অনেক হাজ্বী সাহেব দেশে তার কুরবানীর ব্যবস্থা করে যান। এটাকে তারা জরুরি মনে করেন। এক্ষেত্রে মাসআলা হল, যে হাজ্বী কুরবানীর দিনগুলােতে মুসাফির থাকবে তার উপর সাধারণ কুরবানী জরুরি নয়। হাঁ এরপরও যদি কেউ নফল হিসাবে কুরবানী দিতে চায় তবে সেটা ভাল। পক্ষান্তরে কোন হাজ্বী যদি মক্কায় হজ্বের আগে ১৫ দিন থাকার নিয়তে অবস্থান করে থাকে, তাহলে সে কুরবানীর দিনে যেহেতু মুকীম তাই কুরবানী দেওয়ার সামর্থ্য থাকলে তার উপর সাধারণ কুরবানী করাও ওয়াজিব হবে। এই সাধারণ কুরবানী সে দেশেও দিতে পারবে। উল্লেখ্য, সাধারণ কুরবানী বলতে উদ্দেশ্য যা সকল সামর্থবান মুসলমানই করে থাকেন, আর হজ্বের কুরবানীর মাসআলা তাে জানাই আছে যে, তামাত্তু ও কেরান হজ্বে কুরবানী (দমে শুকর) ওয়াজিব। আর ইফরাদ হজ্বে কুরবানী নফল। -কাযী খান ৩/৩৪৪; বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৫; -আদুররুল মুখতার ৬/৩১৫
Leave Your Comments