Category: রোজা

উত্তর : রমাযানের রোযার নিয়তকালে শুধু রোযার নিয়ত করলেই চলবে। সুনির্দিষ্টভাবে ফরয বলা বা স্মরণ করা আবশ্যক নয়। কেননা রমাযান মাসে রোযা রাখলে তা রমাযানের রোযা বলেই বিবেচিত হবে। এমনকি নফলের নিয়ত করলেও রমাযানের রোযাই আদায় হবে, নফল নয়। তাই শুধু রোযার নিয়ত কর...

উত্তর : রোযার সময় সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত। এ সময়ের অর্ধেক অতীত হওয়ার পূর্বেই নফল রোযার নিয়ত করলে নিয়ত সহীহ হবে। রোযাও আদায় হবে। ১০ই মুহাররমের রোযা নফল তাই আপনার উপর্যুক্ত নিয়ত সহীহ হয়েছে। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে দিনের ...

উত্তর : লাগাতার কয়েকটি রোযা আদায় করার ক্ষেত্রে পৃথক পৃথক নিয়ত করাই উত্তম। প্রতিদিন সাহরী খাওয়ার সময় নিয়ত করে নিবেন। মূলত: নিয়ত উচ্চারণ করা আবশ্যক নয়। রোযার উদ্দেশ্যে সাহরী খেলেও রোযার নিয়ত পূর্ণ হয়ে যায়। তবে এক সাথে নিয়ত করে নিলেও চলবে। (তাবয়ীনুল হাক...

উত্তর : দিনের বেলা মাসিক বন্ধ হয়ে যাবে এ ধারণায় সাহরী খেয়ে রোযার নিয়ত করলেও রোযা হবে না। কেননা, সুবহে সাদিকের সময় মাসিক চলমান থাকার পর পরবর্তীতে বন্ধ হলেও ঐদিনের রোযা রাখার অনুমতি নেই। হ্যাঁ, যদি রাতে বা সুবহে সাদিকের পূর্বে বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে পর...

উত্তরঃ- ইসলামী শরীয়াহ রোযার জন্য সময় নির্ধারণ করেছে সূর্য উদয় থেকে সূর্যস্ত পর্যন্ত। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে বিমানে করে অন্য দেশে যাওয়া ব্যাক্তি অবস্থানরত দেশের হিসাবেই ইফতার করবে।   - হাশিয়াতু ইবনে আবেদীনঃ- ২/৪২০, বাদায়েউস সানায়েঃ-...

উত্তরঃ- শরয়ী মূলনীতির আলোকে রোযা অবস্থায় পাকস্থলীতে বা মস্তিস্কে কোন কিছু পৌঁছার দ্বারােোযা ভেঙ্গে যায়। সুতরাং প্রশ্নোক্ত সুরতে কুলি করার সময় গলা ‍দিয়ে পানি পেটে গেলে রোজা ভেঙ্গে যাবে।   - হাশিয়াতু ইবনে আবেদীনঃ-৩/৪২৯, ফাতাওয়ায়ে সিরাজিয়া...

উত্তরঃ- শরীয়তের মূলনীতি হলো রোযাদার ব্যাক্তি মুখের লালার সাথে মিশ্রিত কোন কিছুর স্বাদ অনুভব করার দ্বারা রোযা ভঙ্গ হবে না, মাকরুহ হবে। সুতরাং প্রশ্নেবর্ণিত সূরতে যদি ঘুমানোর পূর্বে কুলি করে থাকে আর ঘুম থেকে উঠে পানের লালিমা থুথুর সাথে দেখা যায়, তাহ...

উত্তরঃ- পাকস্থলিতে খাদ্য কিংবা ঔষধ প্রবেশ করা রোজা ভঙ্গের কারণ। সুতরাং মহিলাদের লজ্জাস্থানের ভিতরে ঔষধ দিলে তা পাকস্থলিতে প্রবেশ করার কারণে রোজা ভেঙ্গে যাবে।   - রদ্দুল মুহতারঃ-২/৩৯৯, ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়াঃ- ৩/৩৭৮, আহসানুল ফাতাওয়াঃ- ৪/৪...

উত্তরঃ- অসুস্থতা বা অসুস্থতা বৃদ্ধির আশংকার কারণে রোজা না  রাখার অনুমতি আছে। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত ব্যাক্তির যদি দ্বীনদার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মতানুসারে রোজা রাখার কারণে পুনরায় স্ট্রোক করার সম্ভাবনা থাবে তাহলে রোজা না রাখার অনুমতি আছে। অন্যথায় নয়। ...

উত্তরঃ- পাগল ব্যাক্তি রমজান মাসে এক মুহূর্তের জন্যে সুস্থ হলেও তার উপর পূর্ণ রমযানের রোজা ফরজ হবে। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত ব্যাক্তি সুস্থ হওয়ার পর থেকে রোজা রাখা শুরু করবে। আর ছুটে যাওয়া রোজার কাযা আদায় করবে।   - আদ দুররুল মুখতার বিহামিশি...

উত্তরঃ- হানাফী মাজহাবের পরবর্তি ফুকাহায়ে কেরামের মতানুসারে দূরবর্তী দুই দেশের একটির চাঁদ দেখা অন্যটির জন্য গ্রগনযোগ্য নয়। সুতরাং বাংলাদেশে সৌদি আরবের অনুসরণে রোজা রাখা সহীহ হবে না।   - সুনানুত তিরমিজিঃ- ১/১৪৮, মায়ারেফুস সুনানঃ- ৫/৩৫২, ত...

উত্তরঃ- ভয়ের কারণে রোজা না রাখলে কাযা ওয়াজিব হয়, কাফ্ফারা নয়। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত ব্যাক্তি শুধু কাযা করবে, কাফ্ফারা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।   -ফাতাওয়া কাযীখানঃ- ১/১২৬, মাজমাউল আনহারঃ- ১/৩৬৯, ফাতাওয়া হাক্কানিয়াঃ- ৪/১৮৯,...

উত্তরঃ- বার্ধক্য বা মরণব্যাধীতে আক্রান্ত হওয়ায় রোযা রাখতে অক্ষম ব্যাক্তি ফিদিয়াহ আদায় করার অনুমতি আছে । পরবর্তিতে রোযা রাখতে পারার মত সুস্থ ও সক্ষম হলে কাযা করতে হবে। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত ব্যাক্তি পরবর্তিতে সুস্থ হয়ে যাওয়ায় পুর্ব...

উত্তরঃ- বার্ধক্যের কারণে পুরোপুরি অক্ষম ব্যাক্তির জন্য রোজা না রাখার অবকাশ রয়েছে। সুতরাং সে তার রোজার পরিবর্তে ফিদিয়া স্বরূপ একটি এতিম/মিসকিনকে দুই বেলা খাবার খাওয়াবে।   - ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীঃ-১/২৭০, আপকে মাসায়েল আওর উনকা...

উত্তরঃ- রোজাবস্থায় এমন কোন উপায়ে খাদ্য বা এ জাতীয় কিছু গ্রহন করা রোজা ভঙ্গের কারণ যা পাকস্থলি বা ব্রেনের মধ্যে প্রবেশ করে। অন্যথায় ভাঙ্গবে না। প্রশ্নে বর্ণিত সুরতে চোখে ব্যাবহৃত ঔষধ বিজ্ঞজনদের মতানুযায়ী পাকস্থলীতে পৌঁছেনা বিধায় রো...