এই ধরণের লেখার জন্য আমি প্রথমেই সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। লেখাটা পড়ার মাঝে উত্তেজনা জাগ্রত হতে পারে। কিন্তু ইসলাম বিদ্বেষীরা যেভাবে ইসলামকে কটাক্ষ করছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে কোনো পরিপূর্ণ জবাব দেওয়া প্রয়োজন, আর সে কারণেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন। আমিন।
—আহমেদ আলি (ভারত)
.
নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা অপবিত্রতার উৎস…..
====================================
.
(নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশাজনিত পবিত্রতার দাবির প্রতি পরিপূর্ণ জবাব)
.
(To read the Original English Article, visit: https://m.facebook.com/Ahmed90830/photos/a.1715432292072902.1073741828.1711338255815639/1913416228941173/?type=3&_ft_=top_level_post_id.1913416228941173%3Atl_objid.1913416228941173%3Apage_id.1711338255815639%3Athid.1711338255815639%3A306061129499414%3A69%3A0%3A1498892399%3A4995384406927234260&__tn__=E)
.
আমরা যদি বলি, পরস্পর অবিবাহিত নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা ভালো নয়, তবে অনেকেই আমাদের সাথে দ্বিমত পোষণ করবে।
.
আমরা জানি যে, তাদের অন্তরাত্মা তাদের এই অপবিত্র অবাধ মেলামেশাতে বাধা দেয়, কিন্তু তবুও প্রবৃত্তির অনুসরণ তাদের প্ররোচনা দিয়ে চলেছে এরূপ অপবিত্র বিষয়কে সমর্থন করতে।
.
তাই নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা যে অনুচিত, এটা প্রমাণ করতে আমরা প্রথমেই কিছু তথ্যসূত্র এখানে উপস্থাপন করব। যদি কেউ মনে করেন যে, আমরা সঠিক নই, তাহলে আমাদের যুক্তি খণ্ডনের জন্য তিনি সাদরে আমন্ত্রিত।
.
=> প্রথম তথ্যসূত্র
.
**ভারতীয় দর্শন হতে তথ্যসূত্র:
.
ভারতীয় দর্শন বিশ্বের দরবারে যৌনতা বিষয়ক তাদের নানাবিধ বিশ্লেষণ তুলে ধরেছে।
.
এই বিষয়ক এমন একটি গ্রন্থ হল *কামসূত্র* যেটি সারা বিশ্বে খুবই প্রসিদ্ধ।
.
কামসূত্রে উল্লেখ করা হয়েছে,
.
“মিলনের প্রথম দিকে **পুরুষের যৌন কামনা থাকে প্রবল এবং তার মিলন কাল হয় সংক্ষিপ্ত,**
কিন্তু ঐ একই দিনে পরবর্তী মিলনের ক্ষেত্রে এই ঘটনার বিপরীত প্রক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়।
.
অথচ *নারীর ক্ষেত্রে* এই বিষয়টি একেবারেই বিপরীত কারণ **তার(নারীর) ক্ষেত্রে মিলনের প্রথম দিকে যৌন কামনা থাকে দুর্বল(অল্প) এবং মিলন কাল হয় দীর্ঘস্থায়ী।**
কিন্তু ঐ একই দিনের অন্য সময়ে তার কামনা থাকে তীব্র কিন্তু মিলন কাল হয় সংক্ষিপ্ত, যতক্ষণ না তার কামনা পরিতৃপ্তি লাভ করে।”
.
(“At the first time of sexual union **the passion of the *male* is intense, and his time is short,**
but in subsequent unions on the same day the reverse of this is the case.
.
With the *female,* however, it is the contrary, **for at the first time her passion is weak, and then her time long**,
but on subsequent occasions on the same day, her passion is intense and her time short, until her passion is satisfied.”)[1]
.
***তাই এই জায়গা থেকে আমরা বলতে পারি, পুরুষের কামনা খুব শীঘ্র আসে, আবার খুব শীঘ্রই যায়; যেখানে নারীর কামনা ধীরে ধীরে আসে এবং ধীরে ধীরে যায়।***
.
