‘তিনিই আল্লাহ, যার কোনো শরিক নাই, যিনি সবকিছু সৃষ্টি করেছেন…..’

আসলেই কি বিগব্যাং মহাবিশ্বের উৎপত্তির মূল? এর আগে কিছুই ছিল না, এর থেকে সব কিছু শুরু হয়েছে এই কথাটি কি সঠিক? সাধারণের জন্য কিছু অজানা বিষয় বিগব্যাং নিয়ে…

১. বিগব্যাং মহাবিশ্বের উৎপত্তি ব্যাখ্যা করে না, এ তত্ত মহাবিশ্বের শুরুর অবস্থার এনার্জি, স্পেস আর টাইমের অস্তিত্ব সম্পর্কে ধারণা দেয়। মহাবিশ্বের শুরু থেকেই আলো, সময় আর স্থানের অস্তিত্ব ছিল কিন্তু এগুলো কোথা থেকে আসলো এ বিষয়ে বিগব্যাং তত্ত্ব কিছুই বলতে পারেনি এখন পর্যন্ত।

২. মহাবিশ্ব কিভাবে অস্তিত্ব লাভ করলো এ বিষয়ে বিগব্যাং টোটালি সাইলেন্ট।

৩. শূন্য থেকে সব কিছু সৃষ্টি হয়েছে এটা হলো বিগব্যাং থিওরির সবচেয়ে বড় ভুল ব্যাখ্যা। বিগব্যাংগের আগেই স্পেস বা জায়গা ছিল যা শুরু থেকেই এনার্জি দিয়ে ভরতি ছিল।

৪. বিগব্যাং বা বিস্ফোরণটা কোনো স্পেসিফিক জায়গাতে হয়নি। এটা কোনো ম্যাজিক্যাল পয়েন্ট ছিলোনা। এটা পুরো স্পেস জুড়েই হয়েছে। তখনকার সময়ের মহাবিশ্ব ছিল এনার্জি আর ম্যাটার এর প্যাক, যা ছিল খুবই ভারী (অকল্পনীয় ভারী) কিন্তু অনেকে মনে করে এটি একটি বিন্দু বা সিঙ্গেল পয়েন্টের মতো ছিলো, কথাটা ভুল, মহাবিশ্বের সাইজ তখনও অনেক বড় ছিল।

আরো কিছু অজানা বিষয়…

১. বিজ্ঞানীদের মতে মহাবিশ্বের কোনো সীমানা নেই, নেই কোনো প্রান্ত।
২. আমরা পুরো মহাবিশ্ব দেখতে পাইনা, কারণ মহাবিশ্ব সময়ের সাথে সাথে সম্প্রসারিত হচ্ছে আর অধিকাংশ গ্যালাক্সির নক্ষত্রপুঞ্জের আলো (লাইট) এখনো আমাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি।

গভীরভাবে ভাবার বিষয়, আমরা না বুঝে অনেকেই বিগব্যাং থেকে মহাবিশ্বের উৎপত্তি বলে বিশ্বাস করতাম। দেখা যাচ্ছে বিগব্যাং হয়েছে ~১৪ বিলিয়ন বছর আগে কিন্তু তারও আগে থেকে স্পেস ছিল, এনার্জি ছিল। কত আগে থেকে এর এক্সিস্টেন্স কেউ বলতে পারে না। এইগুলা কে বানিয়ে রেখেছিলো? বিজ্ঞানীরা উত্তর দিতে পারছে না। গভীরভাবে ভাবুন, নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন… কে সৃষ্টি করে রেখেছিলো, এই স্পেস, এনার্জি? কত আগে থেকে? আমি ভাবার চেষ্টা করেছিলাম দাঁড়ানো থেকে হাটু ভেঙে অসহায়ের মতো বসে পড়েছি।

‘তিনিই আল্লাহ, যার কোনো শরিক নাই, যিনি সবকিছু সৃষ্টি করেছেন…..’

Saifur Rahman

Leave Your Comments

Your email address will not be published. Required fields are marked *