ইয়াহুদীদের ১১০ বছর আগের গোপন পরিকল্পনা দেখুন –

ব্রাসেলস শহরে ১৮৯৭ সালের ১৭ই জুন ইহুদীদের প্রথম বিশ্ব সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।সন্মেলনে তাদের আধ্যাতিক নেতা তিওর্দা হারাটিজিল সভাপতিত্ব করেন।সন্মেলনে বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫০ টি ইহুদী সংগঠনের প্রায় ৩০০ জন ইহুদী বুদ্ধিজীবি অংশগ্রহন করেন।কঠোর গোপনিয়তার মাধ্যমে তারা গোটা বিশ্বকে গোলাম বানানোর জন্য ৫০ বছরের এক পরিকল্পনা গ্রহন করে।এ পরিকল্পনা সন্মেলনে অংশগ্রহনকারী ছাড়া আর কেউ জানত না।এ পরিকল্পনাকে জায়নিস্ট প্রটোকল বলে তারা নথিভুক্ত করে।কিন্ত এক ফরাসী মহিলা তার ইহুদী বুদ্ধিজীবি প্রেমিকের কাছ থেকে গোপনে এক কপি সরিয়ে ফেলে।ঐ মহিলা জায়নিস্ট প্রটোকলের এ কপি ১৯০১ সালে রুশ সরকারকে দিয়ে দেন। জায়নিস্ট প্রটোকলটি হিব্রু ভাষায় লিখা ছিল। রুশ সরকার এ প্রটোকলের অনুবাদ করে।নিম্নে তা তুলে ধরা হল:

*১* মানুষের উপর শাসনকার্য পরিচালনা করা একটি মহান কাজ। একমাত্র ইহুদীরাই এ দায়িত্ব পালনের যোগ্য।

*২*ইহুদীদের উচিৎ সকল প্রকার প্রচার মাধ্যম, প্রেস, প্রকাশনা ও সিনেমার উপর আধিপত্য বিস্তার ও নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করা।

*৩*ইহুদীদের এই প্রচেষ্ঠা করা উচিৎ যে দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের বড় বড় রাজনীতিবিদরা হবে তাদের দাবার ঘুঁটির মত।যখন তখন যেন ইচ্ছেমত তাদের ঘুরানো যায়।এ জন্য তাদের কিনে ফেলতে হবে।

*৪* স্বর্ণ যেন ইয়াহুদীদের হাতে থাকে ।এ জন্য কার্যকরী ভূমিকা নিতে একটি কমিটি করা হল।

*৫* আমেরিকার সহায়তা করা আমাদের একান্ত কর্তব্য।আমেরিকার মাধ্যমে ইউরোপকে নিয়ন্ত্রন করা হবে।

*৬* একমাত্র ইহুদীরা প্রভূর কাছে পছন্দনীয়।বাকি সবাই পথভ্রষ্ট।এজন্য সারা দুনিয়াকে নিয়ন্ত্রনের ভার প্রভু আমাদের দিয়েছেন।এ প্রচেষ্টায় আমাদের সকলকে উজার করে দিতে হবে।

*৭* গোটা বিশ্বকে শাসন করার সহজ পথ হচ্ছে উগ্রতা, শক্তি, জবরদস্তি,ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।

*৮* রাজনৈতিক স্বাধীনতা একটি প্রতারনা ও প্রবন্চনা মাত্র।বাস্তব সত্য নয়।ক্ষমতাসীন ব্যক্তি বা দলকে অপসারন করার জন্য জনগনকে দলে শামিল করা দরকার। আর ঐ উদ্দেশ্যকে সিদ্ধির জন্যই স্বাধীনতার এই কাল্পনিক রূপকে কখন কিভাবে ব্যবহার করতে হবে তা জেনে নেওয়া হচ্ছে সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।স্বাধীনতা এমন এক চিন্তা যার কোন অস্তিত্ব নেই। বিভিন্ন অনৈক্য ও মতানৈক্য উসকে দেওয়া প্রয়েজন যাতে আমরা সামাজিক অস্থিরতার সুযোগ নিতে পারি।

*৯* রাজনীতিবিদদের সৎ চরিত্র আমাদের বিপদের কারণ হবে। এজন্য রাজনীতিবিদদের সৎ চরিত্র আমাদের কিনে নিতে হবে।

*১০* যে সকল রাষ্ট্র আমাদের অধীনে বা বলয়ে আসবে না, তাদের দেশে যে কোন উপায়ে যুদ্ধ বাধিয়ে দিতে হবে।

*১১* মনে রাখতে হবে শক্তিই পৃথিবীতে একমাত্র সত্য।

*১২* কোন দেশ একটি ছোট-খাট চুক্তিও যেন আমাদের হস্তক্ষেপ ও সহযোগীতা ছাড়া করতে না পারে।

*১৩*অর্থনীতির চাবি যে কোন মূল্যে আমাদের হাতে থাকতে হবে।

*১৪* আমাদের পথে যে ই বাধাঁ হয়ে দাড়াবে তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে হবে।

*১৫* শত্রুর মোকাবেলার জন্য আমরা সকল উপায় উপকরন গ্রহন করব।আমরা আইনের সুন্দর সুন্দর ধারা তৈরী করব এবং তা দ্বারা সত্রুদের মোকাবেলা করব।এজন্য উকিল, রাজনীতিবিদ ও উপদেষ্টাদের সাহায্য নেয়া জরুরী।

তথ্যসূত্র: ‍‍‍‌
>>>>>
বিশ্বায়ন:
সাম্রাজ্যবাদের নতুন স্ট্র্যাটেজি
—ইয়াসির নাদীম
মাসিক পৃথিবী
>>>>>

>>>>>
বিশ্বায়ন: সাম্রাজ্যবাদের নতুন স্ট্র্যাটেজি—
বইটিতে আরও বিস্তারিত লিখা আছে।( পৃষ্টা:১০১-১০৭)
লেখক: ইয়াসির নাদীম
অনুবাদক: শহীদুল ইসলাম ফারুকীপ্র
কাশনায়: প্রফেসর’স পাবলিকেশন্স
মগবাজার, ঢাকা।
>>>>>

>>>>>
মাসিক আল ইহরাম, জানুয়ারী ২০০৮. পৃষ্টা:২৩
পাক্ষিক আর রায়েদ, সংখ্যা ২৮ ১৪২৪ হিজরী মাগরিবী মিডিয়া: পৃ: ৫০

Leave Your Comments

Your email address will not be published. Required fields are marked *