গতবছর পবিত্র ঈদুল আযহার সময় আওয়ামীলীগের এক প্রগতিবাদী নেত্রী কোরবানির পশুকে মুক্ত আকাশের নিচে উন্মুক্ত ছেড়ে দিয়ে কোরবানির নামে তামাশা করে আলোচনায় এসেছিলেন। কোরবানির পশুকে কোরবানি না দিয়ে মুক্ত আকাশের নিচে উন্মুক্ত ছেড়ে দেওয়ার যৌক্তিকতা সিহেবে তিনি আত্মত্যাগের বিষয়কে সামনে এনেছিলেন। মূলত তিনি পশু প্রেমের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে গিয়ে শরিয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধানকে অবজ্ঞা করলেন। এটি কোরবানি তো হয়নি; বরং শরিয়ত নিয়ে তাচ্ছিল্য করা হয়েছে স্পষ্টভাবে।
.
চলতি বছর প্রতিবেশী বন্ধু দেশের অবন্ধুসুলভ আচরণে উত্তরবঙ্গে সৃষ্টি হওয়া বাঙলার ইতিহাসের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত, খাদ্য, বস্ত্র এবং গৃহহীন অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে সাধ্যমতো ত্রাণসামগ্রী নিয়ে ইতোমধ্যে কিছুকিছু রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক সংঘটন ও ধনাঢ্য ব্যক্তিরা এগিয়ে আসলেও তা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের তুলনায় নিতান্তই অপ্রতুল। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে এরচেয়ে আরো বৃহৎ আকারের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অত্যাবশ্যক। সেই সুযোগে ইসলামের বেশধারী কিছু প্রগতিবাদীরা পবিত্র কোরবানি নিয়ে পুনরায় পণ্ডিতি শুরু করেছেন।
.
তারা বলছেন, কোরবানি হলো আত্মত্যাগের বিরল এক দৃষ্টান্ত। আর এই আত্মত্যাগ হলো মহান রবের সান্নিধ্য লাভের শ্রেষ্ঠ সুযোগ। তো এই সুযোগগে কাজে লাগিয়ে যদি কোরবানির নির্ধারিত অর্থগুলো বানভাসি মানুষের পিছনে ব্যয় করা হয়, তাহলে একঢিলে দুই পাখী শিকার হবে। প্রথমত আত্মত্যাগের সেই দায়িত্ব পালন করা হবে।দ্বিতীয়ত বানভাসি ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষগুলো এর মাধ্যমে উপকৃত হবে। আহ! প্রগতিবাদীদের এ কেমন যুক্তি দেখেছেন?কোথায় কী প্রয়োগ করছেন ভেবেছেন? তারা মূলত সুকৌশলে শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চাইছেন।
.
তারা বোধহয় জানেননা যে শরিয়তের হকুম আহকাম নিয়ে কোনো যৌক্তিকতা চলে না। শরিয়তে যা যেভাবে পালন করার হকুম এসেছে ঠিক সেভাবেই পালন করা বাধ্যতামূলক। কোনো ছলচাতুরীর স্থান শরিয়তে নেই।
প্রতিবছর পবিত্র ঈদুল আযহা তথা কোরবানির ঈদের সময় কিছু অতি পশুপ্রেমী, প্রগতিশীল, মানবতাবাদীর আত্মপ্রকাশ হয়। যারা কিনা কখনো জীবহত্যা মহাপাপ, কখনো পরিবেশ দূষণ, আবার কখনো গোমাতা রক্ষার নামে পবিত্র কোরবানির বিরুদ্ধে অবস্থান নেই। তারা একেক সময় একেক রূপে আত্মপ্রকাশ করে থাকে।
.
আমার ধারণা, তারা অমুসলিমদের ভাড়াটে এজেন্ট!
Maolana Ali Azam
Leave Your Comments