Month: July 2021

উত্তর: শরয়ী দৃষ্টিতে নিরাপত্তা চুক্তি দ্বারা মুসলমানদের জন্য কাফেরদের জান মাল এবং কাফেরদের জন্য মুসলমানদের জান মাল হারাম হয়ে যায়। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে মুসলমানরা যদি নিরাপত্তা নিয়ে দারুল হরবে যায়। তাহলে তাদের জন্য কাফেরদের জান মালের ক্ষতি কর...

উত্তর: শরয়ী দৃষ্টিতে জিহাদ চলাকালে কাফেরদের মহিলা, শিশু, বৃদ্ধ ও পাগল ইত্যাদি এবং উপাসনালয়ে থাকাবস্থায় তার রক্ষণাবেক্ষণকারীসহ যেসমস্ত লোক যুদ্ধে কোন ধরণের সহযোগীতা করে না তাদেরকে হত্যা করার অনুমতি নেই। তবে স্থান, কাল, পাত্র-ভেদে মুসলিম সেনাপতি প্রয়োজ...

উত্তর: শরয়ী দৃষ্টিতে শহীদ বলা হয় যাকে কোন মুশরেক, হারবী, রাষ্ট্রদ্রোহী বা ডাকাত কর্তৃক হত্যা করা হয়েছে অথবা যখমসহ জিহাদের ময়দানে মৃত পাওয়া গেছে অথবা কোন মুসলিম অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে শাপলা চত্তরে যাদেরকে অন্যায়ভাবে হত্...

উত্তর: শরয়ী দৃষ্টিতে জিহাদ ফরযে আইন হওয়ার জন্য শর্ত হলো- আমীরুল মুজাহিদীন কর্তৃক ‘নফীরে আম’ তথা আপামর সকলকে জিহাদে অংশগ্রহণের নির্দেশ করা। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে আমীরুল মুজাহিদীন ‘নফীরে আমে’র (আপামর সকলকে জিহাদে অংশগ্রহণের নির্দেশ ) ঘোষণা করল...

উত্তর: শরয়ী দৃষ্টিতে জিহাদ বলা হয় দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য কাফেরদের সাথে শ্রম দিয়ে সম্পদ নিয়ে বা কথা দিয়ে প্রচেষ্টা চালানোকে। তবে স্বীয় প্রবৃত্তি, শয়তান ও গুনাহগারদের বিরোধিতা করাও জিহাদের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে তাবলীগে যাওয়াও আভিধা...

উত্তর: শরয়ী দৃষ্টিতে ইবাদতের বিনিময়ে পারিশ্রমিক নেয়া বৈধ নয়। মায়্যিতে জন্য কবর খনন করা ফরযে কিফায়া যা ইবাদতের অন্তর্ভূক্ত। তাই কবর খনন করে টাকা নেয়া জায়েয হবে না। তবে যদি উক্ত এলাকায় একাধিক কবর খননকারী থাকে তাহলে পারিশ্রমিক নেয়া বৈধ হবে। অথবা যদি ...

উত্তর: শরয়ী দৃষ্টিতে মানুষের কল্যাণে আসে এমন প্রাণী শিকার করা বৈধ। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে খাওয়া যায় না এমন প্রাণী যদি কোন প্রকার উপকারে আসে তাহলে শিকার করা জায়েয আছে। তবে ঠিক না।   ফাতাওয়ায়ে কাজীখান ৩-২৫৩, ফাতাওয়ায়ে সিরাজিয়্যাহ ৩৭৩...

উত্তর: শরয়ী দৃষ্টিতে মুসলিম রাষ্ট্রের কাফের এবং মুসলমান কিছু কিছু বিধানের ক্ষেত্রে একই রকম। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে অমুসলিমরা নিঃশর্তে ও মুক্ত হস্তে মাদরাসা মসজিদে দান করলে তাদের দান গ্রহণ করা যাবে।   হিদায়া ৪-২৫৭, আলইখতিয়ারু লিতালিল ম...

উত্তর: কোরআন হাদীসের স্পষ্ট বর্ণনা অনুযায়ী কোন প্রাণীর ছবি অংকন করা বা ভাস্কর্য নির্মাণ ইত্যাদি নাজায়েয ও হারাম। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে চারুকলা পরীক্ষায় যে কোন ধরণের প্রাণীর ছবি অংকন করা নাজায়েয ও হারাম।     মুসলিম ২-২০১, র...

উত্তর: ইসলামী আকিদা-বিশ্বাস অনুযায়ী শিয়ারে ইসলাম বা ইসলামের নিদর্শনাবলী এবং উলামায়ে কেরাম কে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা কুফরী। সুতরাং  প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে যদি উক্ত বাক্য উলামায়ে কেরামের হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে বলা হয় তাহলে কুফরী হবে। আর যদি উক্ত বাক...

উত্তর: ইসলামী আকিদা-বিশ্বাস অনুযায়ী সমস্ত সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুম ক্ষমাপ্রাপ্ত ও সত্যেও মাপকাঠি। সুতরাং  প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে যদি সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুমদের কে সত্যেও মাপকাঠি না মানে তাহলে সে গোমরাহ ও পথভ্রষ্ঠ।    ...

উত্তর: শরীয়তের মূলনীতি অনুযায়ী নামাযের বিধান অস্বীকার করা কুফরী আর অমান্য করা গোমরাহী। সুতরাং  প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে যদি এ কথা বলার দ্বারা নামায অস্বীকার করা উদ্দেশ্য না হয় তাহলে ঈমান নষ্ট হবে না, কিন্তু গুনাহ হবে। তবে যদি অস্বীকার করার উদ্দেশ্যে ব...

উত্তর: শরীয়তের মূলনীতি অনুযায়ী শিআ’রে ইসলাম তথা ইসলামের নিদর্শনাবলীকে ঠাট্টা বিদ্রুপ করার দ্বারা ঈমান চলে যায়। সুতরাং  প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে আযানের আওয়াজ শুনার পর বিরক্তি প্রকাশের দ্বারা ঈমান নষ্ট হবে না। তবে এমনটিও করা অনুচিত। তবে যদি বিদ্রুপাত্মক...

উত্তর: কুরআন সুন্নাহ অনুযায়ী বুঝা যায় যে, জিহাদ ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ফরজ বিধান। যা কেয়ামত পর্যন্ত পৃথিবীর কোন না কোন স্থানে বিদ্যমান থাকবে। সুতরাং  প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে যদি ব্যাখ্যা বিশ্লেষন করে জিহাদের ধারাবাহিকতাকে অস্বীকার করে তাহলে...

উত্তর: ইসলামী আকীদা বিশ্বাস অনুযায়ী অকাট্যভাবে প্রমাণিত কোন বিধান অস্বীকার বা ঠাট্টা - বিদ্রুপ করার দ্বারাও ঈমান চলে যায়। তবে অমান্য করার দ্বারা ঈমান না গেলেও মারাত্মক গুনাহগার হয়। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত ব্যক্তি যদি হারামকে হারাম মনে করে। কিন্তু কা...