Category: জিহাদ

উত্তরঃ- শরয়ী দৃষ্টিতে যুদ্ধবন্দী নারী দাসীর অন্তর্ভুক্ত। আর শরীয়ত নিজ স্ত্রী বা দাসীর সাথে সঙ্গমের বৈধতা দিয়েছে। সুতরাং বন্দিনী মহিলার সাথে বিবাহপূর্বক সহবাস বৈধ।   -আত তাফসীরুল কাবীরঃ-৫/২৬৩, আল ফিকহুল হানাফী ফি সাওবিহিল জাদীদঃ- ৩/২৫...

উত্তরঃ- ইসলাম ধর্ম গ্রহনের ব্যাপারে কারো উপর জোর প্রয়োগ করার হুকুম নেই। সুতরাং কাউকে জোর পূর্বক মুসলমান বানানো যাবে না। এবং জোরপূর্বক ঈমান গ্রহন করলে তার ঈমান গ্রহনযোগ্য হবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত স্বেচ্ছায় অন্তরে বিশ্বাস না করে।   -আত তাফস...

উত্তরঃ- যুদ্ধক্ষেত্রে যুদ্ধাবস্থায় শত্রুদের পরাজিত করার উদ্দেশ্যে যে কোনো আধুনিক অস্ত্র প্রয়োগের অনুমতি আছে। সুতরাং বোমাসহ অন্যান্য আধুনিক অস্ত্র প্রয়োজনবোধে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যাবহার করা যাবে।   -আত তাফসীরুল কাবীরঃ- ৮/১৬৯, আল ফিকহুল হানাফ...

উত্তরঃ- বাইয়াত পাঁচ প্রকার। ১/ ইসলাম গ্রহনের বাইয়াত। ২ রাস্ট্রপ্রধানের আনুগত্যের বাইয়াত। ৩/ তাকওয়া অর্জনের উদ্দেশ্যে তাসাউফের বাইয়াত। ৪/ হিজরত ও জিহাদের বাইয়াত। ৫/ জিহাদে দৃঢ়পদ থাকার বাইয়াত। ইসলামী শরীয়া নির্দৃষ্ট কতিপয় অপরাধের জন্য...

উত্তরঃ- শরয়ী দৃষ্টিতে ইসলাম ও দ্বীন রক্ষার স্বার্থে জিহাদ করলে সেটাই জিহাদ হবে, চাই সেটা দেশের জন্য হোক না কেন। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত দেশের জন্য যুদ্ধ করলে জিহাদ হবে। এবং তাতে মারা গেলেও শহীদের মর্যাদা পাবে।   -বাদায়েউস...

উত্তরঃ- নাবালেগ এর উপর জিহাদ ফরজ নয়। সুতরাং পিতা মাতার অনুমতি ছাড়া নাবালেগ বাচ্চা জিহাদে অংশগ্রহন করতে পারবে না। কিন্তু ফরজে আিইন হওয়ার সময় তার নিজের উপরও জিহাদ ফরজ হওয়ায় অনুমতি ব্যাতিতই অংশগ্রহন করতে পারবে।   -আল ফিকহু...

উত্তরঃ- মৌলিকভাবে জিহাদ নারী পুরুষ উভয়ের উপরই ফরজ। তবে আদায় করা পুরুষের উপর ফরজ। মহিলারা অনুগত হিসেবে যেতে পারে। তাই তারা জিহাদে অংশগ্রহন করবে না। হ্যাঁ! চাইলে স্বামীর অনুমতিতে পারবে। কিন্তু জিহাদ ফরজে আইন হওয়ার সময় নারীদের উপরও ফ...

উত্তরঃ- দাড়ি কাটা বা মুন্ডানো বৈধ নয়। সুতরাং জিহাদের প্রয়োজনার্থে হারাম/অবৈধ কাজ লিপ্ত সুতরাং হওয়া জায়েয নেই। (মুজাহিদীনদের পক্ষে গোয়েন্দাগীরী করার সুবিধার্থে দাড়ি মুন্ডন করা জায়েয)   -আল কুরআনুল কারীম; আলে ইমরানঃ- ১২, সুনানে আবি দাউ...

উত্তরঃ- কুরআন ও হাদীসের সুস্পষ্ট বর্ণনা অনুযায়ী শহীদের মর্যাদা ও তার শরীরের অনেক মূল্য রয়েছে। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সুরতে শহীদের রক্তের চেয়ে কলমের কালির মূ্ল্য বেশি; কথাটি ঠিক নয়। এমন কথা বলা বা প্রচার করা সম্পূর্ণ নিষেধ।  ...

উত্তরঃ- ইসলামে সরকার গঠনের পদ্ধতিকে খেলাফত বলে। আর বৈধ খলিফার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা হত্যাযোগ্য অপরাধ। অবৈধ খলিফার বিরুদ্ধে সমর্থ থাকলে বিদ্রোহ করা জায়েয। আর শক্তি সামর্থ না থাকলে অবৈধ। চলমান গণতন্ত্র যেহেতু ইসলাম সমর্থিত না, তাই...

উত্তরঃ- শরয়ী নীতিমালা অনুযায়ী জানা যায়, আমীর যদি কোরআন সুন্নাহর বাহিরে কোন হুকুম না করে তাহলে তা পালন করা আবশ্যক। অন্যথায় নয়। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সুরতে কাফেরের সংখ্যা অধীক হলেও আমীরের হুকুম পালন করা আবশ্যক। কেননা জয় পরাজয় আল্লাহ...

উত্তর: শরয়ী দৃষ্টিতে জিহাদ চলাকালে কাফেরদের মহিলা, শিশু, বৃদ্ধ ও পাগল ইত্যাদি এবং উপাসনালয়ে থাকাবস্থায় তার রক্ষণাবেক্ষণকারীসহ যেসমস্ত লোক যুদ্ধে কোন ধরণের সহযোগীতা করে না তাদেরকে হত্যা করার অনুমতি নেই। তবে স্থান, কাল, পাত্র-ভেদে মুসলিম সেনাপতি প্রয়োজ...

উত্তর: শরয়ী দৃষ্টিতে শহীদ বলা হয় যাকে কোন মুশরেক, হারবী, রাষ্ট্রদ্রোহী বা ডাকাত কর্তৃক হত্যা করা হয়েছে অথবা যখমসহ জিহাদের ময়দানে মৃত পাওয়া গেছে অথবা কোন মুসলিম অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে শাপলা চত্তরে যাদেরকে অন্যায়ভাবে হত্...

উত্তর: শরয়ী দৃষ্টিতে জিহাদ ফরযে আইন হওয়ার জন্য শর্ত হলো- আমীরুল মুজাহিদীন কর্তৃক ‘নফীরে আম’ তথা আপামর সকলকে জিহাদে অংশগ্রহণের নির্দেশ করা। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে আমীরুল মুজাহিদীন ‘নফীরে আমে’র (আপামর সকলকে জিহাদে অংশগ্রহণের নির্দেশ ) ঘোষণা করল...

উত্তর: শরয়ী দৃষ্টিতে জিহাদ বলা হয় দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য কাফেরদের সাথে শ্রম দিয়ে সম্পদ নিয়ে বা কথা দিয়ে প্রচেষ্টা চালানোকে। তবে স্বীয় প্রবৃত্তি, শয়তান ও গুনাহগারদের বিরোধিতা করাও জিহাদের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে তাবলীগে যাওয়াও আভিধা...