এ লেখাটি শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনি যা যা জানতে পারবেন —
১- সূরা হজ্জের ৭৫ নং আয়াত দ্বারা কাদিয়ানিদের পৃথিবীতে আরো নতুন নতুন রাসূল আগমন করার দাবি।
২- কাদিয়ানিদের উক্ত দাবী মনগড়া এবং কুরান হাদিসের সাথে মারাত্মক সাংঘর্ষিক কেন?
৩- স্বয়ং মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী নিজেকে নবী রাসূল দাবী করার পূর্বে তার জীবনের প্রায় ৬৬ বছর অব্ধি সে মুহাম্মদ (সা)-এর পরে যে কোনো নবুওত এবং রেসালতের দাবিদারকে “কাফির” এবং “মিথ্যাবাদী” বিশ্বাস করত কিনা?
_____
# কাদিয়ানিদের আপত্তি : সূরা হজ্জের ৭৫ নং আয়াতে يَصْطَفِي মুদ্বারের ছিগাহ (আরবী : الصيغة المضارعة) এসে বুঝাতে চেয়েছে : আল্লাহ ফেরেশতাদের এবং মানুষের মধ্য হতে ‘রসূল’ মনোনীত করবেন। সুতরাং এখনো রাসূল আগমন করার সুযোগ আছে বুঝা গেল। তাই মির্যা গোলাম আহমদও একজন রাসূল হতে পারে।
_____
# আপত্তি খণ্ডন :
বিজ্ঞ পাঠক! কাদিয়ানিদের এসব আপত্তির জবাব যতই দেয়া হোক তারা অহর্নিশি একটার পর একটা বিভ্রান্তিকর আপত্তি করেই যাবে। এটি তাদের মজ্জাগত ন্যাচার। তারা এতটাই আবেগপ্রবণ আর গর্দভ যে, আপত্তি তোলা মুহূর্তে একটুও চিন্তা করে না যে, ইতিপূর্বে সে যা বলেছিল এখন সে একই মুখ দিয়ে তারই স্ববিরোধী কিছু বলতে যাচ্ছে কিনা?
তাদের পরস্পর বিরোধী কথাবার্তার তালিকা খুবই দীর্ঘ। সংক্ষেপে বলে শেষ করার মত নয়। চলুন মূল আলোচনাতে ফিরে যাই। এখানে সূরা হজ্জের আয়াতটি তার পরের আয়াতটিসহ মোট দুইখানা আয়াত পাঠকদের খেদমতে তুলে ধরব। অনুবাদ শেষে আয়াত দুটো নিয়ে আলোচনায় যাব ইনশাআল্লাহ।
________
প্রথমে দেখুন, সূরা হজ্জ, আয়াত নং ৭৫-৭৬; মহান আল্লাহ এরশাদ করেছেন –
اللَّهُ يَصْطَفِي مِنَ الْمَلَائِكَةِ رُسُلًا وَمِنَ النَّاسِ إِنَّ اللَّهَ سَمِيعٌ بَصِيرٌ
অনুবাদ : আল্লাহ ফেরেশতাদের মধ্য হইতে মনোনীত করেন বাণীবাহক এবং মানুষের মধ্য হইতেও; আল্লাহ্ তো সর্বশ্রোতা, সম্যক দ্রষ্টা!
