Category: রোজা

উত্তর : ইফতার সূর্যাস্তের সাথে সম্পৃক্ত। তাই প্রশ্নোক্ত ব্যক্তির সফরকালে যেখানে সূর্যাস্ত হবে সেখানেই ইফতার করবে। যদি পথিমধ্যে ইফতারের সময় না হয় বরং সৌদি আরব যাওয়ার পর হয়, তাহলে সৌদি পৌঁছার পর ইফতার করবে। কেননা, কুরআনুল কারীমে আল্লাহ তাআলা রাত পর্যন...

উত্তর: মলদ্বারের সৃষ্ট নরম গোটা অংশটি যদি পেটের অভ্যন্তর থেকে বের হয় এবং তা পানি দিয়ে ধৌত করে বা কোনো ঔষধ ব্যবহার করে পরিষ্কার না করেই পুনরায় ভিতরে প্রবেশ করানো হয়, তাহলে রোযা ভেঙে যাবে। আর পরিষ্কার করে প্রবেশ করালে ...

উত্তর: স্বামীর খেদমত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। তাই নফলের কারণে স্বামীর খেদমতের ব্যাঘাত হলে খেদমতকেই প্রাধান্য দিতে হবে। নফল রোযা অন্য সময় আদায় করে নিবেন। একারণে হাদীসে নফল রোযা রাখার জন্য স্ত্রীকে স্বামীর অনুমতি চাওয়া...

উত্তর: রোযা রাখার পর সফর করলে রোযা ভাঙতে পারবে না। কেননা মুকীম অবস্থায় তার উপর রোযা ফরয় হয়ে গিয়েছে। এখন সফরের কারণে এ ফরয শিথিল হবে না। তবে রোযা ভেঙে ফেললে শুধু কাযা ওয়াজিব হবে। কাফফারা ওয়াজিব হবে না।   বা...

উত্তর: সাপোজিটর যদি পেটের অভ্যন্তরে পৌঁছে যায়, তাহলে রোযা ভেঙে যাবে। রোযা অবস্থায় অতীব প্রয়োজন না হলে তা ব্যবহার করবেন না। কিতাবুল আছল- ২/১৯১, মাবসূত সারাখসী-৩/৬৭, আল-মহীতুল বুরহানী- ২/৩৮৩)।...

উত্তর: দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা সুপারি বা খাবারের টুকরো দাঁতের ফাঁক থেকে বের করে ফেলে দিতে হবে। দাঁতের ফাঁক থেকে বের করে ইচ্ছাকৃত গিলে ফেলা ঠিক নয়। সুপারির টুকরো ছোলার পরিমান হলে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। আর তারচে’ ছোট হলে র...

উত্তর: রমাযানের রোযার কাযা একটি ফরয বিধান। উযর ব্যতীত ইচ্ছাকৃত ভেঙে ফেলা গুরুতর গুনাহের কাজ। তবে কাযা রোযা ভাঙার কারণে শুধু কাযা আদায় করতে হবে। কাফফারা আদায় করতে হবে না। তাবয়ীনুল হাকায়েক- ১/৩১৩, আলবাহরুর রায়েক- ৩/...

উত্তর: দিনের বেলা মাসিক বন্ধ হয়ে যাবে এ ধারণায় সাহরী খেয়ে রোযার নিয়ত করলেও রোযা হবে না। কেননা, সুবহে সাদিকের সময় মাসিক চলমান থাকার পর পরবর্তীতে বন্ধ হলেও ঐদিনের রোযা রাখার অনুমতি নেই। হ্যাঁ, যদি রাতে বা সুবহে সাদি...

উত্তর: লাগাতার কয়েকটি রোযা আদায় করার ক্ষেত্রে পৃথক পৃথক নিয়ত করাই উত্তম। প্রতিদিন সাহরী খাওয়ার সময় নিয়ত করে নিবেন। মূলত: নিয়ত উচ্চারণ করা আবশ্যক নয়। রোযার উদ্দেশ্যে সাহরী খেলেও রোযার নিয়ত পূর্ণ হয়ে যায়। তবে এক সাথে নিয়ত ক...

উত্তর : হিন্দু ব্যক্তি যদি আন্তরিকতার সাথে হালাল বস্তু দিয়ে ইফতারি করায়; তাহলে ইফতারি করা যাবে। এতে রোযার কোনো ক্ষতি হবে না। বর্তমানে ইফতার পার্টিগুলো নানা ধরনের রসম ও অনৈসলামিক কাজে নিমজ্জিত। তাই ইফতার পার্টিতে অংশগ্রহণ না করাই শ্রেয়। (মুসান্নফে ইবন...

উত্তর : রোযা রেখে যে কোন ধরনের টিকা, ইনজেকশন; চাই তা শিরায় দেয়া হোক কিংবা চামড়ায় বা মাংসে, রোযা ভাঙবে না এবং এটাই অধিকাংশ উলামায়ে কেরামের মত। (বাদায়েউস সানায়ে- ২/৯৩, রদ্দুল মুহতার- ২/৩৯৫, ইমদাদুল ফাতাওয়া- ২/১৪৫)।  ...

উত্তর : রমাযানের রোযা রেখে এনজিওগ্রাম করার কারণে আপনার রোযা ভঙ্গ হয়নি। কেননা, উক্ত ক্যাথেটার রগের ভেতর দিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে গিয়েছে। পাকস্থলীতে যায়নি এবং যাওয়ার সম্ভাবনাও নেই। তাই রোযাও ভাঙবে না। রোযা ভাঙতে হলে পাকস্থলীতে যেতে হবে বা প্রবল সম্ভাবনা থ...

উত্তর : ঢেকুরের সাথে টক জাতীয় পানি বের হওয়ার পর পুনরায় তা আপনা আপনি বা অনিচ্ছায় ঢুকে গেলে রোযা ভাঙবে না, তবে যদি মুখে জমা হওয়ার পর ইচ্ছাকৃতভাবে (রোযার কথা স্বরণ থাকা সত্ত্বেও) গিলে ফেলে তাহলে রোযা ভেঙে যাবে, এবং এই সূরতে পরবর্তীতে ঐ রোযার শুধু কাযা ক...

উত্তর : রমাযানের রোযা রেখে মাথাব্যথা বা কোমর ব্যথার জন্য ভিকস, বাম অথবা নিক্স জাতিয় ঔষধ ব্যবহার করতে পারবেন, এতে রোযার কোনো সমস্যা হবে না। শরীরের ত্বকে তেল বা ঔষধ ব্যবহার করলে সরাসরি পাকস্থলীতে যায় না। যা রোযা ভাঙার মূল কারণ।   বাদায়েউস সা...

উত্তর : প্রশ্নে বর্ণিত হোমিওপ্যাথিক ঔষধ জিহ্বার মাধ্যমেই রক্তে মিশে যায়, পেট বা মস্তিষ্কে পৌঁছে না; তাই এর দ্বারা রোযাও নষ্ট হবে না। আর ওযরের কারণে জিহ্বায় এ ঔষধ সেবন করার কারণে মাকরূহও হবে না। সুতরাং রোযা রেখে রোগীরা এ জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করতে পারবে।...