বিশ্ব সুন্দরী নির্বাচন ‘বিবাহ’কে প্রশ্নবিদ্ধ করার কৌশল

বিশ্ব সুন্দরী নির্বাচন ‘বিবাহ’কে প্রশ্নবিদ্ধ করার কৌশল
————————–
বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতার নামে নষ্টামি, নোংরামি নিয়ে কথা বলার ইচ্ছে আদৌ ছিল না। কিন্তু স্পর্শকাতর কয়েকটি কারণে অবশেষে কয়েক কলম লিখতে বাধ্য হলাম। এই নষ্টা মেয়েগুলো নিয়ে দেশে যা শুরু হয়েছে চুপ থাকার সুযোগ নেই। কদিন ধরে মিডিয়াপাড়ায় কথিত বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতার নামে দেশের কিছু ঘৃণ্য নষ্টা অর্ধনগ্ন সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন মেয়েকে নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করেই যাচ্ছে। ইতোপূর্বে এই নষ্টা প্রোগ্রাম আমাদের দেশে শুরু করেছিল লাক্স সাবান কোম্পানি৷ এটি তারই ধারাবাহিকতার অংশ বিশেষ।
.
সুন্দরী প্রতিযোগিতার নামে নারীকে পণ্য করে মিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্ববাসীর সামনে অর্ধনগ্ন অবস্থায় উপস্থাপন করার এই প্রবণতা ইতোপূর্বে ছিল আমেরিকা, ইউরোপ, ভারত, চীন এবং এই লেভেলের অমুসলিম দেশগুলোতে । কিন্তু হঠাৎ করে বাম মিডিয়াগুলো এতো ডাক-ঢোল পিটিয়ে আমাদের দেশেও এই প্রবণতা আমদানি করার মানেটা কী(?)তা আমাদের বুঝার আর বাকী রইলো না। সুন্দরী প্রতিযোগিতার নামে বাঙালী মুসলিম মেয়েদের উলঙ্গপনা, বেহায়াপনা, নষ্টামি, নোংরামির প্রতি উদ্বুদ্ধ করতেই বিদেশী সহায়তায় এদেশে এই আয়োজন।
.
এই নষ্ট প্রোগ্রাম নিয়ে মিডিয়াপাড়ায় এতো মাতামাতির কয়েকটা বড় কারণ হলো, তারা চায় বাঙালী মুসলিম মেয়েরা ধীরে-ধীরে বাল্যবিবাহ রোধের দোহাই দিয়ে নিজের স্বাধীনতা, স্বেচ্ছাচারিতাকে প্রাধান্য দিয়ে
মা-বাবার সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আত্মীয়স্বজনের মুখে চুনকালি মেখে নিজের জন্যে সবচেয়ে নিরাপদ আবাসস্থল বাবার ঘর ছেড়ে অবলীলায় রাস্তা, টিভি পর্দা এবং পতিতাবৃত্তিতে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়ুক। সাথেসাথে সৌন্দর্য প্রদর্শন আর নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার নামে অসভ্য পশ্চিমা নারীদের অনুসরণ করুক।
.
যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলো সদ্য সমাপ্ত হওয়া বিশ্ব সুন্দরী বাছাইয়ে প্রাথমিকভাবে মুকুট পাওয়া ইভ্রিল নামের নষ্টা মেয়েটি। যে কিনা আনুষ্ঠানিকভাবে বাঙালী মিস ওয়ার্ল্ড নির্বাচিত হয়েও তথ্য গোপন তথা বিবাহিত হওয়ার অভিযোগে মুকুট হারিয়েছে। আর সেই মেয়েটি সেজন্য তার বাল্যবিবাহ তথা মা-বাবার সিদ্ধান্তকেই দুষেছে। অথচ তার নাকি বিয়ে হয়েছিল বাইশ বছর বয়সে! নতুন খবর হলো, পরবর্তীতে তার জায়গায় মিস ওয়ার্ল্ড খেতাবে যে মেয়েটি ভূষিত হয় তাকে নিয়েও বিবাহিত হবার অভিযোগ ওঠেছে নাকি। রীতিমত অবাক কাণ্ড!
.
আয়োজকদের সিদ্ধান্ত হলো ‘বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রণের জন্যে অবিবাহিত হতে হবে’। বিবাহিত নয়। এ থেকে আমরা কী বুঝতে পারি? এ থেকে স্পষ্ট বুঝতে পারি, আয়োজকরা বলতে চায় “এই মেয়েরা! তোমরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ো না। এতে তোমরা এগোতে পারবে না। প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারবে না। তোমরা প্রয়োজনে লিভ টুগেদার করো। বিবাহ নয়। সাথে তোমরা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের নামে সামাজিক এবং ধর্মীয় বৈধ বিবাহবন্ধনকে প্রতিরোধ করো”।
এই মেসেজটি দেওয়াই আয়োজকদের মূল উদ্দেশ্য!

maolana Ali Azam

Leave Your Comments

Your email address will not be published. Required fields are marked *