একারণে কোনো পুরুষ ও নারী(বিশেষত যারা রক্তের সম্পর্কের বাইরে) একে অপরের নিকটবর্তী হলে পুরুষটি ঐ নারীর প্রতি খুবই অল্প সময়ের মধ্যে আকৃষ্ট হয়ে পড়ে(হরমোনের দ্রুত প্রতিক্রিয়ার কারণে), যেখানে নারী *হয়ত* ঐ পুরুষটির প্রতি অতটা তীব্রভাবে আকৃষ্ট হয় না(পুরুষের তুলনায় হরমোনের তুলনামূলক কম দ্রুত বা ধীর গতির প্রতিক্রিয়ার কারণে)।
.
যখন ঐ নারী, ঐ পুরুষের থেকে দূরে চলে যায়, তখন ঐ পুরুষের কামনা ও আকর্ষণ পূর্বের তুলনায় কমে যায়।
.
উদাহরণস্বরূপ, যখন কোনো প্রেমিক তার প্রেমিকাকে নিয়ে এখানে সেখানে ঘুরে বেড়ায়, তখন প্রেমিক কিছুক্ষণের মধ্যেই তার প্রেমিকার প্রতি প্রবল ভাবে আকৃষ্ট হয়ে পড়ে, কিন্তু নারীর কামনা ধীরে ধীরে জাগ্রত হওয়ায়, প্রেমিকা তার প্রেমিকের সেই কামনা উপলব্ধি করতে পারে না।
.
এই একই প্রক্রিয়া কাজ করে যৌন মিলনের সময়ও। কামসূত্রে আরও উল্লেখ করা হয়েছে,
.
“***রতিক্রিয়ার প্রারম্ভিক কালে নারীর যৌন কামনা থাকে মৃদুতর*** এবং ***সে তার প্রেমিকের সক্রিয় রমণক্রিয়া গ্রহণ করতে পারে না***, কিন্তু ক্রমাগত তার(নারীর) কামনা জাগ্রত হয়, যতক্ষণ না সে(নারী) তার দেহ সম্পর্কে চিন্তা করা হতে বিরত হয় এবং অবশেষে পুনরায় মিলনের ইচ্ছা ত্যাগ করে।”
.
(“***In the beginning of coition the passion of the woman is middling***, and **she cannot bear the vigorous thrusts of her lover**, but by degrees her passion increases until she ceases to think about her body, and then finally she wishes to stop from further coition.”)[2]
.
তাই এই জায়গা থেকে আমরা বলতে পারি, বিপরীত লিঙ্গের ব্যক্তিদের অবাধ মেলামেশা, পুরুষের মনে (অধিকাংশ ক্ষেত্রেই) নারীর প্রতি তীব্র আকর্ষণ সৃষ্টি করে।
.
=> দ্বিতীয় ও তৃতীয় তথ্যসূত্র
.
**”Norwegian University of Science and Technology” এর গবেষণা হতে তথ্যসূত্র:
.
এই গবেষণা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে তুলে ধরে যা নিম্নরূপ-
.
“…journal Evolutionary Psychology এর একটি নতুন গবেষণা কিছু অপ্রতিদ্বন্দ্বী তথ্য প্রকাশ করেছে। নরওয়েতে অনুষ্ঠিত এই গবেষণা হতে পাওয়া যায় যে, পুরুষ ও নারী মৌলিক দিক দিয়ে একে অপরকে সঠিকভাবে বুঝতে পারে না:
.
***নারী, পুরুষের যৌন-আকাঙ্ক্ষার সংকেতকে বন্ধুত্বসুলভ আচরণ বলে মনে করে।***
.
***পুরুষ, নারীর বন্ধুত্বের সংকেতকে যৌন-আকাঙ্ক্ষা বলে মনে করে***….”
.
(“…a new study in the journal Evolutionary Psychology has some compelling findings. The research, conducted in Norway, found that men and women fundamentally misunderstand each other:
.
***She interprets his signals of sexual interest as friendliness***.
.