পরের আয়াত –
يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَإِلَى اللَّهِ تُرْجَعُ الأمُورُ
অনুবাদ : তাহাদের সম্মুখে ও পশ্চাতে যাহা কিছু আছে তিনি তা জানেন সমস্ত বিষয় আল্লাহর নিকট প্রত্যাবর্তিত হইবে। (ইসলামিক ফাউণ্ডেশন কর্তৃক মুদ্রিত ‘আল-কুরআনুল করীম’ থেকে অনুবাদ দ্রষ্টব্য)।
_____
# সম্পর্কিত তথ্য : বিজ্ঞ পাঠক হযরত মুহাম্মদ (সা) তিনি যে সর্বশেষ নবী তার সুস্পষ্ট প্রমাণ এসেছে সূরা আহযাবের ৪০ নং আয়াতে। আমরা আজ সে দিকে যাব না। এখানে কাদিয়ানিদের আপত্তির জবাবে মাত্র কয়েকটি কথা বলব। যেমন –
___
১- আয়াতটি দ্বারা নবুওত এবং রেসালতের ধারা বর্তমানেও চালু থাকার বুঝটি তাদের চরম অজ্ঞতা আর চিন্তার দুর্বলতার আলামত। কেননা আয়াতে يصطفى ক্রিয়াপদটির অর্থ করা হবে – মনোনীত করেন (পুরো ঘটিত বর্তমানকাল)। কিন্তু কাদিয়ানিরা এটির অর্থ করে – মনোনীত করবে (ভবিষ্যৎ বাচক)।
# লক্ষণীয়, “মনোনীত করেন” আর “মনোনীত করবেন” যথাক্রমে ‘বর্তমানকাল’ আর ‘ভবিষ্যৎকাল’ বুঝিয়ে থাকে।
অথচ উক্ত আয়াতে “মনোনীত করেন” এ অর্থই সঠিক। সকল মুফাসসির এমনি অর্থ করেছেন (ইসলামিক ফাউণ্ডেশন কর্তৃক মুদ্রিত কুরানুল কারীমের অনুবাদ দেখুন)। ইজমায়ে উম্মতের বিপরীতে গিয়ে কাদিয়ানিরা যে অর্থ ধরে নেয় তাদের সে বুঝটি ইসলামের আদিম ও পূর্ববর্তী সকল মুফাসসির, মুজাদ্দিদ এবং মুজতাহিদের বুঝের বিপরীতে যাওয়ায় বাতিল হয়ে যায়।
_____
২- যদি তেমনি হত তাহলে সূরা আহযাবের ৪০ নং আয়াতে নবী মুহাম্মদ (সা)-কে “খাতামুন্নাবিয়্যীন” বলে ঘোষণা দেয়া হতনা। আর এ খাতামুন নাবিয়্যীন দ্বারা প্রকৃত অর্থ কী সেটি সাহেবে ওহী নবী মুহাম্মদ (সা) নিজের জবানীতেই এরশাদ করে গেছেন, انا خاتم النبیین ﻻ ﻧﺒﻲ بعدى তথা আমি খাতামুন নাবিয়্যীন আমার পরে কোনো নবী নেই। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)। এখানে খাতামুন নাবিয়্যীন এর তাফসির করেছেন ‘আমার পরে কোনো নবী নেই।’ পবিত্র কুরানের সূরা নাহলের ৪৪ নং আয়াতে পরিষ্কার ভাবে নবী মুহাম্মদ (সা)-কে ‘লিতুবায়্যিনা লিন্নাস’ বলে ‘কুরানের সর্বশ্রেষ্ঠ ও একমাত্র গ্রহণযোগ্য তাফসির কারক হিসেবে ভূষিত করেছেন। তাই নবীজির উপরিউক্ত তাফসীরের বিরুদ্ধে যায় মানুষের এমন সব ব্যাখ্যাই বাতিল বলে গণ্য হবে।
_____
৩- আয়াতটিতে রাসূল মনোনীত করার বিষয়ে মানুষের পাশাপাশি ফেরেশতার কথাও কিন্তু এসেছে। প্রশ্ন হল, মানুষের মধ্য হতে আজও রাসূল মনোনীত হলে তবে ফেরেশতার মধ্য হতে কেন নয়? মজার ব্যাপার হল, মির্যা কাদিয়ানি নিজেকে শরীয়ত বিহীন নবী হবার দাবি করেছিল। কিন্তু রাসূল বলতে তো ‘শরীয়তবাহী’ নবী বুঝায়। এমতাবস্থায় উক্ত আয়াত মির্যার পক্ষে গেল নাকি বিপক্ষে? উল্লেখ্য, পবিত্র কুরানের সূরা হজ্জের ৫২ নং আয়াতে ‘নবী’ এবং ‘রাসূল’ বলতে আলাদাভাবে বুঝানো হয়েছে। যেমন – আল্লাহতালা ইরশাদ করেন : “আমি আপনার পূর্বে যে সমস্ত রাসূল এবং নবী প্রেরণ করেছি, তারা যখনই কিছু কল্পনা করেছে….”। সুতরাং নবী এবং রাসূল উভয় ভিন্ন ভিন্ন হওয়া-ই প্রমাণিত হওয়ায় মির্যা কাদিয়ানী ভণ্ড এবং মিথ্যুক সাব্যস্ত হয়।
