সংক্ষিপ্ত কথায় যুক্তি ও প্রমাণের আলোকে ইসলাম ও দাসপ্রথা নিয়ে মৌলিক ভ্রান্তি নিরসন :
~~~~~~~~~~~~
(১)
একটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজলেই আশা করি বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে যাবে :
ইসলাম কি দাসপ্রথাকে বহাল রাখার জন্য কোনরূপ বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছে?!
কুরআন ও হাদীস থেকে কেউ দেখাতে পারবেন?
কিংবা যখন আইন করে বন্ধ করা হয়েছে, কোন হক্কানী উলামায়ে কিরাম ঐ বর্বর দাসপ্রথার বিরোধিতা কিংবা কোন আন্দোলন করেছেন?!
—————
#তাহলে বিষয়টা কী, ইসলামে এর আসল অবস্থান কতটুকু?
বিষয় মোটামুটি সেটাই, যা শ্রদ্ধেয় Chayan Chowdhury ভাই গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে করে অবুঝ ও জ্ঞানপাপীদেরকে বারবার নানাভাবে বুঝানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
(তাঁর দুটো লেখার লিংক শেষে দেখুন)
———–
(২)
#অর্থাৎ আগে বিভিন্ন উপায়ে একজন স্বাধীন মানুষকে দাস বানিয়ে ফেলা হত।
ইসলাম এসে সবগুলোকে রহিত করে একটি মাত্র ক্ষেত্র বহাল রেখেছে: যুদ্ধ বন্দি। বিশেষ প্রয়োজনে, বরং বলুন মানবতার তাগিদে।
লেখার শেষ পর্যন্ত গেলেই আশা করি বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে যাবে।
{আর আসলেই কি ইদানিং এসে উন্নত সভ্যতার সংস্পর্শে এসে অন্যান্য উপায়ের দাসপ্রথা বন্ধ হয়ে গেছে?!
কিন্তু কঠিন ও নিষ্ঠুর বাস্তবতা হচ্ছে, আধুনিক বিশ্বে ঘৃণিত “উন্নত দাসপ্রথা” ঠিকই চলছে।
বার থেকে শুরু করে বড় বড় হোটেল, শো, পর্নো ইন্ডাস্ট্রি …. গুলোতে মেয়ে বেচাকেনা এখনও হরদম চলছে ‘উন্নত সভ্যতা’র আড়ালে।
[{ আধুনিক দাসপ্রথা সম্পর্কে জানতে :
আমরা হয়ত অনেকেই জানিনা যে, সারা পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ মানুষ দাসপ্রথার শিকার হয়ে আছে। অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান Walk Free Foundation এর The Global Slavery Index ২০১৬ এর রিপোর্ট অনুযায়ী যা ১৬৭টি দেশের ওপর চালানো হয়েছে তাতে দেখা যায় ৪৫.৮ মিলিয়ন লোক বিভিন্নভাবে দাসত্বের শিকার হয়ে আছে। [১]
বিস্তারিত লিংকে :
https://m.facebook.com/groups/237963726637282?view=permalink&id=351814078585579
যুক্তরাজ্যের প্রতিটি শহরে দাসত্বের ছোবল. বিবিসি বাংলা
যুক্তরাজ্যের শহরগুলোয় লাখ লাখ মানুষ আধুনিক দাসত্বের শিকার বলে বলছে দেশটির একটি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা।
যতটা ভাবা হয়েছিল, ব্রিটেনে আধুনিক দাসত্বে থাবা তারচেয়েও অনেক বেশি বলে বলছে ব্রিটেনের জাতীয় অপরাধ সংস্থা বা এনসিএ।
এনসিএ বলছে, এর আগে জানা গিয়েছিল যে, প্রায় ১৩ হাজার মানুষ পাচারের শিকার হয়ে বা জোরপূর্বক কাজে বা দাসত্বে ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে সেই সংখ্যা আসলে অনেক বেশি, যে ঘটনা ঘটেছে ব্রিটেনের প্রায় প্রতিটি বড় শহর আর নগরে।
দেশটিতে এখন তিনশো অভিযোগের তদন্ত চলছে।
তবে লাখ লাখ মানুষ আধুনিক দাসত্বের শিকার হয়েছে বলে তারা ধারণা করছে।
…….
http://www.bbc.com/bengali/news-40887891 }]
===========
(৩)
#বন্দিদের বিষয়ে করণীয় হতে পারে ৭ টি:
১. হত্যা করে ফেলা
দুই দুটো বিশ্বযুদ্ধের সময় কত হাজার/লক্ষ বন্দিকে হত্যা করা হয়েছে, জানেন?