***He reads her signals of friendliness as sexual interest***…”)[3]
.
তাই সহজ ভাষায়, যখন প্রেমিক, প্রেমিকার সাথে অবস্থান করে, তখন প্রেমিক চায় তার প্রেমিকাকে সন্তুষ্ট করতে, যেখানে প্রেমিকা চায় তার প্রেমিকের সঙ্গ উপভোগ করতে।
.
কিন্তু যখন প্রেমিকা তার প্রেমিকের সাথে অবাধে মিশছে, তখন প্রেমিক ভাবছে যে, তার প্রেমিকা হয়ত তার প্রতি যৌনসুলভ আকর্ষণ লাভ করছে, যেখানে প্রেমিকা এটা ভাবতেই পছন্দ করছে যে, তার ছেলে বন্ধুটি কেবল তার সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করে চলেছে।
.
এখানে উপরের ব্যাখ্যায় আমরা কামসূত্র হতে পেয়েছিলাম যে, পুরুষ অতি শীঘ্রই নারীর প্রতি (শারীরিক দিক দিয়ে) আকৃষ্ট হয়ে পড়ে, কিন্তু নারী এরূপ হঠাৎ আকর্ষণ লাভ করে না।
.
এখন এই দ্বিতীয় তথ্যসূত্রে আমরা এর প্রতিক্রিয়াটি দেখতে পাচ্ছি; সেটা হল পুরুষ(তার তৎক্ষণাৎ শারীরিক কামনার জন্য) নারীকে আকৃষ্ট করতে চায় এবং নারী যদি তার পুরুষ বন্ধুটির সাথে সঙ্গ দেয়, তবে পুরুষ বন্ধুটি মনে করতে চায় যে, তার মেয়ে বন্ধুটি তার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে।
.
অথচ সেই মেয়ে বন্ধুটি(তার ধীর গতিতে জাগ্রত হওয়া শারীরিক কামনার জন্য) এটা ভাবতে চায় যে, তার পুরুষ বন্ধু তার সাথে বন্ধুত্বসুলভ হতে চাইছে।
.
***কিন্তু অন্য একটি গবেষণা এই সব মেয়েদের অন্তরের কু-বাসনা(যা বাইরে থেকে সাধারণত বোঝা যায় না) প্রকাশ করে দিচ্ছে যারা বলে থাকে – “আমরা তো শুধুই বন্ধু, আমাদের মধ্যে অন্য কিছুই নেই; তোমার মনে এত বাজে চিন্তা কেন”!!
.
***যদিও কোনো মেয়ে তার পুরুষ সঙ্গীকে কেবল বন্ধু হিসেবেই গ্রহণ করতে পছন্দ করে, তবুও সেই মেয়ের মনে একটি সুপ্ত কামনা কাজ করে যেটা সে সহজে স্বীকার করে না।***
.
***University of Chicago (Institute for Mind and Biology) এর গবেষণা বলছে,
.
“এই পারস্পরিক সম্পর্কগুলো আচরণগত বিষয় হতে নির্ধারিত পরিমাপের সঠিকতাকে সমর্থন করে এই বিষয়টিকে স্পষ্ট করার মাধ্যমে যে,
**গবেষণায় অংশগ্রহণকারী মেয়েরা তাদের প্রতি গবেষণায় অংশগ্রহণকারী পুরুষদের রোমান্টিক আকর্ষণকে যথাযথভাবেই শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।**”
.
(“These correlations support the validity of the behavioral rating scales by demonstrating that
**the female confederates were able to accurately detect those behaviors that were associated
with participants’(male participants’) romantic interest in them.**”)[4]
.
তাই আমরা দেখতেই পাচ্ছি যে, এই গবেষণায় অংশ নেওয়া মেয়েরা যথাযথ ভাবেই তাদের গবেষণায় অংশগ্রহণকারী পুরুষদের রোমান্টিক আচরণকে শনাক্ত করতে পেরেছে(যে সব পুরুষ সদস্যদের সাথে এই মেয়েরা গবেষণার স্বার্থে একটি মুক্ত কথোপকথন সম্পন্ন করেছে)।
.