_____
৪- মূলত সূরা হজ্জের আয়াতটি দ্বারা মক্কার মুশরিকদের একটি প্রশ্নের জবাব দেয়া হয়েছে মাত্র। তাফসীরে জালালাইন শরীফ সহ নির্ভরযোগ্য প্রায় সব তাফসীর কিতাবে এ কথা উল্লেখ হয়েছে। মুশরিকরা রাসূল (সা)-কে উদ্দেশ্য করে তাচ্ছিল্যতার স্বরে বলেছিল – نزل لما قال المشركون ئأنزل عليه الذكر من بيننا অর্থাৎ (আয়াতটি নাযিল হওয়ার প্রেক্ষাপট হল, যখন মুশরিকরা বলল) তিনি (আল্লাহ) কি আমাদের মধ্য হইতে তাঁর (রাসূল) উপর এ কুরান নাযিল করলেন? (দেখুন জালালাইন শরীফ, সূরা হজ্জ আয়াত নং ৭৫)। আল্লাহতালা তাদের কথাবার্তা শুনলেন। তারই প্রেক্ষিতেই উক্ত আয়াত নাযিল হয়। সেখানে মুশরিকদের প্রতিউত্তরে বলা হল –
“আল্লাহ ফেরেশতাদের মধ্য হইতে মনোনীত করেন বাণীবাহক তথা জিব্রাইল ফেরেশতাকে এবং মানুষের মধ্য হইতেও রাসূল মনোনীত করেন।”
আরবী ব্যাকরণে ‘মুদ্বারের ছিগাহ’ (Present Form) বর্তমান আর ভবিষ্যৎ উভয় কালের জন্য হয়ে থাকে। কিন্তু আয়াতে ব্যবহৃত ক্রিয়াপদটি নবী মুহাম্মদ (সা)-এর জীবদ্দশায় মুশরিকদের বিদ্রুপাত্তক কথার প্রতি ইঙ্গিত করে যেন বুঝাতে চেয়েছেন যে, হ্যাঁ আমি মানুষ থেকেও রাসূল মনোনীত করি। তাই তোমাদের মধ্য হতে তোমাদেরই স্বজাতি মুহাম্মদকে “রাসূল” হিসেবে মনোনীত করেছি।
_______
# কাদিয়ানিদের বিভ্রান্তি কোথায় এবং কেন?
প্রথমত, তারা অসংখ্য আয়াত এবং সহীহ হাদিসের কোনো রূপ তোয়াক্কা না করেই সূরা হজ্জের ৭৫ নং আয়াত দ্বারা এমন একটি বুঝ আবিষ্কার করেছে যেটি সম্পূর্ণ নতুন এবং কুরান হাদিস বিরোধী। এমনকি কাদিয়ানী ধর্মের প্রবর্তক স্বয়ং মির্যার বক্তব্যেরও বিরোধী। মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী পরিষ্কার তার এক লেখনীতে লিখে গেছে :-
اور اس بات پر محکم ایمان رکھتا ہوں کہ ہمارے نبی صلعم خاتم الانبیاء ہیں اور آنجناب کے بعد اس امت کیلئے کوئی نبی نہیں آئے گا. نیا ہو یا پرانا ہو.
“অর্থ – আমরা এ কথার উপর পরিষ্কার বিশ্বাস রাখি যে, আমাদের নবী (মুহাম্মদ) সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি খাতামুন নাবিয়্যীন। আঁ জনাবের পরে এ উম্মতের জন্য কোনো নবী আগমন করবেনা। নতুন কিংবা পুরাতন যাইহোক।” (স্কিনশট দেয়া হল)।
(দেখুন মির্যা রচিত نشان آسمانى এবং রূহানী খাযায়েন – খন্ড নং ৪; পৃষ্ঠা নং ৩৯০) অতএব আপনাদের প্রতি আবারো পরামর্শ থাকবে যে, আয়াতের উল্টোপাল্টা অর্থ নিয়ে হীতে বিপরীতে আপনা কাদিয়ানী কৃষ্ণকে আর বিবস্ত্র করবেন না!