এটা কি অমানবিক নয়?!
২.আবার ছেড়ে দেওয়াও অপরিণামদর্শীতার শামিল, এরা আবার যুদ্ধ করতে আসবে,
৩. বন্দি বিনিময় করা, যদি আমাদের কোন সৈনিক তাদের কাছে বন্দি থাকে,
৪. বন্দি না থাকলে ফিদইয়া তথা মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেওয়া,
৫. বিশেষ উদ্দেশ্য ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে এমনিতেই ছেড়ে দেওয়া (শত্রুকে কাছে টানা, বন্ধু বানানো, দয়া করা),
৬. বন্দি করে জেলে পুরে রেখে পুষতে থাকলে রাষ্ট্রের ভয়াবহ ক্ষতি ও আর্থিক ধ্বস নামবে, কারণ এরা সাধারণ বন্দি নয়, এরা আর্মি ও সৈনিক, এদের পেছনে উন্নত খাবার, কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে অনেক ধরনের খরচ অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি হয়ে থাকে ।
আর কাউকে স্বাধীনতা হরণ করে যতই জামাই আদরে রাখা হোক, বন্দিত্বদশায় কেউই সুখী ও সন্তুষ্ট হতে পারে না। আপনার বিরুদ্ধে পুঞ্জীভূত ক্ষোভ ক্রমশ বাড়বে বৈ কমবে না।
তদুপরি এরচেয়ে জঘন্য অমানবিকতা আর কী হতে পারে যে, একজন স্বাধীন মানুষকে তার আত্মার আবেদন এবং দৈহিক-জৈবিক চাহিদার মত মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে জেলের ভেতর পুরে রেখে দেওয়া হবে?!!!
#৭.
তাহলে এটাই কি সহজ উপায় নয় যে, বন্দিদেরকে সৈনিকদের মাঝে বণ্টন করে দেয়া হবে, ফলে:
রাষ্ট্র বিরাট বোঝা থেকে বেঁচে যাবে, আর ঐ পরিবারে একজন সদস্য বৃদ্ধিতে তেমন কোন চাপও পড়বে না। কারণ তারা ভেবে নেবে, বেতন দিয়ে খাদিম তো রাখতেই হত। (ইসলাম দাস-দাসীর অধিকারের ব্যাপারে কতটা গুরুত্বারোপ করেছে সেটা তো বলাই বাহুল্য, সে বিষয়ে শেষে আসছি)
আর তারা স্বাধীন থেকে মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে পারবে, মনীবের আনুগত্য করে স্বাধীনভাবে চলাফেরা ব্যবসা বাণিজ্য বিবাহ শাদী থেকে শুরু করে মোটামুটি সবই করতে পারবে।
আর মুসলিম সৈনিকদের আখলাক ও গুনাবলী দেখে তারা ইসলামের প্রতিও আগ্রহী হয়ে ওঠবে।
সর্বোপরি যখন সে এতসব সুযোগ সুবিধা ও স্বাধীনতা পেয়ে একটা পরিবারের সদস্য হয়ে যাবে, তখন অন্যান্য সদস্য ও তার মধ্যে পরস্পর সম্প্রীতি ও ভালবাসা সৃষ্টি হবে। এটাকে নিজের ঘর ও পরিবার মনে করবে। আর অন্যরা তার বিবাহ শাদী থেকে শুরু করে জৈবিক ও আত্মিক চাহিদা ও প্রয়োজন পূরণে সচেষ্ট হবে। সবাই তার ও তার সন্তানদের শিক্ষা দীক্ষার ব্যবস্থা করে তাদের সুপ্ত প্রতিভা ও যোগ্যতাকে কাজে লাগানোর চিন্তা করবে। কারণ এতে উভয়েরই লাভ; পরিবারের ইহজাগতিক সম্মান ও গর্ব এবং পরকালীন প্রাপ্তি অর্জন।