[এই গবেষণা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচের তথ্যসূত্রে দেওয়া ৪ নম্বর তথ্যসূত্র(Reference no 4) এর লিঙ্কটি যাচাই করে দেখুন]
.
এই গবেষণা থেকে আমরা সহজেই এ সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারি যে,
***প্রেমিক বা পুরুষ সঙ্গীর সাথে অবাধে মেশার সময়, মেয়ে সঙ্গীটি তাকে(ঐ মেয়েটিকে) আকৃষ্ট করার জন্য তার পুরুষ সঙ্গীর প্রচেষ্টাকে শনাক্ত করতে পারে এবং মেয়েটি তার(পুরুষ সঙ্গীর) সঙ্গ উপভোগ করে এই অজুহাত দিয়ে যে, তারা শুধুই বন্ধু, এর বেশি কিছু না!! ***
.
আমি অবাক হয়ে যাই, কীভাবে তারা এই বিষয়টিকে *পবিত্র* বলার সাহস পাচ্ছে !!!
.
শুধু তাই-ই নয়! এখনও কিছু বাকি আছে।
.
এই গবেষণা আরও তুলে ধরছে যে, নারীর নিকটবর্তী হওয়ার দরুণ পুরুষের যৌন হরমোন এর প্রতিক্রিয়া তীব্রতর হয়ে ওঠে।
.
গবেষণাপত্রে বিষয়টিকে এভাবে উল্লেখ করা হয়েছে:
.
“এই গবেষণা সর্বপ্রথম নারীর সাথে পুরুষের সংক্ষিপ্ত মিথষ্ক্রিয়ার ফলে হরমোন সংক্রান্ত এবং আচরণগত প্রতিক্রিয়ার পরিমাপকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। গবেষণার ফলাফল পুরুষের প্রজনন সংক্রান্ত প্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।
.
***পুরুষ, ‘ফিমেল কন্ডিশনে'(নারীর সাথে পুরুষের কথোপকথনে) baseline level এর ওপর টেস্টোস্টেরন(পুরুষের যৌন হরমোন) এর তাৎপর্যপূর্ণ বৃদ্ধি প্রদর্শন করে*** এবং এর ফলে প্রদর্শিত তার অধিক বিনম্র আগ্রহকে পরিমাপ করা হয় এবং তা আচরণের মাধ্যমে ফুটে ওঠে, যেটা ‘মেল কন্ডিশনে'(পুরুষের সাথে পুরুষের কথোপকথনে) ততটা পরিলক্ষিত হয় না।
.
এছাড়াও কথোপকথনে অংশগ্রহণকারী নারীদের প্রতি যেসব পুরুষরা **অধিক ‘পূর্বরাগ'(বিবাহ বহির্ভূত প্রেম) ঘটিত আচরণ** দ্বারা পরিচালিত হিসেবে পরিগণিত হয়েছে, তারা(ঐ সকল পুরুষরা) “T level(Salivary testosterone level)”[যৌন হরমোনের এক ধরণের মাত্রা নির্দেশক level] এর অধিক ধন্যাত্মক পরিবর্তন প্রদর্শন করে এবং তারা(ঐ সকল পুরুষরা) কথোপকথনে অংশগ্রহণকারী নারী সদস্যদেরকে **অধিক আকর্ষণীয় রোমান্টিক সঙ্গী হিসেবে চিহ্নিত করে।** মেল কন্ডিশনে(পুরুষের সাথে পুরুষের কথোপকথনে) এরূপ কোনো তাৎপর্যপূর্ণ সম্পর্ক পরিলক্ষিত হয় না।”
.
(“This study represents one of the first attempts to assess hormonal and behavioral reactions of men to brief interactions with women. Results were generally consistent with the possibility of a mating response in human males.
.
***Men in the female condition showed a significant increase in testosterone*** over baseline levels and were rated as having expressed more polite interest and display behaviors than were men in the male condition.
.
