রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বিশ্বাস এবং সম্মানপ্রদর্শন ঈমানের মৌলিক বিষয়ের একটি। এর ব্যতিক্রম কুফরি। মির্যা গোলাম আহমদের নানা বক্তব্যে সে প্রিয় হাবীব সা.কে খাটো করেছে, অপমান করেছে।
নিন্মে এর কিছু নমুনা পেশ করা হল:
১. “আমি বারংবার বলেছি যে,
واخرين منهم لما يلحقوا بهم
এর অধিনে বুরুজিভাবে আমিই খাতামুল আম্বীয়া। খোদা আজ থেকে বিশ বছর পূর্বে বারাহীনে আহমদীয়াতে আমার নাম মুহাম্মাদ এবং আহমদ রেখেছেন। আমাকে হুজুর সা.-র অস্তিত্ব সাব্যস্ত করেছেন। সুতরাং এ হিসেবে আঁ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খাতামুন্নাবিয়্যীন হওয়ায় আমার নবুওয়াতের সাথে কোন দ্বন্দ্ব নাই। কেননা ছায়া কখনো তার মূল হতে পৃথক হয় না।”
–এক গলতি কা এজালা, পৃ.৮; রুহানী খাযায়েন ১৮, পৃ., ২১২।
২. “ঐ নবীর জন্য চন্দ্রগ্রহণ নিদর্শন স্বরূপ প্রকাশ পেয়েছে। আর আমার জন্য চন্দ্র-সূর্য উভয়টিই প্রকাশ পেয়েছে। এখন আর কী অস্বীকার করবে?”
—এজাযে আহমদী পৃ.৭১; রুহানী খাযায়েন, খণ্ড ১৯, পৃ.১৮৩।
৩. “কিন্তু তোমরা অত্যন্ত ধ্যানের সাথে শ্রবণ করো, এ সময় মুহাম্মদ নামের তাযাল্লী প্রকাশের নয়, অর্থাৎ এখন জালালী রঙ্গে কোন খেদমত অবশিষ্ট নেই। কেননা নির্ধারিত সীমা পর্যন্ত সে জালাল প্রকাশ পেয়ে গেছে। সূর্যের কীরণ এখন সহনীয় নয়, চন্দ্রের স্নিগ্ধতার প্রয়োজন, আর তাই আহমদের রঙ্গে আমি।”
— আরবাঈন নম্বর ৪, পৃ. ১৪; রুহানী খাযায়েন, খ ১৭, পৃ. ৪৪৫-৪৪৬।
৪. খোদা আমার উপর ঐ রাসূলে পাকের ফয়েজ অবতীর্ণ করেছেন এবং পরিপূর্ণ করেছেন। সেই নবীর লুতফ এবং অস্তিত্বকে আমার দিকে টেনেছেন। এক পর্যায়ে আমার (মির্যা) অস্তিত্ব তাঁর ( মুহাম্মাদ) অস্তিত্ব হয়ে গেল। অতঃপর যে ব্যক্তি আমার জামাতে প্রবেশ করবে সে খাইরুল মুরসালীনের জামাতে অন্তর্ভূক্ত হবে। آخرين منهم এর অধিনে আলোচনা করা হয়েছে। চিন্তাশীলদের নিকট বিষয়টি গোপন নয়। যে ব্যক্তি আমার এবং মুস্তফার মাঝে পার্থক্য করে সে আমাকে দেখেনি, আমাকে চিনেনি।”
খুতবায়ে এলহামিয়া, পৃ. ১৭১; রুহানী খাযায়েন খ ১৬, পৃ. ২৫৮-৫৯।
এমন বহু উদ্ভট কথার শ্রষ্টা এই মিথ্যাবাদী মির্যা, যেগুলো স্পষ্ট কুফরি, সুতরাং সে এবং তার অনুসারী আহমদীয়া মুসলিম জামাত কাদিয়ানী কাফের, যে স্বীকার করবে না সেও কাফের।
আল্লাহ তাদের হেদায়েত দিন, আমাদের হেফাজত করুন, আমীন।
Leave Your Comments