এটা কেবল দর্শন নয়, বরং আমাদের গৌরবময় সোনালী ইতিহাস এ বাস্তবতার জীবন্ত সাক্ষী।
এ জন্যই তো ইসলামের সোনালী যুগে রাষ্ট্র-রাজনীতি, জ্ঞান ও বিজ্ঞানের ময়দানে হাজার হাজার নক্ষত্র ও সুযোগ্য নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ তাদের মধ্য থেকে উঠে এসেছে।
(তাঁদের তালিকা দীর্ঘ, এ বিষয়ে সামান্য ধারণা পেতে শেষে দেয়া লিংকে ঘুরে আসতে পারেন)
——————————–
(৪)
#সর্বশেষে এদের ক্ষেত্রে ইসলামের ফিনিশিং টাচ হল-
বিভিন্ন অপরাধ ও গুনাহের কাফফারা ও ক্ষতিপূরণ হিসেবে গোলাম আযাদ তথা দাসমুক্তির বিধান রেখে এদের পূর্ণ মুক্তির অসংখ্য রাস্তা তৈরি করে রেখেছে ।
এছাড়া এমনিতেই গোলাম আযাদ করার ব্যাপারে মহা সাওয়াবের গ্যারান্টি দিয়ে উৎসাহ প্রদান করতেও ইসলাম ভুলেনি।
সুতরাং আমরা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারি যে,
ইসলামের এ বিধান সবচে মানবিক ও বাস্তব সম্মত।
[আসলে ইউরোপ-আমেরিকার বর্বর দাসপ্রথা ও ইসলামের ইনসাফ পূর্ণ বিশেষ দাসপ্রথাকে গুলিয়ে ফেলার কারণেই যত বিভ্রান্তি।]
#বি. দ্র. :
বন্দিদেরকে নিজে যা খাবে, পরবে, তাকেও তা খাওয়াতে ও পরাতে হবে ৷ দিনে ৭০ বার ভুল করলেও ক্ষমা করতে বলা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মৃত্যুর সময়ও তাদের অধিকারের ব্যাপারে সচেতন থাকার জোর তাগিদ দিয়ে গেছেন।
[বন্দিদের সঙ্গে আচরণের ক্ষেত্রে ইসলামের অপূর্ব নির্দেশনাগুলো বিস্তারিত জানতে চয়ন ভাইয়ের লেখাগুলো দেখুন !]
[এবং বিশেষভাবে এ লেখাটি পড়ুন:
ইসলামের দাসব্যবস্থা : আলোকিত ভোরের প্রত্যাশা
বর্তমান পৃথিবীতে দাসপ্রথা নেই। আমরা দেশ ও জাতিকে পুনরায় এ প্রথা ফিরিয়ে আনার জন্য উদাত্ত আহ্বান করছি না। বক্ষ্যমাণ নিবন্ধে আমরা চেষ্টা করেছি দাসব্যবস্থার মতো এক প্রজ্ঞাদীপ্ত ব্যবস্থা, পৃথিবীতে যার প্রবর্তক ইসলাম নয়; বরং যা চলে আসছে তারও সহস্র বছর আগ থেকে, ইসলাম যাকে পরিয়েছে সভ্যতা ও শুভ্রতার বসন, তার ওপর বিরুদ্ধবাদীদের আরোপিত অভিযোগের খণ্ডন করতে। প্রয়াস পেয়েছি, ইসলামের দৃষ্টিতে দাসব্যবস্থার স্বরূপ ও অবস্থানকে সুস্পষ্ট করতে। প্রাচ্যবিদদের মুখরোচক বুলিতে প্রভাবিত হয়ে কোনো কোনো অবুঝ সুহৃদ না বুঝেই দাসপ্রথার কারণে ইসলামের দিকে নিঃসঙ্কোচে ও নির্দ্বিধায় তীর্যক বাণ ছুঁড়ে বসেন, ইসলামকে কলঙ্কিত করতে, ইসলামের গায়ে কালিমা লেপন করতে মূর্খতাপ্রসূত নানাবিধ অভিযোগ উত্থাপন করেন। সেসব সুহৃদদের সুবোধ উদয়ের প্রত্যাশায় আমাদের এই নিবন্ধ…
ইসলামের দাসব্যবস্থা : আলোকিত ভোরের প্রত্যাশা
https://alihasanosama.com/slavery-in-islam/ ]
1.