In addition, those men who were rated as having directed **more courtship-like behaviors** toward their female conversation partners also showed more positive changes in T levels and rated the female confederates as **more attractive romantic partners**. No such relationships were significant in the male condition.”)[5]
.
এমনকি আরও মজার ব্যাপার হল এই যে, ব্রিটিশ সংবাদপত্র “ডেইলি মেইল” এই গবেষণার ওপর প্রলোভনমূলক মন্তব্য করেছে যা নিম্নরূপ:
.
***সুন্দরী মহিলারা পুরুষের মুখে যেন লালা এনে দেয়***
.
এটা বলা হয়ে থাকে যে, সুন্দরী মেয়েরা পুরুষের মুখে যেন লালা এনে দেয় এবং এখন বৈজ্ঞানিক গবেষণা বলছে, এটা সত্য।
.
একটি গবেষণাতে প্রকাশ পেয়েছে যে, কম বয়সের আকর্ষণীয় মেয়েদের সাথে অল্প কিছুক্ষণের কথোপকথনেই পুরুষের মুখের লালা নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়।
.
এই গবেষণা বলছে যে, বিপরীত লিঙ্গের সদস্যদের সাথে অতি সংক্ষিপ্ত সময়ের প্রেমসুলভ আচরণেই তাদের মুখে প্রায় লালা ঝরতে শুরু করে। আর যত তারা ঐ মেয়েদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে, তত তাদের মুখে লালা নির্গত হয়…”
.
(“***Pretty women make a man’s mouth water***
.
They say the prettiest girls make men’s mouths water – and now scientific research suggests that it is true.
.
A study has revealed that male saliva undergoes dramatic changes during small talk with attractive young women.
.
It suggests they almost start drooling during the briefest of flirtations with members of the opposite sex. And the more they try to impress, the more their saliva gives them away….”)[6]
.
এখন এটা একদমই পরিষ্কার যে কী ধরণের খোঁড়া অজুহাত এই সকল প্রেমিক-প্রেমিকার দল দিয়েই চলেছে তাদের অপবিত্র কীর্তিকে ঢাকার জন্য।
.
=> কেন আমরা বিবাহ বহির্ভূত যৌনসম্পর্ককে অপবিত্র বলছি???
.
এখন যখন আমরা প্রমাণ করেছি যে, বিপরীত লিঙ্গের অবাধ মেলামেশা অপবিত্রতার উৎস, তখন কিছু নির্লজ্জ লোক প্রশ্ন করে বসতে পারে,
.
***”যদি ছেলে আর মেয়ে দুই জনই রাজি থাকে, তাহলে বিয়ের বাইরে যৌনসম্পর্ক করলে কী সমস্যা?”***
.
তাদের জন্যও আমাদের উত্তর আছে।
.
তবে যুক্তি দেওয়ার পূর্বে একটা বিষয় স্পষ্ট করে নেওয়া যাক।
.
যখন আপনারা বলেন যে বিবাহ বহির্ভূত যৌনমিলন পবিত্র, তখন আপনারা বোঝাতে চান যে এটাতে কোনো সমস্যাই নেই।
.
একইভাবে যখন আমরা বলি, বিবাহ বহির্ভূত যৌন আকাঙ্ক্ষা অপবিত্র, তখন আমরা এই বিষয়টিকে নির্দেশ করার চেষ্টা করি যে, ব্যভিচার, সমকামিতা এবং এরকম সম্পর্কগুলির অনুমতি প্রদানে অবশ্যই ব্যাপক আকারে সমস্যার সৃষ্টি হবে।
.
.
কিন্তু বর্তমানের আধুনিক সমাজে বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক একটি সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
.
