দীর্ঘ দু বছর যাবত নাস্তিকতা এবং নাস্তিকদের সাথে লড়াই বেশ কিছু অভিজ্ঞতা হল। তার মাঝে সবচাইতে বড় যে অভিজ্ঞতার কথা আজ আমি বলব তা হল নাস্তিকদের নিজেদের নধ্যেই আদর্শিক মতানৈক্য।
যেহেতু নাস্তিকতার কোন আদর্শ বা ষ্ট্যাণ্ডার্ড নাই সেহেতু তাদের নিজেদের মাঝে নাস্তিকতাকে সেচ্ছাচারিভাবে ব্যাখ্যা করার প্রবণতা দেখা যায়।
যেমন ধরুন সমকামিতা যেহেতু কেবল পুরুষের পক্ষেই সম্ভব (নারিদের ক্ষেত্রে সমকামিতা খুব একটা দেখা যায় না। কারণটা হল মানব দেহ সৃষ্টিকর্তা নারিদের সমকামিতার উপযোগী করে ডিজাইন করেন নাই) সেহেতু নাস্তিক আপুরা সমকামিতার পক্ষে কোন কথা বলতে চান না। এমন কি অনেক নাস্তিক নারী সমকামিতার ঘোর বিরোধী।
স্থুলদেহি কুৎসিত নাস্তিক নারী মেয়েদের সালিন পোশাকের পক্ষে সোচ্চার। কারন স্লিম ফিগারের নারীর সাথে সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতায় সেই নারী পেরে উঠবেন না। হয়ত তিনি তার স্বামী বা বয়ফ্রেন্ড কে কোন সুন্দরীর কাছে হারানোর আশঙ্কা করছেন।
নাস্তিকদের মাঝে কিছু ভন্ড মনে করেন নিজের প্রেমিক বা প্রেমিকার ছাড়া অন্য কারো সাথে শারীরিক সম্পর্ক করা উচিত নয়। অথচ নাস্তিকতায় ব্যভিচার বলে কিছুই নেই।শারীরিক সম্পর্কের ব্যাপারে নাস্তিকতায় কোন বাছ বিচার নেই। বাছ বিচার নেই অজাচারেও (নিষিদ্ধ রক্তের আত্মীয়ের সাথে যৌন সম্পর্ক)
মুলত নিজ স্বার্থে এবং মতের পক্ষে যায় ধর্ম থেকে এমন নিয়ম নীতি অনেক নাস্তিক কপি পেস্ট করতে চান একটা আদর্শ দাঁড় করাবার জন্যে যাতে করে নাস্তিকতার কুৎসিত ভাব দূর করে তাতে কিছু মেক আপ এর প্রলেপ দেয়া যায়।
জনৈক মহাজ্ঞানী সত্যি বলিয়াছিলেন ” পিউর নাস্তিক পাইবেন কই? সবই ছুপা নাস্তিক”
(Collected)
Leave Your Comments