ইসলামের ইনসাফ পূর্ণ দাস প্রথা বনাম জেল প্রথা ৷৷৷৷৷
https://m.facebook.com/groups/237963726637282?view=permalink&id=322533171513670
2.
গনিমতের সম্পদ বন্টন কেন অবৈধ হবে??
https://m.facebook.com/groups/237963726637282?view=permalink&id=319432401823747
3.
যুদ্ধ বন্দিনীদের কি অবস্থা…?
https://m.facebook.com/groups/237963726637282?view=permalink&id=366837777083209
দাস দাসীর সাথে সর্বোচ্চ .. সদ্বব্যবহারের নমুনাঃ-
আবূ হুরায়রা (রা) মহানবী (সা) থেকে বর্ণনা করেন, ‘যখন তোমাদের কোন গোলাম খাদ্য নিয়ে আসে তখন তাকে সাথে বসিয়ে অপেক্ষা না করালে সে যেন তাকে এক লোকমা অথবা দুই লোকমা কিংবা এক গ্রাস খাদ্য দেয়। কেননা সে এর জন্য পরিশ্রম করেছে।’ (ইমাম বুখারী, আস-সহীহ, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩৪৭)
হযরত আবু হুরাইরা (রা) রাসূলুল্লাহ্ (সা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ‘দাস-দাসীদের জন্য যথাযথভাবে খানা পিনা ও পোশাক পরিচ্ছেদের ব্যবস্থা করা মনিবের একান্ত কর্তব্য। এবং তার সাধ্যতীত কোন কাজের জন্য তাকে কষ্ট দেওয়া যাবে না।’ (ইমাম বুখারী, আস-সহীহ, ২৫তম খণ্ড, পৃ. ৫২)
যে ব্যক্তি তার দাসকে হত্যা করবে আমরা কেসাস স্বরূপ তাকে হত্যা করব। আর যে ব্যক্তি তার নাক কর্তন করবে আমরা তার নাক কর্তন করব।’ (সুনানে আবু দাউদ)
#.
গনীমতের মাল তথা যুদ্ধলব্ধ সম্পদে খিয়ানতের শাস্তি:
وَمَا كَانَ لِنَبِيٍّ أَن يَغُلَّ ۚ وَمَن يَغْلُلْ يَأْتِ بِمَا غَلَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ۚ ثُمَّ تُوَفَّىٰ كُلُّ نَفْسٍ مَّا كَسَبَتْ وَهُمْ لَا يُظْلَمُونَ
(আল ইমরান – ১৬১)
আর কোন বিষয় গোপন করে রাখা নবীর কাজ নয়। আর যে লোক গোপন করবে সে কিয়ামতের দিন সেই গোপন বস্তু নিয়ে আসবে। অতঃপর পরিপূর্ণভাবে পাবে প্রত্যেকে, যা সে অর্জন করেছে। আর তাদের প্রতি কোন অন্যায় করা হবে না।
সহীহ মুসলিম, অধ্যায়ঃ ১/ কিতাবুল ঈমান (كتاب الإيمان), হাদিস নম্বরঃ ২১০
উমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ) বলেছেন, খায়বারের যুদ্ধ শেষে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর একদল সাহাবী এসে বলতে লাগল, অমুক শহীদ, অমুক শহীদ। এভাবে কথাবার্তা চলছিল, অবশেষে এক ব্যাক্তি প্রসঙ্গে তাঁরা বললেন যে, সেও শহীদ হয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ কখনই না। এ আমি তাকে জাহান্নামে দেখেছি, সে চাঁদর বা জোব্বার কারণে (যা সে ব্যাক্তি গনীমতের মাল থেকে আত্মসাৎ করেছিল)। তারপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে খাত্তাবের পুত্র! যাও লোকদের মাঝে ঘোষণা করে দাও যে, জান্নাতে কেবলমাত্র প্রকৃত মুমিন ব্যাক্তিরাই প্রবেশ করবে। উমর ইবনু খাত্তাব বলেন, তারপর আমি বের হলাম এবং ঘোষণা করে দিলাম, “সাবধান! শুধু প্রকৃত মুমিনরাই জান্নাতে প্রবেশ করবে।”
