সহীহ আকীদার সাইনবোর্ড ব্যবহার করে যারা আকীদা প্রচার করছেন আল্লাহ তাদের হিদায়াত দিন।

রসূলুল্লাহ সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মুহাব্বত ছাড়া দ্বীনের উপর টিকা যাবে না।
আল্লাহ ও আল্লাহর রসূল সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে মুহাব্বত আর সব চিন্তা ঝেড়ে ফেলে কেবল আল্লাহ ও তার রসূল সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মুহাব্বত দিলে থাকলে আল্লাহর রহমতে শয়তানও চান্স পায় না।
আজকাল মুহাব্বত বলতে অনেকের কাছে ইখতিলাফি মাসালায় একাধিক পদ্ধতি থেকে কেবল একটাকে স্বীকার করে আমল করাই বুঝায়।আর ভিন্ন দলিলের আমলকারীকে সুন্নাহ বিরুধি প্রচার করতে চায় অনেকে।অথচ একাধিক সুন্নাহ এর ক্ষেত্রে ভিন্ন মতের প্রতি এরুপ আচরন ঠিক নয়।
অথচ অনেক কিছু আছে,যা ইখতিলাফহিন।সেই দিকে অনেকের নজর নাই।সেই সুন্নাহগুলির প্রতি কতজন যত্নবান!?
রসূল সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রিয় পোষাক কামিসকে একদল উলামারা সুন্নতি পোষাক বলেন।এই পোষাকের বিরুদ্ধেও চলছে কিছু কথা।এক পন্ডিত বই লিখেছেন একে সুন্নাতি পোষাক বলা নাকি বিদাত!
এনারা মুসলিমদেরকে বুঝাতে চায় এই পোষাক সুন্নত নয়।তবে কেউ পড়লে পড়তে পারে।তাদের এই কথা শুনে একটা জেনারেশন প্যান্ট আর শার্ট পড়তেই থাকবে।আর জুব্বা বর্জন করবে।পরের জেনারেশন হয়তো তাদের দেখে একসময় এমন হবে যে,নাউজুবিল্লাহ এই পোষাকটিও পড়বে না।এমনকি মাথায় টুপি ছাড়া শার্ট-প্যান্ট পড়া ইমাম হবে,মসজিদের ইমাম।
আসলে জুব্বা পরিধানের জন্য লাগবে রসূল সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মুহাব্বত।দস্তর খানায় খেতে লাগে মুহাব্বত।লাউ খেতে লাগে মুহাব্বত।রসূল সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সকল বিষয়ে সেটা জাগতিক বিষয় হোক বা জাগতিক বিষয় ছাড়া হোক,সকলে বিষয়ে অনুসরনের জন্য লাগবে তার মুহাব্বত।
তারপর কথা হচ্ছে উলামায়ে কেরাম হচ্ছেন নায়েবে রসূল।
আর এই উলামায়ে কেরামের পরামর্শ ছাড়া কিতাব পড়া আর অযোগ্য হয়েও তাদের উপেক্ষা করে নিজেই ইজতিহাদ করা বা তারজিহ দেওয়া উভয়টাই চরম আত্নঘাতি সিদ্ধান্ত!নাউজুবিল্লাহি মিন যালিক।আমিন।
আজকাল এই উলামায়ে কেরাম এর থেকে সাধারন মানুষকে দূরে রাখার জন্য চলছে গভীর ষড়যন্ত্র।দুঃখজনক হলেও সত্য এই ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যেও আছেন কতিপয় উলামারা।
যারা উলামায়ে দেওবন্দকে বাতিল প্রমান করার মিশনে নেমেছেন।সাধারন মানুষের মধ্যে যেনো তাদের প্রতি শ্রদ্ধা না থাকে সেই কাজও করছেন।এই কাজটা হয়তো কেউ জেনে বা কেউ না বুঝে করছেন।
আর এই কারনে একদল লোকেরা আজ হানাফী মাজহাব আর উলামায়ে দেওবন্দের প্রতি আপত্তিকর মন্তব্য করছেন।
কেউ কেউ এমন আছেন যারা দ্বীনকে খেল-তামাশার বস্ত বানিয়ে ফেলেছেন বুঝে-না বুঝে।তাই দেখি জাহেলরাও আজ হাদীসের তাহকিকে নামছেন!
