Category: রোজা

উত্তর :-  রমাযানের রোযার কাযা একটি ফরয বিধান। উযর ব্যতীত ইচ্ছাকৃত ভেঙে ফেলা গুরুতর গুনাহের কাজ। তবে কাযা রোযা ভাঙার কারণে শুধু কাযা আদায় করতে হবে। কাফফারা আদায় করতে হবে না।   তাবয়ীনুল হাকায়েক- ১/৩১৩, আলবাহরুর রায়েক- ৩/১৭, ...

উত্তর :-  দিনের বেলা মাসিক বন্ধ হয়ে যাবে এ ধারণায় সাহরী খেয়ে রোযার নিয়ত করলেও রোযা হবে না। কেননা, সুবহে সাদিকের সময় মাসিক চলমান থাকার পর পরবর্তীতে বন্ধ হলেও ঐদিনের রোযা রাখার অনুমতি নেই। হ্যাঁ, যদি রাতে বা সুবহে সাদিকের পূর্বে বন্...

উত্তর:- লাগাতার কয়েকটি রোযা আদায় করার ক্ষেত্রে পৃথক পৃথক নিয়ত করাই উত্তম। প্রতিদিন সাহরী খাওয়ার সময় নিয়ত করে নিবেন। মূলত: নিয়ত উচ্চারণ করা আবশ্যক নয়। রোযার উদ্দেশ্যে সাহরী খেলেও রোযার নিয়ত পূর্ণ হয়ে যায়। তবে এক সাথে নিয়ত করে নিলেও চল...

উত্তর: হানাফি মাযহাবের পরবর্তি ফুকাহায়ে কেরামের মতানুসারে দূরবর্তী দুই দেশের একটির চাঁদ দেখা অন্যটির জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে উক্ত ব্যক্তি বাংলাদেশ অনুসরণে রোযা রাখবে।   রদ্দুল মুহতার ৩-৪১৮, তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহি...

উত্তর: শরীয়তের মূলনীতি হলো, রোযা অবস্থায় পেট অথবা মস্তিস্কে কোন কিছু প্রবেশ করলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যায়। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে যেহেতু নাকে ও কানে ঔষধ ব্যবহার করলে পেট বা মস্তিস্কে পৌছে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। তবে চোখের ক্ষেত...

উত্তর :- সাধারণত চাদ দেখা প্রমাণিত হওয়ার জন্য দুজন পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুজন মহিলার সাক্ষ্য প্রয়োজন। কিন্তু রমাযান এর ব্যতিক্রম। রমযানের চাদ দেখার ক্ষেত্রে একা একজনের সাক্ষীও গ্রহণযোগ্য। তাই কাজি সাহেব একজনের চাদ দেখার উপর ভিত্তি করে রোজা রাখার হ...

উত্তর :- শরীয়তের বিধান হলো, বমি করার দ্বারা রোযা ভঙ্গ হয় না। সুতরাং কোন ব্যক্তি যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে বমি করে চাই তা মুখ ভরে হোক বা না হোক। তার রোযা ভাঙবে না। তবে, বমি আটকাতে গিয়ে যদি বমির কিছু অংশ গিলে ফেলে। তাহলে সকল ইমামের ঐক্যমতে তার রোযা ভেঙ্গে ...

উত্তর :- ডাক্তারদের মতে অক্সিজেন আর শ্বাস-প্রশ্বাসের  মাঝে কোন পার্থক্য নেই। আর নিশ্বাস নিলে যেহেতু রোযা ভাঙ্গে না। তাই অক্সিজেনের সাথে কোন ঔষধ না থাকলে শুধু অক্সিজেন গ্রহণ করার দ্বারাও রোযা ভাঙ্গবে না।   আল হিদায়া - ১/২১৮; ফাতাওয়া  উসমানি...

উত্তর :- শরীয়তের বিধানুযায়ী রোযা ভঙ্গ হওয়ার জন্য কোন জিনিস গ্রহণযোগ্য রাস্তা দিয়ে পেটে বা দেমাগে পৌঁছা এবং সেখান থেকে যাওয়া শর্ত। সুতরাং প্রশ্নোক্ত সুরতে এন্ডোস্কপি করানো দ্বারা রোজা ভাঙবে না। তবে হ্যা যদি পাইপের সাথে তরল কোন  ঔষধ লাগানো থাকে  আর ...

উত্তর:- শরীয়তের পরিভাষায় যাবতীয় পানাহার ও সহবাস হতে বিরত থাকার নাম রোযা। আর প্রশ্নে বর্ণিত বস্তুগুলোর সেবন পানাহারের অন্তর্ভূক্ত। এগুলো সেবন করার দ্বারা ভেঙ্গে যাবে।   আদ দুররুল মুখতার - ২/৩৯৫; বাদায়েউস সানায়ে’[ ২/৬১৯; ফাতাওয়া হাক্কানিয়া -...

উত্তর :- শরয়ী বিধানুযায়ী রোযা অবস্থায় পেটে বা মস্তিস্কে স্বাভাবিক রাস্তা ( নাক, কান , গলা , পেশাব ও পায়খানার রাস্তা)  দিয়ে কোন কিছু প্রবেশ করলে রোযা ভেঙ্গে যায়। সুতরাং ইঞ্জেকশন পুশ করার মাধ্যমে শরীরের স্বাভাবিক রাস্তা দিয়ে পেটে বা দেমাগে কিছু পৌছছ...

উত্তর:- রোজাবস্থায় স্বাদযুক্ত জিনিস মুখে নেয়া নিষেধ। কেননা কোন কিছুর স্বাদ যদি গলা অতিক্রম করে পেটে চলে যায় তাহলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যায়।  সুতরাং প্রশ্নোক্ত সুরতে যদি পেষ্টের স্বাদ গলা অতিক্রম করে তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। অন্যথা...

উত্তর: খাদ্যনালী বা পায়খানার রাস্তা দিয়ে কোন কিছু ভিতরে প্রবেশ করলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যায়। ইঞ্জেকশন দেয়া হয় শরীরের রগ কিংবা গোস্তের মধ্যে যার মাধ্যমে পেট বা মস্তিষ্কে কোন কিছু প্রবেশ করে না। তাই ইঞ্জেকশন দ্বারা রোজা ভঙ্গ হবে না। আদ-দুররুল মুখতার ২/৩৯৫...

উত্তর:-চোখ ও কানে প্রদত্ব অষুধ অনেক সময় পেটের ভিতরে চলে যায়। তাই রোজাবস্থায় এসব ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবে। একান্ত যদি ব্যবহার করতেই হয় তাহলে খুব সতর্কতার সাথে খেয়াল রাখতে হবে পেটে চলে গেল কিনা? যদি চলে যায় তা...

উত্তর:-প্রশ্নেবর্ণিত ব্যক্তির রোজা ভেঙ্গে যাবে এবং পরবর্তীতে ক্বাযা করতে হবে । কাফ্ফারা দেওয়া লাগবেনা।  রদ্দুল মুহতার ৯/১৮৬,বাদায়েয়ু সানায়ে ২/৬১৪,ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া ১/১২২, আল জাওহারাতুন নায়ারাহ ১/১৭৮. উত্তর লিখনে- মুফতি ...