তাই এটাকে ভালো বা মন্দ হিসেবে বিচার করতে প্রথমে আসুন আমরা সকল ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় আইন উপেক্ষা করি।
.
i. এখন যদি ব্যভিচার, সমকামিতা সঠিক হয়, তবে যদি কোনো জুড়ি(দুইজন ব্যক্তিকে নিয়ে গঠিত হয় জুড়ি) এরূপ শারীরিক ক্রিয়া সম্পাদন করে, তবে সেটি সঠিক।
.
ii. যদি অন্য আরেকটি জুড়ি এই একই কাজ করে, তবে সেটিও সঠিক।
.
iii. তাই উপরের এই দুটো পয়েন্টের প্রেক্ষিতে, যদি দুটি জুটি তাদের পরস্পরের মধ্যে তাদের সঙ্গীর আদান-প্রদান করে এবং এরূপ শারীরিক ক্রিয়া সম্পাদন করে, তবে সেটিও সঠিক হবে।
.
iv. তাহলে উপরের পয়েন্টগুলোর ওপর ভিত্তি করে, যদি কোনো ব্যক্তি নিজের ইচ্ছায় অন্য যেকোনো ব্যক্তির সাথে দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়, তবে সেটাকেও সঠিক বলা হবে।
.
এখন যদি এই প্রক্রিয়া চলতেই থাকে, তবে বিবাহিত দম্পতির পরিমাণ এবং উত্তম ও সুস্থ মানসিকতাসম্পন্নশিশুর পরিমাণ কমতে শুরু করবে। তখন ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, সমাজবিজ্ঞানী, বৈজ্ঞানিক, উত্তম নেতা, উত্তম জনগণ প্রভৃতির পরিমাণ কমতে থাকবে এবং সমাজে ভাঙন দেখা দেবে। ফলে মানব সভ্যতা ধীরে ধীরে ধ্বংসমুখে পতিত হবে এবং এই পৃথিবী বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠবে।
.
আর এই অশুভ প্রক্রিয়াকে থামানো সম্ভব হবে যদি আমরা এর গোড়াতে থাকা সমস্যাটির সমাধান করি যা এরূপ ধ্বংসের জন্য দায়ী ছিল।
.
আর গোড়াতে থাকা সমস্যাটি হল বিপরীত লিঙ্গের অবাধ মেলামেশা যা থেকে অশ্লীল ও অপবিত্র আকর্ষণের ক্রমাগত বৃদ্ধি ঘটতে শুরু করে এবং সমাজে অপবিত্র সম্পর্কের প্রসার ঘটতে থাকে।
.
তাই আসুন এখন থেকে আমরা নিজেদের পরিবর্তন করি। এখনই সময় সঠিক পথটিকে অনুধাবন করা যা আমাদের নিয়ে যেতে পারে প্রকৃত পবিত্রতা এবং শান্তির নিকটে।
.
.
সৃষ্টিকর্তার শান্তি, দয়া এবং আশীর্বাদ আপনাদের সকলের ওপর বর্ষিত হোক।
.
আমরা লেখাটি শেষ করবো আরবি ধর্মীয় শাস্ত্রের একটি লাইন দিয়ে,
.
“কোনো পুরুষের সঙ্গে কোনো নারীই একাকী থাকে না, কেননা তৃতীয় যে থাকে সে হল শয়তান।”[7]
.
লেখকঃ আহমেদ আলি [ফেসবুক id: Ahmed Ali]
#সত্যকথন
.
____________________________
References:
.
[1] http://www.sacred-texts.com/sex/kama/kama201.htm
[2] http://www.sacred-texts.com/sex/kama/kama201.htm
[3] https://m.mic.com/…/science-shows-why-it-seems-impossible-f…
[4] https://labs.psych.ucsb.edu/…/ot…/reserve%20readings/ehb.pdf
[5] https://labs.psych.ucsb.edu/…/ot…/reserve%20readings/ehb.pdf
[6] http://www.dailymail.co.uk/…/Pretty-women-make-mans-mouth-w…
[7] Narrated by al-Tirmidhi (1171) and classed as saheeh by al-Albaani in Saheeh al-Tirmidhi
=====================
.
<<<{সমস্ত প্রশংসা এবং ধন্যবাদ সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার প্রতি এই লেখাটি সম্পন্ন করার সক্ষমতা প্রদান করার জন্য।
আরও ধন্যবাদ আরিফ আজাদকে(একজন বাঙালি লেখক) শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক সরবরাহ করার জন্য}>>>
Leave Your Comments