সহীহ আকীদা সাইনবোর্ড লাগিয়ে অনেক ব্যপারেই তারা গলদ আকীদা প্রচার করছেন।আর মনে করছেন তারাই সহীহ আকীদার!
এদের বড় ইল্মি খিয়ানতের একটি হচ্ছে ঢালাওভাবে সূফিদেরকে বাতিল বলা।বাতিল সূফিদের আকীদাকে সুফিবাদি আকীদা বলে প্রচার করা।এর মাধ্যমে তারা ইল্মে তাসাউফ ও এই শাস্ত্রের উলামায়ে কেরামকে আক্রমন করেছেন।
এনারা উলামায়ে দেওবন্দের বিভিন্ন বক্তব্যকে নিজেদের মতো ব্যখ্যা করে উলামায়ে দেওবন্দের বিরুদ্ধে অপবাদ ও অপপ্রচার করেছেন।
আর অনেকেই না বুঝে এই অপপ্রচার লুফে নিয়েছেন!
এরা ফিকহি মাজহাব সম্পর্কে জমহুরের খিলাফ কথা বলেছেন!
বাস্তব কথা হচ্ছে এই যে,উলামায়ে দেওবন্দ আলাদা কোনো আকীদার নয়।এরা ফিকহ ও তাসাউফের ক্ষেত্রে সেই আকীদাই রাখেন,যা রেখেছেন যুগের নির্ভরযোগ্য উলামায়ে কেরাম।
যারা ব্যপারটি গভিরভাবে যাচাই করবেন,তারা ইনশাআল্লাহ্‌ জানতে পারবেন।
আমি উলামায়ে কেরামের পরামর্শ ও সোহবতে না থেকে অনেক ভুল করেছি।নিজের প্রাপ্ত জ্ঞান দিয়ে আমি আলিমদের সাথে কিছু ব্যপারে পরামর্শ না করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।আল্লাহ আমার ভুল ক্ষমা করুন।আমিন।
সহীহ আকীদার সাইনবোর্ড ব্যবহার করে যারা আকীদা প্রচার করছেন আল্লাহ তাদের হিদায়াত দিন।আমিন।
আজ তারা ইমাম আবু হানিফাকেও ছাড়ছেন না।তারা আজকাল অনেকে যুবাইর আলী যাই এর ভুল উসুল প্রচার করছেন!
এদের টার্গেট হচ্ছে হানাফীদের আক্রমন করা।এটা একারনেই বললাম যে,এদের মুকবিল বিন হাদিও পর্যন্ত ইমাম আবু হানিফা রহ. কে পচাতে কিতাব লিখেছেন।
আজ মাদখালি,পাকিস্তানি,এই দেশের আহলে হাদীসদের কিছু ভিন্নমত থাকলেও হানাফীদের বাশ দেওয়ার ক্ষেত্রে সকলে প্রায় একমত!
আর সৌদি ফতওয়াবোর্ডও অনেক মাসালায় জমহুরের বিপরিত মত দেন।
বাস্তব কথা হচ্ছে দ্বীনের ব্যপারে মধ্যমপন্থি দল হচ্ছেন উলামায়ে দেওবন্দ।
এখন আসি নাস্তিক মাসুদের কথায়!
ওহে নাস্তিক!তোমার যদি সুস্থ বিবেক থাকতো তবে তুমি মহান চরিত্রের অধিকারী রসূল সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কথার প্রতি আস্থা রাখতে।
অথচ তুমি তা না করে তথাকথিত বিজ্ঞানি,যারা তাদের সিদ্ধান্ত বদলাতেও পারে তাদের প্রতি আস্থা রেখেছো!তুমি আস্থা রেখেছো লম্পট ও চরিত্রহিনদের যুক্তিতে!
তোমাকেই বলছি,তোমার নিকট ভালো মন্দ বুঝার মাপকাঠি কি?
তোমার কাছে তো তোমার মা,মেয়ে,বোনের সাথে জিনাহ করাও দোষ হওয়ার কথা নয়!নাউজুবিল্লাহি মিন যালিক।
হুম,আমাদের কাছে দোষনীয়।কেননা আমরা ওহীর জ্ঞানের আলোকে বুঝেছি এটা অন্যায়।
আলহামদুলিল্লাহ্‌ আমার কাছে কেবল আল্লাহ ও তার রসূল সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কথা ও মুহাব্বতই যথেষ্ট।এইসব তথাকথিত ধারোনার থিউরির বিজ্ঞান ও যুক্তিকে আমি লাত্থি মারি।
হে অন্তরের পপরিবর্তনকারী আপনি আমাদের অন্তরকে ঈমানের উপর অটল রাখুন এবং মুসলিম করেই আমাদেরকে মউত দিন।আমিন।

ভাই- Mohsin Kamal

Leave Your Comments

Your email address will not be published. Required fields are marked *