সাধারণত যাদের একাধিক কুরবানী থাকে তাদেরকে ১০ তারিখে একটি এবং ১১ বা ১২ তারিখে অন্যটি কুরবানী করতে দেখা যায়। বিনাওজরে এমন করা ঠিক নয়। বিনাওজরে প্রথমদিন কুরবানী না করে পরে কুরবানী দেওয়া অনুত্তম। -মুআত্তা মালেক ১৮৮; বাদায়েউস্ সানায়ে ৪/১৯৮; আলমগীরী ৫...
View Detailsঅনেক ক্ষেত্রে জবাইকারী জবাই করতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে কসাই বা অন্য কেউ এসে ছুরি ধরে এবং বাকি জবাই পূর্ণ করে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ব্যক্তিকে বিসমিল্লাহ বলতে শােনা যায় না। যদি প্রথম ব্যক্তির জবাই সম্পন্ন না হয় (অর্থাৎ দুই শাহরগ, শ্বাস নালী ও খাদ...
View Detailsঅনেকেই কুরবানীর পশু মসজিদের ইমাম বা হুজুরকে দিয়ে জবাই করানাে জরুরি মনে করে। অথচ এটি ভুল ধারণা। কুরবানীদাতা জবাই করতে জানলে নিজেই জবাই করা উত্তম। -মুসনাদে আহমাদ হাদীস ২২৬৫৭; আলমগীরী ৫/৩০০; ইলাউস্ সুনান ১৭ /২৭১-২৭৪; বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২২...
View Detailsঅনেকে অন্তঃসত্ত্বা পশুর কুরবানী না জায়েয মনে করে থাকে। অথচ এধারণা সহীহ নয়। এধরনের পশুর কুরবানী জায়েজ। তবে বাচ্চা দেওয়ার সময় আসন্ন হলে সেটা কুরবানী করা মাকরূহ। -কাযী খান ৩/৩৫০; আলমগীরী ৫/৩০২ ...
View Detailsঅনেকে মনে করেন, পশুর শিং অল্পস্বল্প ভাঙ্গা থাকলেই ওই পশু দ্বারা কুরবানী হবে না। এ ধারণা ঠিক নয়। সহীহ মাসআলা হল, যে পশুর শিং একেবারেই গােড়া থেকে ভেঙ্গে গেছে, যে কারণে মস্তিস্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে পশুর কুরবানী জায়েজ নেই। পক্ষান্তরে যে পশুর শিং আংশ...
View Detailsউত্তর :-শুধু যিলহজ্বের ১০ তারিখে কুরবানীর নেসাব পরিমাণ সম্পদ না থাকলে কুরবানী ওয়াজিব হবে না বলে ধারণা করা হয়। ফলে যিলহজ্বের ১১ বা ১২ তারিখে কারাে কারাে কাছে হঠাৎ কোনভাবে নেসাব পরিমাণ সম্পদ আসলে সে আর কুরবানী করে না। যেমন, যে অবিবাহিত মেয়ের উপর কুর...
View Detailsউত্তর :- অনেকে মনে করেন, যাকাত ফরয হওয়ার জন্য যে ধরনের সম্পদ জরুরি যেমন, টাকা-পয়সা , সােনা-রুপা, ব্যবসায়িক সম্পদ, তেমনি কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার জন্যও একই শর্ত। ফলে কোন কোন স্বচ্ছল পরিবারের লোকজনকেও কুরবানী দিতে দেখা যায় না। এটি ভুল ধারণা। সঠিক মাস...
View Detailsউত্তর :- কুরবানি ও আকীকা আলাদাভাবেই করা উচিৎ। তবে একত্রে করলে আদায় হবে না তা নয়। একত্রে করলেও কুরবানী-আকীকা দুটোই আদায় হবে। কারণ আকীকাও এক ধরনের কুরবানী। হাদীস শরীফে আকীকার উপরও ‘নুসুক’শব্দের প্রয়োগ হয়েছে। আর এখানে ‘নুসুক’অর্থ কুরবানী। হাদীসের আ...
View Detailsউত্তর: ৯ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১৩ যিলহজ্ব আসরসহ প্রত্যেক ফরয নামাযের পর একবার তাকীবরে তাশরীক তথা- الله أكبر الله أكبر، لا إله إلاالله والله أكبر الله أكبر ولله الحمد. বলা ওয়াজিব। এই তাকবীর তিনবার বলা সুন্নত বা মুস্তাহাব নয়। সাহাবায়ে কেরাম রা. ...
View Detailsউত্তর :- মহিলারা এই তাকবীরে তাশরীকটি নিচু স্বরে আদায় করবে। উচ্চ স্বরে নয়। -রদ্দুল মুহতার ২/১৭৯; হাশিয়া তাহতাবী ১/৩৫৭; হিন্দিয়া ১/১৫২...
View Detailsউত্তর :- কোনো ব্যক্তি নামাযে মাসবুক হলে ইমাম সাহেব সালাম ফিরানোর পর দাঁড়িয়ে স্বীয় নামায আদায় করার পর তাকবীরে তাশরীক বলবে। -মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ৪/২৩৯-২৪০; বাদায়েউস সানায়ে ১/৪৬২; রদ্দুল মুহতার ২/১৮০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৫২...
View Detailsউত্তর :- ঈদুল আযহায় ঈদগাহে পৌঁছার আগ পর্যন্ত পথে পথে উচ্চস্বরে তাকবীর বলে বলে যাবে। -মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ৪/১৯২-১৯৪; দারাকুতনী ২/৪৪-৪৫; ইলাউস সুনান ৮/১১৪-১১৯; বাদায়েউস সানায়ে ১/৬২৫; আলমুহীতুল বুরহানী ২/৫১৩; ফাতাওয়া খানিয়া ১/১৮৩ ....
View Detailsউত্তর :- আইয়ামে তাশরীকের কোনো নামায কাযা হয়ে গেলে ঐ দিনগুলোর মধ্যে তার কাযা আদায় করলে তাকবীর বলা ওয়াজিব। কিন্তু এই কাযা পরবর্তী অন্য সময় আদায় করলে বা আইয়ামে তাশরীকের আগের কাযা নামায ঐ দিনগুলোতে আদায় করলে তাকবীর বলা ওয়াজিব নয়। -বাদায়েউস স...
View Detailsউত্তর :-কোনো সময় সকলেই বা কেউ কেউ তাকবীর বলতে ভুলে গিয়ে মসজিদ থেকে বের না হয়ে গেলে তাকবীর আদায় করে নিবে। আর যদি মসজিদ থেকে বের হয়ে যায় তাহলে এই ওয়াজিব ছুটে যাবে। এই ওয়াজিবের কোনো কাযা নেই এবং ওয়াজিব ছেড়ে দেওয়ার কারণে ঐ ব্যক্তি গুনাহগার হবে। ...
View Detailsউত্তর :- উচ্চস্বরে একবারই তাকবীর বলা ওয়াজিব। -ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৫২; রদ্দুর মুহতার ২/১৭৮...
View Details