জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররমের তৎকালীন খতীব মাওলানা উবাইদুল হক সাহেব রহঃ এর কাছে ইসলামী বিদ্বেষী লেখালেখির কারণে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করা প্রথম আলো সম্পাদকের সেই লজ্জাজনক ইতিহাস আশা করি এখনো অনেকের মনে আছে। মনে থাকারই কথা। কারণ সেই ঘটনা ছিল সেক্যুলার সমাজের গালে স্পষ্ট চপেটাঘাত। সেদিন তা থেকে অনেকেই শিক্ষাগ্রহণ করেছিলেন। তবে এখন সম্ভবত সেই লজ্জার ইতিহাস প্রথম আলো সম্পাদক এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরা ভুলেই গেছেন। না হয় তারা সেই একই পথে কীভাবে বারবার পা বাড়ায় এবং গরুকে মানুষের স্থানে শ্রেষ্ঠ জীব উপাধি দেয় আমার বুঝে আসে না।
তাদের ইতিহাস ভুলে যাওয়ার যথেষ্ট কারণ আমরা লক্ষ্য করছি। সেদিন খতীব সাহেব রহঃ প্রথম আলো সম্পাদকের ইসলামী বিদ্বেষী লেখালেখির বিরুদ্ধে জোরালো ভূমিকা রেখেছিলেন। তারই ফলশ্রুতিতে সেই বামপন্থী পত্রিকার সম্পাদক প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছিলেন। আর আজ কিন্তু সেই দরদওয়ালা খতীব নেই। নেই জযবাওয়ালা ইসলামী ব্যক্তিত্ব। রাজনীতির মাঠ কিম্বা অরাজনৈতিক সংগঠনগুলোতে নেতৃত্ব পাগল লোক অনেক আছেন। কিন্তু বামদের ইসলাম বিদ্বেষী প্রোপাগাণ্ডা তাদেরকে স্বরূপে ফিরাতে পারে না। পারে না ইসলাম বিদ্বেষীদের বিরুদ্ধে কার্যকরী ভূমিকায় নেতৃস্থানীয় আলেমসমাজকে অবতীর্ণ করাতে।
তারই সুবাদে সেক্যুলার সমাজ অদ্যাবধি নিত্যনতুন ইসলাম বিদ্বেষ ছড়িয়েই চলছে। সেই সেক্যুলাররা কখনো দেশ নিয়ে, কখনো ইসলাম কিম্বা ইসলামী ব্যক্তিত্বদের নিয়ে মিথ্যাচার, অপপ্রচার, ব্যঙ্গ, কার্টুন, কটূক্তি করেই চলেছে। আমাদের পবিত্র কোরবানি নিয়ে তাদের মাথাব্যথা, হজ্ব নিয়ে তাদের জ্বালাযন্ত্রণা, মাদরাসা নিয়ে তাদের ষড়যন্ত্র মোটেও থেমে নেই। তারা মিডিয়াতে ইসলাম বিদ্বেষী আগ্রাসন চালায়, আর তা নিয়ে আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় কদিন চিল্লাফাল্লা করি, তারা পর্দার আড়ালে খিলখিল করে হাসে। কারণ এসব সোশ্যাল মিডিয়া ভিত্তিক প্রতিবাদ প্রতিরোধ তাদের টনক নড়াতে পারেনা। তারা বরং এতে লাভবান হয়।
তাদের বিরুদ্ধে আমরা কার্যকরী কোনো ভূমিকা রাখিনা, বরং রাখতে পারিনা। ফলে তারা দিনদিন ইসলাম বিদ্বেষের মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে। আমাদের রহস্যজনক নীরবতা ইসলাম বিদ্বেষীতার প্রতি তাদের স্পর্ধা দিনদিন বাড়িয়েই দিচ্ছে। তাদের ইসলাম বিদ্বেষী কার্যক্রম দিনদিন সহ্য সীমা অতিক্রম করে চলছে। তারা সুযোগ পেলেই সবকিছুতে ইসলামকে টেনে এনে ইসলামী মূল্যবোধের উপর আঘাত করেই যাচ্ছে। এদেশের বামপন্থী মিডিয়াগুলো যেভাবে ইসলামের বিধি বিধানের উপর ক্রমাগত আঘাত করে চলেছে তাদের বিরুদ্ধে আরো একটি জোরদার অপ্রতিরোধ্য আন্দোলন গড়ে তোলা সময়ের অপরিহার্য দাবী হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আর নয় নীরবতা। সেক্যুলার মিডিয়ার বিরুদ্ধে এবার মাঠে ময়দানে হোক প্রতিবাদ, প্রতিরোধ।
Maolana Ali Azam
Leave Your Comments