Month: July 2021

উত্তর :- হজে সাঈ করা ওয়াজিব। আর হজ পালনের ক্ষেত্রে কোন ওয়াজিব বিধান ছুটে গেলে দম দেওয়া ওয়াজিব। তাই উক্ত ব্যক্তিকে দম দিতে হবে।   আল হিদায়া - ১/২৫৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া - ১/৩১১; ফাতাওয়া হাক্কানিয়া - ৪/২৬৭।...

উত্তর:-শরয়ী দৃষ্টিতে কোরবানীর পশুর এক অঙ্গের এক তৃতীয়াংশের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার দ্বারা কোরবানী দেওয়া যায় না।  সুতরাং প্রশ্নেবর্ণিত সুরতে একতৃতীয়াংশের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার দ্বারা কোরবানী দেওয়া যাবে না।  ...

উত্তর:- কোরবানী সহীহ হওয়ার জন্য কোরবানী দাতাদের বিশুদ্ধ নিয়তই যথেষ্ট,অংশিদারদের নামের তালিকা উল্লেখ করে পাঠ করা জরুরী নয়। সুতরাং নাম উল্লেখ না করে জবাই করে ফেললেও কোন সমস্যা নাই।  - হিদায়া ৪/৪৫১,ফাতওয়ায়ে তাতারখানিয়া ১৭/৪৪৬,ফাতওয়ায়...

উত্তর :- ইসলামে হারাম কাজের চাকরি ও তার মাধ্যমে ‍উপার্জিত অর্থ হারাম। তাই কোন মানুষ যদি ব্যাংকে সরাসরি সুদি কারবারে নিয়োজিত কর্মকর্তা বা কর্মচারী হয়ে থাকে। তাহলে সে চাকরির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ হারাম বলে গণ্য হবে। এমন ব্যক্তির দেয়া কোরবানি বৈধ হবে...

উত্তর:-হজ ও ওমরা ব্যতীত অন্য কোন প্রয়োজনে মীকাত অতিক্রম করার জন্য ইহরাম বাঁধা আবশ্যক নয়।  সুতরাং প্রশ্নেবর্ণিত ব্যবসার উদ্দেশ্যে গমনকারী ব্যক্তির জন্য এহরাম বিহীন জেদ্দায় প্রবেশ জায়েয হবে।  - মাজমায়ুল আনহুর ১/৪...

উত্তর :- হাদিস শরীফে ইরশাদ হয়েছে যে ব্যক্তি কোরবানি করবে সে যেন ঈদের চাদ ওঠার পর হতে চুল, গোফ, ও নখ ইত্যাদি না কাটে। তাই বিধানটা কেবল কুরবানি দাতার জন্য। তবে অন্যরাও যদি এ আমলটা করে তবে তারাও সওয়াব পাবে বলে আশা করা যায়।   আল ফিকহুল ইসলা...

উত্তর:- হজের ওয়াজিব সমুহ আদায়কালীন প্রয়োজনে সামান্য বিশ্রাম নেয়া যেতে পারে। এতে কোন অসুবিধা নেই।  সুতরাং প্রশ্নেবর্ণিত সুরতে সাঈর মাঝখানে ৫/১০ মিনিট বিশ্রাম নিলে সাঈ আদায় হয়ে যাবে।   - আল ফিকহুল হানাফী ফি সাউবি...

উত্তর :- আকিকার গোশতও কোরবানির গোশতের ন্যায়। যা সে নিজে খেতে পারবে। এবং আত্মীয় স্বজন ও দুস্থদের দিতে পারবে। তবে কোন ভাবেই বিক্রি করতে পারবে না।   আল বাহরুর রায়েক - ৮/২২৮; এ’লাউস সুনান - ১৭/১২৭; কিতাবুল ফাতাওয়া - ২/১২৩।...

উত্তর:- এহরাম অবস্থায় সুগন্ধি ব্যবহার করা নিষেধ। সুগন্ধিযুক্ত খাবার খাওয়া নিষেধ নয়।  সুতরাং প্রশ্নেবর্ণিত সুগন্ধিযুক্ত খাবার তথা পোলাও বিরিয়ানি ইত্যাদি খাওয়া যাবে। এতে কোন অসুবিধা নেই।  -ফাতওয়ায়ে আলমগিরী ১/৩০৫,...

উত্তর :- শরয়ী ভাষ্য অনুযায়ী হজের নেসাব পরিমাণ মালের মালিক হওযার দ্বারা হজ ফরজ হয়। তাই জন্মান্ধ কেউ নেসবা পরিমাণ মালের মালিক হলে তার উপরও হজ ফরজ। তবে সে জন্মান্ধ হওয়ায় অন্য কারো দ্বারা সে হজ করাবে।   ফাতাওয়া হিন্দিয়া - ১/২৮২; ফাতাওয়া সিরাজি...

উত্তর :- ইসলামে কামোত্তেজনার সাথে কামোদ্দীপক কোন নারীর যৌনাঙ্গ দেখার দ্বারা হুরমতে ‍মুসাহারাত তথা বৈবাহিক আত্মীয়তার সম্পর্ক তৈরী নিষিদ্ধ হওয়া - সাব্যস্ত হয়। আর ‍উক্ত মহিলা যেহেতু বৃদ্ধা। তাই তার লজ্জাস্থান কামো্দ্দীপনার সাথে  দেখলে হুরমতে মুসাহারাতের...

উত্তর:-ঋতুস্রাব অবস্থায় মসজিদে চলাচল নিষিদ্ধ। তাওয়াফ যেহেতু মসজিদে হয়,তাই প্রশ্নেবর্ণিত সুরতে উক্ত মহিলা তাওয়াফ বন্ধ করে হজের অন্যান্য কাজ করবে এবং হজের সময় শেষ হওয়ার পূর্বে ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে গেলে পূনরায় তাওয়াফ করে নিবে। অন্যথায় দম হিসেবে একট...

উত্তর:- আরাফার ময়দানে অবস্থান করার পূর্বে স্ত্রী সহবাস করলে হজ ভঙ্গ হয়ে যায়। অন্যথায় নয়।  সুতরাং প্রশ্নেবর্ণিত ব্যক্তি আরাফার ময়দানে অবস্থানের পূর্বে স্ত্রী সহবাস করলে তার হজ ভঙ্গ হয়ে যাবে। অন্যথায় ভঙ্গ হবে না।  ...

উত্তর :- শরীয়তের নীতিমালা অনুযায়ী কোন ব্যক্তি তার প্রয়োজনের অতিরিক্ত টাকা  হজের নিসাব পরিমাণ হলে তার উপর হজ ফরজ হয়। তাই উক্ত ব্যক্তির উপর হজ ফরয নয়। কেননা উক্ত টাকা তার পরিবারের ভরণ পোষণের অতিরিক্ত নয়।   ফাতাওয়া হিন্দিয়া - ১/২৮১; বাদায়ে...

উত্তর :- শরীয়তের নীতি অনুযায়ী দমে শুকর (হজ ও ওমরা একসাথে করার শুকরিয়া)  এর গোশত যে কেউ খেতে পারবে। আর দমে জেনায়াতের (ত্রুটি বিচ্যূতির জন্য আবশ্যকীয় কোরবানির) গোশত সদকা করা ওয়াজিব।   ফাতহুল বারি - ৩/১৫০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া - ১/৩৬২; আপকে মাসায়...