Day: August 10, 2021

উত্তর :- প্রশ্নোক্ত সূরতে আপনার রোযাটি মূলত নফল ছিলো। তাই সে রোযা ভাঙার কারণে আপনার উপর সেদিনের রোযার কাযা ওয়াজিব হয়নি। তবে সে রোযাটি কাযা করা উত্তম।   কিতাবুল আছল- ২/১৬৩, মাবসূত সারাখসী- ৩/৮১, বাদায়েউস সানায়ে- ২/১০৪।...

উত্তর :-  স্বামীর খেদমত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। তাই নফলের কারণে স্বামীর খেদমতের ব্যাঘাত হলে খেদমতকেই প্রাধান্য দিতে হবে। নফল রোযা অন্য সময় আদায় করে নিবেন। একারণে হাদীসে নফল রোযা রাখার জন্য স্ত্রীকে স্বামীর অনুমতি চাওয়ার কথা বলা হয়েছ...

উত্তর :- রোযা রাখার পর সফর করলে রোযা ভাঙতে পারবে না। কেননা মুকীম অবস্থায় তার উপর রোযা ফরয় হয়ে গিয়েছে। এখন সফরের কারণে এ ফরয শিথিল হবে না। তবে রোযা ভেঙে ফেললে শুধু কাযা ওয়াজিব হবে। কাফফারা ওয়াজিব হবে না।   মাবসূত সারাখসী- ৩...

উত্তর: - প্রশ্নোক্ত অস্থায়ী নামাযের ঘরটি যেহেতু ‘শরঈ মসজিদ’ নয় তাই তাতে ইতিকাফ সহীহ হবে না। ইতিকাফ সহীহ হওয়ার জন্য ‘শরঈ মসজিদ’ হওয়া জরুরি। কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে, (তরজমা) তোমরা মসজিদে ইতিকাফরত অবস্থায় তাদের (স্ত্রীদের) সাথে মিলিত হয়ো না। ...

উত্তর :- প্রশ্নোক্ত সূরতে মহিলার রোযার মান্নতটি কোনোরূপ শর্ত ছাড়া সংঘটিত হয়েছে। এরূপ মান্নতের রোযা যে কোনো সময় রাখা যাবে। সবগুলো একসাথে বা পৃথক পৃথকও রাখা যাবে। এ ধরনের মান্নতের রোযার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় বা নির্দিষ্ট কোনো সূরত অবল...

উত্তর :- দিনের বেলা মাসিক বন্ধ হয়ে যাবে এ ধারণায় সাহরী খেয়ে রোযার নিয়ত করলেও রোযা হবে না। কেননা, সুবহে সাদিকের সময় মাসিক চলমান থাকার পর পরবর্তীতে বন্ধ হলেও ঐদিনের রোযা রাখার অনুমতি নেই। হ্যাঁ, যদি রাতে বা সুবহে সাদিকের পূর্বে বন্ধ...

উত্তর: :- আপনার নানু বাসাটির অন্য কক্ষেও ইতিকাফ করতে পারবেন। তবে যে কক্ষে ইতিকাফ করতে চাচ্ছেন ঐ কক্ষকে আপাতত তার নামায-ঘর হিসেবে নির্দিষ্ট করে নিতে হবে এবং ইতিকাফের পূর্ণ সময় এ ঘরেই অবস্থান করতে হবে।   মাবসূত, সারাখসী ৩/১১৯; আলবিনায়াহ ৪/...

উত্তর :-  লাগাতার কয়েকটি রোযা আদায় করার ক্ষেত্রে পৃথক পৃথক নিয়ত করাই উত্তম। প্রতিদিন সাহরী খাওয়ার সময় নিয়ত করে নিবেন। মূলত: নিয়ত উচ্চারণ করা আবশ্যক নয়। রোযার উদ্দেশ্যে সাহরী খেলেও রোযার নিয়ত পূর্ণ হয়ে যায়। তবে এক সাথে নিয়ত করে নিলেও ...

উত্তর:প্রশ্নোক্ত অবস্থায় ইতিকাফকারী ব্যক্তি ঐ সিড়ি ব্যবহার করে নিচ তলায় এসে কাতারের সাথে মিলে দাঁড়াতে পারবে। এক্ষেত্রে মসজিদের বাইরের সিড়ি ব্যবহার করার কারণে তার ইতিকাফ নষ্ট হবে না।   মাবসূত সারাখসী ৩/১১৭; তাবয়ীনুল হাকায়েক ১/৩৫০; ফা...

উত্তর:- প্রশ্নোক্ত অবস্থায় আপনার মহল্লা যেহেতু মুহাম্মাদপুরের ভেতরেই সুতরাং আপনার মহল্লায় নামায শেষ হওয়ার আগেও কুরবানী করতে পারবেন। কারণ, একটি গ্রাম, শহর বা একটি এলাকার কোনো এক জায়গায় ঈদের নামায আদায় হয়ে গেলেই ঐ পুরো এলাকাবাসীর জন্য কুরবানী করা জায...

উত্তর :- : সাপোজিটর যদি পেটের অভ্যন্তরে পৌঁছে যায়, তাহলে রোযা ভেঙে যাবে। রোযা অবস্থায় অতীব প্রয়োজন না হলে তা ব্যবহার করবেন না।   কিতাবুল আছল- ২/১৯১, মাবসূত সারাখসী-৩/৬৭, আল-মহীতুল বুরহানী- ২/৩৮৩।...

উত্তর: -পুরুষের ইতিকাফ সহীহ হওয়ার জন্য শরয়ী মসজিদ হওয়া জরুরি। নামায-ঘরে ইতিকাফ সহীহ হবে না। তাই ইতিকাফে বসতে চাইলে মসজিদেই বসতে হবে। খানা আনা-নেওয়ার জন্য কেউ না থাকলে ইতিকাফ অবস্থায় খানা নেওয়ার জন্য বাড়ি যেতে পারবেন। তবে খানা নিয়ে দ্রুত মসজিদ...

উত্তর:- প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে মান্নতের পরে ঐ ব্যক্তি যেহেতু নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছে তাই তাকে দুটি কুরবানী করতে হবে। একটি সাধারণ ওয়াজিব কুরবানী, অপরটি মান্নতের কুরবানী। একটি কুরবানী উভয়টির জন্য যথেষ্ট হবে না। আর মান্নতের কুরবানীর গোশত সে ও তা...

  উত্তর :- দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা সুপারি বা খাবারের টুকরো দাঁতের ফাঁক থেকে বের করে ফেলে দিতে হবে। দাঁতের ফাঁক থেকে বের করে ইচ্ছাকৃত গিলে ফেলা ঠিক নয়। সুপারির টুকরো ছোলার পরিমান হলে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। আর তারচে’ ছোট হলে রোযা ন...

উত্তর:- বুঝমান নাবালেগের ইতিকাফ সহীহ। তবে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্য থেকেই ইতিকাফে বসা উচিত । কেননা রমযানের শেষ দশকের ইতিকাফ অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ ইবাদত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা গুরুত্ব সহকারে আদায় করতেন। তাই এ ব্যাপারে উদাসীনতা মোটেই...