_______
দ্বিতীয়ত, তারা يصطفى ক্রিয়াপদটিকে “বর্তমান” কালের স্থলে “ভবিষ্যৎ” ধরে নেয়ার ফলে এমন বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। অথচ আয়াতটি নির্দিষ্ট একটি প্রেক্ষাপট আর সময়ের সাথে খাস (আরবী : خاص)। অর্থাৎ এটি নবী মুহাম্মদ (সা)-এর জীবদ্দশায় মুশরিকদের উত্থাপিত বিদ্রূপাত্মক প্রশ্নের সময়ের সাথে সম্পর্কিত। অধিকন্তু পরের ৭৬ নং আয়াত ভালভাবে উপলব্ধি করলেও এটি বুঝা সহজ। কাদিয়ানিদের উচিৎ আয়াত গুলোর শানে নুযূল শিখে নেয়া এবং আরবী ব্যাকরণ নিয়ে ভাল করে পড়াশোনা করা।
______
৫- আমরা অনুরূপ মুদ্বারে ছিগাহ’র ব্যবহার সূরা বাকারা’র ১০৬ নং আয়াতেও দেখতে পাই। কিন্তু এ আয়াতে মুদ্বারের ছিগাহ (Present form) হয়েছে বলে কেউ কি আজকের এ দিনে বলেছেন যে, কেয়ামত পর্যন্ত প্রত্যেক যুগে কুরানের আয়াতগুলোর হুকুম নাসিখ আর মানসূখ হবার ধারা অব্যাহত থাকবে? নাউজুবিল্লা। এবার আয়াতের প্রতি লক্ষ্য করুন –
_____
আল্লাহতালা ইরশাদ করেছেন -مَا نَنسَخْ مِنْ آيَةٍ أَوْ نُنسِهَا نَأْتِ بِخَيْرٍ مِّنْهَا أَوْ مِثْلِهَا أَلَمْ تَعْلَمْ أَنَّ اللّهَ عَلَىَ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
অনুবাদ : আমি কোনো আয়াত রহিত করিলে কিংবা বিস্মৃত হইতে দিলে তাহা হইতে উত্তম কিংবা তাহার সমতুল্য কোনো আয়াত আনয়ন করি। তুমি কি জান না যে, আল্লাহই সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান?
_____
(নোট : ‘নাসখ’ -এর অর্থ এক বস্তুকে পরবর্তী অন্য এক বস্তু দ্বারা রহিত করা। আয়াতটির ব্যাখ্যাতে বলা হইয়াছে : [১] হযরত (সা)-এর উপর অবতীর্ণ কিতাব (আল-কুরান) বা শরীয়ত দ্বারা তাঁর পূর্ববর্তী রাসূল (আ)-গণের উপর অবতীর্ণ কিতাব বা শরীয়ত রহিত হয়েছে; [২] ফকীহদের মতে নাসখ শরীয়তের কোনো হুকুম পরবর্তীতে আগত কোনো হুকুম দ্বারা পরিবর্তিত বা রহিত হওয়া, মূলনীতিতে পরিবর্তন বা রহিত করা হয়না)।
________________
খুব খেয়াল করুন আয়াতে ক্রিয়াপদ এসেছে – نَنسَخْ -(নানসাখু) এটি মুদ্বারের ছিগাহ। অথচ ছিগাহটির হুকুম নবুওতে মুহাম্মদির যুগের পরেও জ্ঞান করেনা কাদিয়ানিরা। সুতরাং এখানে তারা যে জবাব দেবে, সে একই
জবাব সূরা হজ্জের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