সূনান আবু দাউদ, অধ্যায়ঃ ৯/ জিহাদ (كتاب الجهاد), হাদিস নম্বরঃ ২৭০৭
সামুরা ইবন জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেনঃ যে ব্যক্তি গণীমতের মাল চুরিকারীর চুরিকে গোপন রাখবে, সেও ঐ ( চোরা) ব্যক্তির মতই দোষী সাব্যস্ত হবে।
সূনান আবু দাউদ, অধ্যায়ঃ ৯/ জিহাদ (كتاب الجهاد), হাদিস নম্বরঃ ২৭০৪
সালিহ্ ইবন মুহাম্মদ ইবন যায়েদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি মাসলামার সাথে রোমে গিয়েছিলাম। সেখানে এক ব্যক্তিকে আনা হয়, যে গণীমতের মাল চুরি করেছিল। তখন তিনি (মাসলামা) এ ব্যাপারে সালিমকে জিজ্ঞাসা করেন। তিনি বলেনঃ আমি আমার পিতা ‘আবদুল্লাহ্ ইবন ‘উমার (রাঃ) হতে শুনেছি, যিনি ‘উমার ইবন খাত্তাব (রাঃ) এর সূত্রে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেনঃ যখন তোমরা এমন ব্যক্তিকে পাবে, যে গণীমতের মাল চুরি করেছে, তখন তোমরা তার সমস্ত মালামাল জ্বালিয়ে দেবে এবং তাকে মারধর করবে।
রাবী বলেনঃ আমরা তার মালপত্রের মাঝে একটা মুসহাফ তথা কুরআন পাই। তখন তিনি ( মাসলামা) সালিমকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেনঃ মুসহাফ বিক্রি করে তার মূল্য দান করে দাও।
«1669» حدثنا الحسن بن علي الخلال حدثنا عبد الصمد بن عبد الوارث حدثنا عكرمة بن عمار حدثنا سماك أبو زميل الحنفي قال: سمعت ابن عباس يقول حدثني عمر بن الخطاب قال قيل يا رسول الله إن فلانا قد استشهد. قال: ((كلا قد رأيته في النار بعباءة قد غلها قال قم يا علي فناد إنه لا يدخل الجنة إلا المؤمنون ثلاثا)).
قال أبو عيسى: هذا حديث حسن صحيح غريب.
باب النهي عن الستر على من غل: «2718» حدثنا محمد بن داود بن سفيان قال: حدثنا يحيى بن حسان قال: حدثنا سليمان بن موسى أبو داود قال: حدثنا جعفر بن سعد بن سمرة بن جندب حدثني خبيب بن سليمان عن أبيه سليمان بن سمرة عن سمرة بن جندب قال أما بعد وكان رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: ((من كتم غالا فإنه مثله)).
«2715» حدثنا النفيلي وسعيد بن منصور قالا: حدثنا عبد العزيز بن محمد- قال النفيلي الأندراوردي- عن صالح بن محمد بن زائدة- قال أبو داود: وصالح هذا أبو واقد- قال دخلت مع مسلمة أرض الروم فأتي برجل قد غل فسأل سالما عنه فقال سمعت أبي يحدث عن عمر بن الخطاب عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: ((إذا وجدتم الرجل قد غل فأحرقوا متاعه واضربوه)). قال فوجدنا في متاعه مصحفا فسأل سالما عنه فقال بعه وتصدق بثمنه.
আরো জেনে নিন
নারী যুদ্ধবন্দীনী/নারীদাসী ও ইসলামের অবস্থান নিয়ে কয়েকটি সরল কথা:
~~~~~~~~~~~~~
https://m.facebook.com/groups/237963726637282?view=permalink&id=322924794807841
Leave Your Comments