Day: September 3, 2021

উত্তর: লাগাতার কয়েকটি রোযা আদায় করার ক্ষেত্রে পৃথক পৃথক নিয়ত করাই উত্তম। প্রতিদিন সাহরী খাওয়ার সময় নিয়ত করে নিবেন। মূলত: নিয়ত উচ্চারণ করা আবশ্যক নয়। রোযার উদ্দেশ্যে সাহরী খেলেও রোযার নিয়ত পূর্ণ হয়ে যায়। তবে এক সাথে নিয়ত ক...

উত্তর : আপনি যে পানি দিয়ে অযু করার কথা উল্লেখ করেছেন তা মায়ে মুসতামাল অর্থাৎ ব্যবহৃত পানি। ব্যবহৃত পানি দিয়ে অযু করলে বা অযুর কোনো অঙ্গ ধৌত করলে অযু শুদ্ধ হবে না। অতএব, আপনি সেই পানি দিয়ে পা ধৌত করতে পারবেন না। ধৌত ক...

উত্তর ‘নিজেদের মালিকানায় নেই’ এমন পণ্যের বিক্রির ব্যাপারে হাদীস শরীফে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। কেননা এতে ধোঁকা ও প্রতারণার সম্ভাবনা থাকে। বিক্রেতা পরবর্তীতে পণ্য পাবে কি না বা পেলেও পণ্যের যে গুণাবলির কথা উল্লেখ ছিল, সে ধরনের পণ্য ক্রেতাকে বুঝিয়ে দিতে প...

উত্তর না, আপনাদের উক্ত চুক্তি বৈধ হয়নি। গরু লালন-পালনের বিনিময়ে এভাবে অতিরিক্ত মূল্য ভাগাভাগির চুক্তি করা সহীহ নয়। উক্ত চুক্তি বাতিল করে দিতে হবে। এরপর জায়েয পন্থায় করতে চাইলে, ঐ ব্যক্তির গরু পালার জন্য মাসিক বা বাৎসরিক বেতন নির্ধারণ করে দিতে হবে।...

উত্তর প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহেতু পুঁজি ও কারবার যৌথ নয় এবং শ্রমও যৌথ নয় তাই এক্ষেত্রে লভ্যাংশ বণ্টনের পদ্ধতি সহীহ হয়নি। এক্ষেত্রে ভাড়া চুক্তিই করতে হবে। অর্থাৎ দোকানের ঐ স্পেস ব্যবহারের জন্য সে নির্ধারিত ভাড়া পরিশোধ করবে। আর কম্পিউটার থেকে যা আয় হ...

উত্তর হাঁ, প্রশ্নোক্ত অবস্থায় মোবাইল সেটটির মূল্য আপনার আদায় করে দেওয়া জরুরি। এক্ষেত্রে উক্ত গরিব লোকটি যেহেতু পণ্যটি বিক্রি করে ফেলেছে তাই তার থেকে সেটি বা এর মূল্য চাওয়া যাবে না। গরিব লোকটির টাকা আপনার পক্ষ থেকে সাদকা হিসাবে গণ্য হবে। এর সওয়াব আ...

উত্তর প্রশ্নোক্ত অবস্থায় সমিতির সাথে গাড়ি ঠিক করানোর ব্যাপারে মুরাবাহা চুক্তি করা সহীহ হয়নি। কেননা এটা মূলত শ্রমনির্ভর কাজ। এধরনের কাজে মুরাবাহা হয় না। সুতরাং প্রশ্নোক্ত লেনদেনকে মুরাবাহা নাম দেওয়া হলেও তা এক প্রকারের সুদি চুক্তির অন্তর্ভুক্ত হয়ে ...

উত্তর ব্যাংকের নমীনি পদ্ধতি রাখা হয় একাউন্টধারীর মৃত্যুর পর যেন নমীনি মৃতের টাকা ব্যাংক থেকে তুলে নিতে পারে। তাকে মালিক বানানোর জন্য নমীনি করা হয় না। তাই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার খালুর ব্যাংকে রেখে যাওয়া টাকা তার সকল উত্তরাধিকারীর মাঝে মিরাছনীতি ...

উত্তর :- ইসলামে দাড়ানো  অবস্থায় তাকবীরে তাহরীমা বলা ফরজ। আর তাকবীরে তাহরীমা বলার সময় কান বরাবর হাত তোলা ও বাধা -সুন্নাত। তাই, জনৈক  ব্যক্তি  দাড়ানো অবস্থায় তাকবীরে তাহরীমা বলে রুকুতে গিয়ে ইমামের সাথে শরীক হয় তাহলে তার নামায শুদ্ধ হয়ে যাবে। হ্যা...

উত্তর :- আসরের নামাযের সময় কখন থেকে শুরু হয়  সে ব্যাপারে হানাফি ও সালাফিদের ওলামাদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে। ছায়া বা  প্রতিবিম্বের হিসেবে যখন কোন মানুষের ছায়া (মূল ছায়া ব্যতিরেকে) তার দ্বিগুণ  হবে তখন থেকেই আসরের ওয়াক্ত শুরু হবে। আর সালাফিরা বলেছেন- ছায়া...

উত্তর :- শরয়ী নীতিমালা অনুযায়ী সকল প্রকার যাদু-টোনা হারাম। তাই কালো জাদুও হারাম। এবং এর মাধ্যমে জীনদের বশ করা ও তাদের কাছ হতে সহযোগীতা গ্রহণ করাও হারাম, কবিরা গুণাহ।   আল মিনহাজ – ২/২২১; ফাতাওয়া  শামি – ১/৪৪; আল ঈদুল ইসলামি – ১৪/৪৭।...

উত্তর :- দীনের আবশ্যকীয় বিষয়গুলোর যেকোন একটিকে অস্বীকার করলে সে কাফের হয়ে যাবে। আর হাশর তথা পরকাল দীনের আবশ্যকীয় বিষয়গুলোর একটি। তাই হাশরে বিশ্বাস না  রাখলে সে  কাফের হয়ে যাবে।   তাফসিরে কাবীর – ৬/৭৩; রদ্দুল মুহতার – ১/২৭৭; জাওয়াহিরুল ফিকা...

  উত্তর :- কোরান-সুন্নাহর বর্ণনা  মোতাবেক নবী সা. সত্ত্বাগতভাবে মাটির তৈরী। তাই, নবী সা.কে সত্ত্বাগতভাবে মাটির তৈরী হওয়া- অস্বীকার করা প্রকারান্তরে কোরান-হাদিসের বর্ণনাকে অস্বীকার করা। আর পবিত্র কোরানের  কোন আয়াত বা বিধানকে অস্বীকার করলে স...

উত্তর :- ইসলামে কেবল মুসলমানদের ইবাদতের স্থানকে মসজিদ বলা যায়। আর কাদিয়ানীরা নবী আ. কে শেষ নবী মানতে অস্বীকার করায় সকল উম্মতের ঐকমত্য হলো তারা -কাফের। আর কোন কাফের বা বিধর্মীদের উপাসনালয়কে মসজিদ বলা যায় না।   সুরা হাজ্জ- ৪০; সহিহ বুখারী – ...

উত্তর :- কোন মুসলমান ঈমানদার ব্যক্তি  এমন কোন কাজে শরীক হয় যা স্পষ্টত কুফরি। তাহলে তার ঈমান চলে যায়। তাই কোন মুসলমান  বিধর্মীদের ধর্মীয় রীতি-আচার পালনে অংশগ্রহণ করলে তার ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে। এবং সে কাফের হয়ে যাবে। তবে, যদি সে কেবল দেখার জন্যই গিয়ে থাক...