______
# এবার মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানি নবুওত দাবিদার সম্পর্কে কী বলে গেল দেখুন! মির্যা কাদিয়ানী (মৃত : ২৬-শে মে ১৯০৮ ইং; মৃত্যুর কারণ : কলেরা) নবুওত এবং রেসালতের দাবিদার যে হবে তাকে “কাফির এবং মিথ্যাবাদী” আখ্যা দিয়ে তার “মাজমু ইশতিহারাত” পুস্তকে পরিষ্কার লিখে গেছেন –
اور سیدنا و مولانا حضرت محمد مصطفٰے صلے اللہ علیہ وسلم ختم المرسلین کے بعد کسی دوسرے مدعی نبوت اور رسالت کو کاذب اور کافر جانتا ہوں ۔
حوالہ: مجموعہ اشتہارات جلد نمبر 1 صفحہ نمبر 230
অর্থ : সাইয়িদানা ওয়া মাওলানা খতমুল মুরসালীন মুহাম্মদ মুস্তফা (সা)-এর পরে দ্বিতীয় কোনো নবুওত এবং রেসালতের দাবিদারকে মিথ্যুক এবং কাফির মনে করি। (দেখুন, মির্যা কর্তৃক রচিত ‘মাজমু ইশতিহারাত’ : ১/২৩০)
_____
মির্যা কাদিয়ানী উপরের তাকফীর মূলক ফতুয়াটি কেন দিয়েছে জানেন? কারণ তার বিশ্বাস ছিল যে, ওহী বা নবুওত এবং রেসালত হযরত আদম (আ) থেকে শুরু হয়ে হযরত মুহাম্মদ (সা) পর্যন্ত এসে শেষ হয়ে গেছে। তার লেখনীতে পরিষ্কার পড়ুন –
میرا یقین ہے کہ وحی رسالت حضرت آدم صفی اللہ سے شروع ہوئی اور جناب رسول اللہ محمد مصطفٰے صلے اللہ علیہ وسلم پر ختم ہو گئی۔
অর্থ – আমার বিশ্বাস যে, ওহীয়ে রেসালত হযরত আদম ছফিয়ল্লা থেকে আরম্ভ হয়ে জনাব রাসূলুল্লাহ মুহাম্মদ (সা)-এর উপর খতম হয়ে গেছে।” (দেখুন, মির্যা কর্তৃক রচিত ‘মাজমু ইশতিহারাত’ : ১/২৩১) স্কিনশট দেখুন!
_____________
আফসোস! সাম্রাজ্যবাদ বৃটিশের স্বার্থরক্ষার ঠিকাদারি নিতে গিয়ে ‘জিহাদ’ এর মত একটি ফরজ হুকুমকে হারাম ঘোষণা দিতে পরবর্তীতে নিজেই “রাসূল” দাবিদার হয়ে বসেন। ফলে নিজের ফতুয়া মতে নিজেই অঘোষিত ভাবে “কাফির” হয়ে যান। তার নিজের “রাসূল” দাবি করা সম্পর্কে সুস্পষ্ট বক্তব্য তারই লেখনীতে পড়ুন –
سچا خدا وہی خدا ہے جس نے قادیان میں اپنا رسول بھیجا حوالہ: روحانی خزائن جلد 18 صفحہ 231
অর্থ – তিনি সেই সত্য খোদা যিনি কাদিয়ানে স্বীয় রাসূল প্রেরণ করেছেন। (মির্যা রচিত, দাফেউল বালা এবং রূহানী খাযায়েন ১৮/২৩১)। (স্কিনশট দেখুন)
_____________
পরিশেষে বলতে পারি, সূরা হজ্জের ৭৫ নং আয়াত দ্বারা কাদিয়ানিদের কৃত আপত্তি অসার এবং অজ্ঞতা বৈ কিছুনা। মির্যা কাদিয়ানী থেকে যেখানে নবী মুহাম্মদ (সা)-এর পরে নবুওত আর রেসালতের দাবিদার “কাফির” এবং “মিথ্যুক” বলে মতামত পাওয়া যাচ্ছে সেখানে তাদের এসমস্ত আপত্তি কেমন সীমাহীন স্ববিরোধিতা আর অজ্ঞতা তা নিরপেক্ষ পাঠক একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন।
আজ এ পর্যন্ত। সবাইকে ধন্যবাদ।
সৌজন্যে : www.markajomar.com
Leave Your Comments