শীয়াদের বক্তব্য হলো তাদের কালিমা তাওহীদ, রিসালাত ও বেলায়তের সাক্ষ্যের সমষ্টি
তাদের কালিমা— لا اله إلا الله محمد رسول الله علي ولي الله وخليفته بلا فصل
পাকিস্তানের শীয়া আলেম মুহাম্মদ হোসাইন লেখেন:
তারা তাওহীদ ও রিসালাতের সাক্ষ্যের সাথেসাথে আলী রাঃ আল্লাহর ওলী ও নবী সাঃ এর সরাসরি খলীফা হিসেবে সাক্ষ্য প্রদানকে ইসলামের পূর্ণাঙ্গ অংশ হিসেবে সাব্যস্ত করে ৷
প্রিয় পাঠক, শীয়ারা কালিমায়ে তায়্যিবার মধ্যে বেলায়ত ও ইমামতের সংযোজন এবং সেইসাথে রিসালাতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ আখ্যায়িত করে যে অংশ পরিবর্ধন করেছে তা মুসলমানের হৃদয়ে আঘাত করে ৷ যেমনঃ خليفة بلا فصل তথা হযরত আলী সরাসরি খলীফা ৷ অথচ এটা মানবেতিহাসের সর্ববৃহত্ মিথ্যাচার ৷ কারণ তাঁর পূর্বে আরো তিন খলীফা হযরত আবু বকর রাঃ, হযরত উমর রাঃ, হযরত উসমান রাঃ রয়েছেন ৷ এরকম আরেকটি বাক্য হলো— علي وصي رسول الله আরেকটি হৃদয়বিদারক আকীদার নির্লজ্জ ঘোষণা ৷ তাদের বক্তব্য মতে “হুযুর সাঃ তাঁর পরবর্তী খলীফার হবার ওসিয়ত করেছেন আলীর নামে, কিন্তু ডাকাত, জালেম আর মুনাফিকরা (অর্থাত সাহাবায়ে কেরাম) সেটা হতে দেয়নি ৷
যেমন মোল্লা বাকের মাজলিসী লেখেনঃ
আবু বকর উমর এবং সকল মুনাফিকদের সঙ্গে মিলে আহলে বাইতের উপর জুলুম করেছে ৷ সূত্রঃ তাদের কিতাব হক্কুল ইয়াকীন, পৃঃ 157
মোল্লা বাকের মাজলিসীর মতো একই আকীদা পোষণ করে খোমেনী সাহেব ৷ খোমেনী তার “কাশফুল আসরার ” 110 পৃষ্ঠায় লেখেন: শায়খাইন তথা আবু বকর ও উমর কুরআন হাদীসকে ছেলেখেলা বানিয়ে আহলে বাইত ও নবীকন্যা ফাতিমা ও তার সন্তানদের উপর জুলুম করেছেন ৷
পাকিস্তানী শীয়াদের আকীদাঃ
বাকের মাজলিসী ও খোমেনীর মতন পাকিস্তানী শীয়ারাও একই আকীদা পোষণ করে ৷ তারাও বলে যে, আসহাবে সালাসা আবু বকর, উমর ও উসমান জালেম এবং ডাকাত ছিলেন ৷ (নাউযুবিল্লাহ)
শীয়া আলেম মুহাম্মদ হোসাইন তার “তাজাল্লিয়াতে সাদাকত” 206 নম্বর পৃষ্ঠায় লিখেন:
“আমীরুল মুমিনীন হযরত আলী রাঃ পূর্বের তিনজনের খেলাফতকে ডাকাতী ও জুলুম এবং তিন খলীফাকে গোনাহগার, কাযযাব, গাদ্দার, খায়েন, জালেম, ডাকাত মনে করতেন এবং নিজেকে খেলাফতের সবচেয়ে বেশি হকদার মনে করতেন ৷”
একই কিতাবের 212 নম্বর পৃষ্ঠায় লিখেন:
উক্ত তিন খলীফা ছাড়াও অন্যান্য খেলাফতকেও আমরা জবরদস্তিমূলক গণ্য করি ৷৷
ক্রমশ ইনশাআল্লাহ ৷
Lisanul Haque
Leave Your Comments