Category: ওয়াক্ফ

উত্তরঃ- খাত নির্ধারণ পূর্বক ওয়াকফকৃত বস্তু খাত ব্যাতিত ভিন্ন খাতে স্থায়ীভাবে ব্যাবহারের অনুমতি নেই। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত মসজিদের জন্য ওয়াকফকৃত জমিতে স্থায়ীভাবে মাদরাসা বিল্ডিং নির্মান করার অনুমতি নেই। তবে একান্ত প্রয়োজনে অনুমতি স...

উত্তরঃ- বিশুদ্ধ মতানুযায়ী স্থাবর ও অস্থাবর সকল বস্তু ওয়াকফ করা বৈধ। সুতরাং বর্ণিত সুরতে মসজিদে পাখা ওয়াকফ করা যাবে।   -আল ফিকহুল হানাফী ওয়া আদিল্লাতুহুঃ-৩/১৫৮, আল ফিকহুল হানাফী ফি সাওবিহিল জাদীদঃ-২/৩৬৯, ফাতাওয়ায়ে মাহমুদ...

উত্তরঃ- শরয়ী দৃষ্টিতে ওয়াকফকৃত সম্পত্তি পরিবর্তন করার অনুমতি নেই। সুতরাং বর্নিত সুরতে পরিবর্তন করা যাবে না। তবে ওয়াকফনামায় পরিবর্তনের কথা উল্লেখ থাকলে বা ওয়াকফকৃত জিনিস ব্যাবহার অযোগ্য হলে ভিন্ন কথা।   -রদ্দুল মুহতারঃ-৪...

উত্তরঃ- খাত নির্ধারণ-পুর্বক ওয়াকফকৃত সম্পদ ওই খাতের সাথেই নির্দৃষ্ট হয়ে যায়। এতে পরিবর্তনের অনুমতি নেই। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সুরতে মাদরাসার জন্য ওয়াকফকৃত জমি মসজিদের জন্য দেয়া যাবে না। ( কিন্তু ওয়াকফের সময় ওয়াকফকারীগন পরিবর্তনের শর্ত করে থাকলে...

উত্তরঃ- নাবালেগ সন্তান শরয়ী বিভিন্ন পর্যায়ে বাবার অধীনত হয়, বাবার হুকুমই তার সন্তানের উপর বর্তায়। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত বাবা যদি নেসাবের মালিক হন তাহলে তার সন্তানকে কিতাব ওয়াকফ করে দেওয়া যাবে না।   - আল ফিকহুল ইসলামী ওয়...

উত্তরঃ- খাত নির্ধারণ পূর্বক ওয়াকফকৃত জিনিস ওই খাতেই ব্যাবহার হওয়া জরুরী। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত ওয়াকফ্কৃত গাছ কোন খাতের সাথে নির্দৃষ্ট হলে ঐ খাতেই ব্যাবহার করা জরুরী। আর যদি কোন খাতের সাথে নির্দৃষ্ট করে ওয়াকফ্ না করা হয় তাহলে যে...

উত্তর:- শরয়ী নীতিমালা অনুযায়ী  কাজীর জন্য ওয়াকফকৃত  জমিন হস্তক্ষেপ করা বৈধ। সুতরাং প্রশ্নেবর্ণিত সূরতে  সরকার  প্রয়োজনের খাতিরে ওয়াকফকৃত জমিন বিনিময় দিয়ে গ্রহণ করতে পারবে। তবে বিনিময়বিহীন নেওয়া ঠিক নয়। ...

উত্তরঃ- শরী নীতিমালা অনুযায়ী জানা যায় ওয়াকফ সহিহ হওয়ার জন্য শর্ত হলো মালিকানাধীন হওয়া। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সুরতে যৌথ সম্পত্তির সকল মালিক যদি এক সাথে দিয়ে দেয় তাহলে সহিহ হবে। আর যদি এক কেউ ‍দিল কেউ দিলো না এমন হয় তাহলে সহিহ হবেনা...

উত্তর :- বাস্তবেই যদি উক্ত জমি বছরের অধিকাংশ সময় ব্যবহারের উপযোগী না থাকে এবং এর মাধ্যমে কোনো আয়ও না হয়, তাহলে সেটি বিক্রি করে এ থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে লাভজনক উর্বর জমি ক্রয় করার অবকাশ আছে। এক্ষেত্রে ক্রয়কৃত জমিটি বিক্রিত জমির মত ওয়াকফ হিসেবেই গণ্য...

উত্তর: - প্রশ্নোক্ত অস্থায়ী নামাযের ঘরটি যেহেতু ‘শরঈ মসজিদ’ নয় তাই তাতে ইতিকাফ সহীহ হবে না। ইতিকাফ সহীহ হওয়ার জন্য ‘শরঈ মসজিদ’ হওয়া জরুরি। কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে, (তরজমা) তোমরা মসজিদে ইতিকাফরত অবস্থায় তাদের (স্ত্রীদের) সাথে মিলিত হয়ো না। ...

উত্তর: মৌলিকভাবে স্থাবর সম্পদই ওয়াক্ফ হয়। অস্থাবর সম্পদ নয়। অবশ্য বহুল প্রচলনের ভিত্তিতে অস্থাবর সম্পদও ওয়াক্ফ হতে পারে। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে যেহেতু ঘর বাড়ী ইত্যাদি অস্থাবর এবং সাধারণত শুধু এগুলো জমি ব্যতিত ওয়াক্ফ করার প্রচলন নেই। তাই যদি ক...

উত্তর: শরয়ী দৃষ্টিতে ওয়াক্ফকৃত বস্তু নির্ধারিত খাতে ব্যয় করতে হয়। অন্যত্রে ব্যয় ও ব্যবহার করা নাজায়েয। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে ওয়াক্ফকৃত কবরস্থানের মাঝখান দিয়ে রাস্তা বানানো যাবে না।   ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া ২-৪১০, খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪-৪...

উত্তর: শরয়ী নীতিমালা অনুযায়ী ওয়াক্ফকারী ব্যক্তি ওয়াকফের সাথে সাথে শরীয়ত মোতাবেক কোন শর্ত করলে তার উপর আমল করা ওয়াজিব। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে ওয়াক্ফকারী ব্যক্তি যদি ওয়াক্ফকালীন তা থেকে উপকৃত হওয়ার শর্ত করে থাকে তাহলে উপকৃত হতে পারবে, অন্যথায় ন...

উত্তর: শরয়ী দৃষ্টিতে ওয়াক্ফকৃত বস্তু থেকে উৎপন্ন জিনিস বিক্রি করে ওয়াক্ফকৃত বস্তুর সংস্করণ ইত্যাদি করা জায়েয। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে কবরস্থান ও ঈদগাহ ইত্যাদির ওয়াক্ফকৃত জমির উৎপন্ন ঘাস বিক্রি করা জায়েয আছে। ফাতাওয়ায়ে কাজীখান ৩-২১৮, রদ্দুল ...

উত্তর: শরয়ী দৃষ্টিতে ওয়াক্ফকৃত বস্তু ক্রয় বিক্রয় করা জায়েয নাই। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে ব্যক্তি যদি মসজিদের জন্য উক্ত জমি ওয়াক্ফ করে থাকে তাহলে তা বিক্রি করে মসজিদের সংস্কার করা যাবে না। হ্যাঁ উক্ত জমি মসজিদের উন্নয়নের জন্য দান করে থাকে তাহলে ...