Month: August 2021

উত্তর :- বছরের শুরুতে নেসাবের মালিক হওয়ার পর বছর শেষ হাওয়ার পূর্বেই যদি টাকা খরচ হয় তাহলে যাকাত ফরয হবে না। কেননা, যাকাত ফরয হওয়ার জন্য শর্ত হলো, নেসাব পরিমাণ সম্পদ বছরের শেষ পর্যন্ত বাকি থাকতে হবে। অবশ্য বছরের মাঝে যদি টাকা খরচ হয়ে ...

উত্তর :- যাকাত আদায়ের ক্ষেত্রে আরবী বছর ধর্তব্য। নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়ার পর আরবী তারিখের হিসেবে বছর পুরো হলে যাকাত দিতে হবে।   আল-বাহরুর রায়েক- ২/২০৯, আন-নাহরুল ফায়েক- ১/৪১৪, ফাতাওয়া হিন্দিয়া- ১/১৭৫...

উত্তর :- প্রশ্নোক্ত ব্যক্তিটি যাকাতের উপযুক্ত হলে তাকে যাকাতের ঐ টাকা দেওয়া যাবে। এতে আপনার যাকাত আদায় হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, যাকাত ফরয হওয়ার সাথে সাথেই আদায় করা কর্তব্য। যাকাতের টাকা জমা রাখা উচিত নয়।   হিদায়া- ১/১১০, তাব...

উত্তর :- আপনার গ্রামের বাড়ির যাকাত ফরয নয়। গ্রামের বাড়ি আপনার বাসস্থান বলে বিবেচিত হবে। আর বাসস্থানের উপর যাকাত ফরয হয় না।   বাদায়েউস সানায়ে- ২/১১, আল-বাহরুর রায়েক- ২/২২২, রদ্দুল মুহতার- ২/২৬২।...

উত্তর :- ইফতার সূর্যাস্তের সাথে সম্পৃক্ত। তাই প্রশ্নোক্ত ব্যক্তির সফরকালে যেখানে সূর্যাস্ত হবে সেখানেই ইফতার করবে। যদি পথিমধ্যে ইফতারের সময় না হয় বরং সৌদি আরব যাওয়ার পর হয়, তাহলে সৌদি পৌঁছার পর ইফতার করবে। কেননা, কুরআনুল কারীমে আল্ল...

উত্তর :- রমাযানের রোযা রেখে মাথাব্যথা বা কোমর ব্যথার জন্য ভিকস, বাম অথবা নিক্স জাতিয় ঔষধ ব্যবহার করতে পারবেন। এতে রোযার কোনো সমস্যা হবে না। শরীরের ত্বকে তেল বা ঔষধ ব্যবহার করলে সরাসরি পাকস্থলীতে যায় না। তাই রোযাও ভাঙবে না।   ...

উত্তর :- রোযার সময় সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত। এ সময়ের অর্ধেক অতীত হওয়ার পূর্বেই নফল রোযার নিয়ত করলে নিয়ত সহীহ হবে। রোযাও আদায় হবে। ১০ই মুহাররমের রোযা নফল, তাই আপনার উপর্যুক্ত নিয়ত সহীহ হয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া...

উত্তর :- বেহুঁশ করার জন্য বা অঙ্গ অবশ করার জন্য যদি ঔষধ খাওয়ানো হয়, তাহলে রোযা ভেঙে যাবে। আর যদি ইনজেকশনের মাধ্যমে বেহুঁশ করা হয়, তাহলে রোযা ভাঙবে না। কেননা ইনজেকশন রগে বা গোশতে পুশ করা হয়। আর রগ বা গোশত থেকে কোনো কিছু পেটে পৌঁছায় না। তাই এতে রোযা ভ...

উত্তর :- মলদ্বারের সৃষ্ট নরম গোটা অংশটি যদি পেটের অভ্যন্তর থেকে বের হয় এবং তা পানি দিয়ে ধৌত করে বা কোনো ঔষধ ব্যবহার করে পরিষ্কার না করেই পুনরায় ভিতরে প্রবেশ করানো হয়, তাহলে রোযা ভেঙে যাবে। আর পরিষ্কার করে প্রবেশ করালে রোযা ভাঙবে না। ...

উত্তর :- প্রশ্নে বর্ণিত হোমিওপ্যাথিক ঔষধ জিহ্বার মাধ্যমেই রক্তে মিশে গেলে এবং পেট বা মস্তিষ্কে না পৌঁছালে তা দ্বারা রোযা নষ্ট হবে না। আর ওযরের কারণে হলে মাকরূহও হবে না।সুতরাং রোযা রেখে রোগীরা এ জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করতে পারবে। তবে কোনভ...

উত্তর :-: রমাযানের রোযার নিয়তকালে শুধু রোযার নিয়ত করলেই চলবে। সুনির্দিষ্টভাবে ফরয বলা বা স্মরণ করা আবশ্যক নয়। কেননা রমাযান মাসে রোযা রাখলে তা রমাযানের রোযা বলেই বিবেচিত হবে। এমনকি নফলের নিয়ত করলেও রমাযানের রোযাই আদায় হবে, নফল নয়। তাই...

উত্তর :- প্রশ্নোক্ত সূরতে আপনার রোযাটি মূলত নফল ছিলো। তাই সে রোযা ভাঙার কারণে আপনার উপর সেদিনের রোযার কাযা ওয়াজিব হয়নি। তবে সে রোযাটি কাযা করা উত্তম।   কিতাবুল আছল- ২/১৬৩, মাবসূত সারাখসী- ৩/৮১, বাদায়েউস সানায়ে- ২/১০৪।...

উত্তর :-  স্বামীর খেদমত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। তাই নফলের কারণে স্বামীর খেদমতের ব্যাঘাত হলে খেদমতকেই প্রাধান্য দিতে হবে। নফল রোযা অন্য সময় আদায় করে নিবেন। একারণে হাদীসে নফল রোযা রাখার জন্য স্ত্রীকে স্বামীর অনুমতি চাওয়ার কথা বলা হয়েছ...

উত্তর :- রোযা রাখার পর সফর করলে রোযা ভাঙতে পারবে না। কেননা মুকীম অবস্থায় তার উপর রোযা ফরয় হয়ে গিয়েছে। এখন সফরের কারণে এ ফরয শিথিল হবে না। তবে রোযা ভেঙে ফেললে শুধু কাযা ওয়াজিব হবে। কাফফারা ওয়াজিব হবে না।   মাবসূত সারাখসী- ৩...

উত্তর: - প্রশ্নোক্ত অস্থায়ী নামাযের ঘরটি যেহেতু ‘শরঈ মসজিদ’ নয় তাই তাতে ইতিকাফ সহীহ হবে না। ইতিকাফ সহীহ হওয়ার জন্য ‘শরঈ মসজিদ’ হওয়া জরুরি। কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে, (তরজমা) তোমরা মসজিদে ইতিকাফরত অবস্থায় তাদের (স্ত্রীদের) সাথে মিলিত হয়ো না। ...