বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি হচ্ছে।
অনন্ত জলিল যদি পর্ন স্টার কিংবা নাস্তিকও হয়ে যেতো, তবুও বোধহয় তাকে নিয়ে এত সমালোচনা হতো না।
অনন্ত জলিল তাবলীগে গিয়ে দ্বীনের উপর চলার চেষ্টা করতেছে। দ্বীন মেনে চলার চেষ্টা করতেছে। আজকে অনন্ত জলিল যে জায়গায় দাড়িয়ে আছে, তার পরিবেশ থেকে এই অবস্থানে আসাটা বিরাট কুরবানীর ব্যাপার।
অথচ তাকে নিয়ে কতিপয় পাবলিক বিশেষ করে আহলে হাদিস সম্প্রদায় রা যেভাবে নোংড়া খেলায় মেতে ওঠেছে, যে যে ভাষায় তাকে কটাক্ষ করতেছে তাতে তারা যে মুসলমান তাই বুঝা যাচ্ছেনা ! কোন মুসলমানের বাচ্চা অন্ধকার থেকে আলোর দিকে ফেরা কোন ভাইকে নিয়ে এমন মন্তব্য করতে পারেনা। আচ্ছা শয়তানের অস্ত্র কি এদের মুখের ভাষার চেয়েও শানিত??
অবস্থা দৃষ্টে যা বুঝা যাচ্ছে, তাতে একটা লোক দ্বীনের ওপর ওঠায় বড় শতানটার চেয়েও এদের গায়ের জ্বালা অনেক বেশী।
সে আরো নষ্ট হয়ে যেতো, একেবারে অন্ধকারের অতল গহব্বরে তলিয়ে যেতো তবুও তাদের কোন মাথাব্যাথা থাকতোনা !!
যেমন- তুই ব্যাটা নায়ক আছিস থাক, দ্বীন পথে চলতে কে কইছে??
ধরুন, যদি অনন্ত জলিল তাবলীগে না গিয়ে কোন এক ঘোমটা শাইখের হাত ধরে দ্বীন মেনে চলার চেষ্টা করতো, তবে আমি নিশ্চিত তারা তাকে শাইখ অনন্ত জলিল হাফিজাহুল্লাহ বানিয়ে ছাড়তো !! যেমনটা আমরা ডা. জাকির নায়েক এর বেলায় দেখেছি। নবী বলতেও বাকী রাখে নাই !!!
এর আগে অন্ধকার থেকে ফিরে আসা নাজনিন আক্তার হ্যাপিকে নিয়েও করেছে এমন নোংড়া তামাশা !!
আমার এলাকার এক ছেলে হিন্দু থেকে মুসলমান হইছে তাবলীগ ওয়ালাদের মাধ্যমে, তাকে নিয়েও করেছে এমন জঘন্য কাজ। সে ছেলেটা এক পর্যায়ে বলতে বাধ্য হয়েছে যে, আমার হিন্দু থাকাটাই ভাল ছিল, এত কনফিউশনে ছিলাম নাহ।
ফেসবুকে এসব বাজে মন্তব্য করা আহলে নফস দের প্রোফাইল ঘেটে দেখবেন, এদের অবস্থা এমন যে, হেগে সুচেনা, মুতে গলা পানিতে যায় !!
তাদের আমি দোষ দিচ্ছিনা, কারন তাদের শাইখরা আলেম উলামার বিদ্বেষের বিষঁ এমনভাবে ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে দিয়েছে যে, আলেম, মৌলভী, মুফতী, মাওলানা নাম শুনলেই গায়ে আগুন ধরে যায় !!
এটা তো আমার নিজের দেখা অভিজ্ঞতা যে, তাদের যে কোন আলোচনায় প্রথম আলোচনা থাকে “ঐসব মোল্লারা কিচ্ছু জানেনা, সব মুর্খ”। তখন ভক্তদের মনে আলেম ওলামার প্রতি বিদ্বেষ থাকাটাই স্বাভাবিক। আর এ বিদ্বেষের ভাইরাস বদ্বীনি ও অধর্মী ভাইরাস থেকেও মারাত্মক। মুসলমান সমাজে যে একাত্বতার রশি রয়েছে তা একদম গোড়া থেকে কেটে দেয়।
নব্য গজিয়ে ওঠা এ ফিতনার প্রভাব মুসলমান সমাজকে টুকরা টুকরা করে ফেলেছে। কাদিয়ানি, শিয়া জামাতের মতো তারাও নিজেদের মতামত নিয়ে মুসলমান সমাজ থেকে পৃথক হয়ে যাচ্ছে। সাহাবী, সলফে সালেহীন, ফক্বীহ, মুহাদ্দিসগনের নাম ধরে ধরে এমন সব গালাগাল, অপবাদ রটিয়ে দিচ্ছে তাতে নাস্তিক, বাম রাম রা আরো বেশী বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে।
সবশেষে বলতে চাই, আলোর দিশারী একজন মানুষকে নিয়ে আর কোন নোংড়া মন্তব্য করে কাফের মুশরেক হাসানোর মতো ঘৃণ্য কাজ করবেন না প্লিজ। অনুরোধ রইলো… আহলে হাদিসের দৃষ্টি নয়, মুসলমানের দৃষ্টি দিয়ে দুনিয়াটাকে দেখুন..
কাঠের চশমা খুলুন…
মাসুদ রানা
Leave Your Comments