরা করা ওয়াজিব। আর ওয়াজিব এ’তিকাফের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন সময় হচ্ছে একদিন একরাত। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে যদি উক্ত ব্যক্তি অনির্দিষ্ট ভাবে ইতিকাফে বসার মান্নত করে তাহলে কমপক্ষে একদিন একরাত রোযা অবস্থায় ইতিকাফে বসা আবশ্যক। ...

উত্তর: শরীয়তের মূলনীতি হলো, নামাজী ব্যক্তির নামাজের স্থান পাক হওয়া আবশ্যক। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে মুসল্লী যদি জুতা পায়ে রেখে নামাজ পড়ে, তাহলে অবশ্যই জুতার তলাসহ জমীনের ঐ অংশও পাক হতে হবে যাতে জুতা রাখা হয়েছে। আর যদি জুতা খুলে জুতার উপর পা রেখ...

উত্তর: শরীয়তের মূলনীতি অনুযায়ী জুমা ও ঈদের খুতবা আরবীতে হওয়াটাই জরুরী, যা উম্মাহর ধারাবাহিক আমল দ্বারা প্রমাণিত। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে আরবী ভাষা জানা সত্ত্বেও মাতৃ ভাষায় খুতবা প্রদান মাকরূহে তাহরীমী হবে। হ্যাঁ তবে যদি কেউ পড়ে ফেলে তাহলে তার ...

উত্তর: শরীয়তের মূলনীতি হলো, যদি ইমাম সাহেব নামাযের ফরজ ও ওয়াজিব বিধানাবলী আদায় করার পর অতিরিক্ত কোন কাজে লিপ্ত হয়ে যায়, তাহলে মুক্তাদিরা ইমামের অনুসরন না করে ইমামের সালামের অপেক্ষা করবে। যেহেতু জানাযার নামাযের রুকন হলো চার তাকবীর বলা, তাই ইমাম চার...

উত্তর: শরয়ী নীতিমালা অনুযায়ী খুতবা চলাকালীন সময়ে কথা - বার্তা ইত্যাদি নিষিদ্ধ। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে খতীব সাহেব কোন ভুল - ত্রুটি করলেও তাতে লোকমা দেওয়া বা সংশোধন করে দেওয়া জায়েয নেই।     আদদুররুল মুখতার ৩-৩৯, আলফিকহুল হানা...

উত্তর: হাদীস শরীফে এসেছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন “দ্বীন কল্যাণ কামীতার নাম” অর্থাৎ একে অপরের কল্যাণ কামনা করা এবং মানুষকে সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজ থেকে বারণ করা। যেহেতু জুমার দিন নানান পেশার মানুষ একত্রিত হয়, তাছাড়া সবাইকে একসাথ...

উত্তর: শরয়ী দৃষ্টিতে শ্রমের বিনিময়ে পারিশ্রমিক নেয়া বৈধ। সুতরাং কোরবানীর পশু জবাই করে টাকা নেয়াও বৈধ। আল হিদায়া ৩-২৯৩, আদ্দুররুল মুখতার ৯-৬, আলফিকহুল হানাফি ফি সাওবিহিল জাদীদ ৩-২১৯...

উত্তর: শরয়ী দৃষ্টিতে কোরবানীর গোশত তিন ভাগ করে এক ভাগ সদকা, এক ভাগ আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের খাওয়ানো, আর এক ভাগ নিজে খাওয়া উত্তম বা মুস্তাহাব। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে কোরবানীর গোশত যতদিন ইচ্ছা রেখে খেতে পারবে। নির্দিষ্ট কোন সময়ের বাধ্য বা...

উত্তর: শরয়ী দৃষ্টিতে প্রাণী জবাইয়ের সময় আল্লাহর নামে জবাই করা আবশ্যক। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে মেশিন দিয়ে জবাইয়ের ক্ষেত্রে যদি সুইসে এক টিপ দিয়েই সবগুলো প্রাণী একসাথেই জবাই করা হয়, তাহলে একবার বিসমিল্লাহ বলে সুইস টিপ দিলেই জবাই সহিহ হয়ে যাবে। অ...

উত্তর: শরয়ী দৃষ্টিতে একে অপরকে হাদিয়া বা বখশিশ ইত্যাদি দেয়া-নেয়া সুন্নত। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে হোটেল ইত্যাদির খাবার পরিবেশনকারীকে তার আদব আখলাকের উপর সন্তুষ্ট হয়ে কিছু বখশিশ দেয়া বৈধ হবে। তবে কেউ না দিলে তাদের জন্য জোরপূর্বক নেয়া বৈধ হবে না।...

উত্তর: শরয়ী দৃষ্টিতে যেসকল অপরাধের শরীয়তের নির্ধারিত কোন শাস্তি নেই, সেক্ষেত্রে বিচারক কর্তৃক যেকোন শাস্তি দেয়া বৈধ। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে অপরাধ অনুপাতে বিচারক যদি ভালো মনে করে তাহলে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিতে পারবে। তবে উল্লেখিত অপরাধের শাস্তি...