Category: ওমরা

উত্তর:-হজ ও ওমরা উভয়টা স্বতন্ত্র ইবাদত। হজ ফরজ, ওমরা সুন্নত। একটা অপরটার পক্ষ থেকে যথেষ্ট হবে না।  সুতরাং প্রশ্নেবর্নিত সাদ সাহেব আলাদাভাবে হজ করতে হবে। ওমরা করার দ্বারা হজের ফরজিয়ত আদায় হবে না।  - সুরা আলে ইম...

উত্তর :- ওমরায় আরাফায় অবস্থান সুন্নাত। যা ছুটে যাওযার দ্বারা ওমরার কোন ক্ষতি হয় না। তাই প্রশ্নোক্ত ব্যক্তির ওমরা আদায় সহিহ হয়ে গেছে।   হাশিয়া ইবনে আবেদিন - ৩/৫১৭; আল ফিকহুল হানাফি - ১/৪৬৭; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া - ৩/৬১৫; রাফাআত কাসেমি , মা...

উত্তর :- তাওয়াফ পবিত্র অবস্থায় করা জরুরী। অপবিত্র অবস্থায় কৃত তাওয়াফ গ্রহণযোগ্য নয়। তাই অযু ছাড়া তাওয়াফ করলে তাকে দম দিতে হবে। হোক তা হজের বা ওমরার।   আদ দুররুল মুখতার - ২/৫৫১; বাদায়েসউ সানায়ে’ ৩/৭৫; ফাতাওযা তাতারখানিয়া - ৩/৬০৯; আল বাহরুর ...

উত্তর :- হজ ও ওমরা পবিত্রতম ইবাদাত। যা হওয়া চাই সততা ও সত্য নির্ভর। এক্ষেত্রে কোনরূপ মিথ্যার আশ্রয় নেয়া যাবে না। তাই নাম-পরিচয় গোপন করে বা মিথ্যা পরিচয় ব্যবহার করে হজ বা ওমরা আদায় না করা চাই। অবশ্য একান্ত কেউ করে ফেললে তার হজ বা ওমরা আদায় হয়ে যাবে। ...

উত্তর :- যাকাত ও কোরবানি দু’টি ভিন্ন ভিন্ন ইবাদত। সামর্থবানদের উপর উভয়টাই ওয়াজিব। তাই কোনটা আদায় না করলে অন্যটা আদায় করা যাবে না বা আদায় করলে তা সহিহ হবে না- এমন নয়। তাই বর্ণিত ব্যক্তির উপর কোরবানি করা ওয়াজিব হলে কোরবানি করা উচিত। এবং তার কোরবানি ...

উত্তর :- জিলহজ মাসের ৯ তারিখ হতে ১৩ তারিখ পর্যন্ত মোট পাঁচ দিন ওমরা আদায় করা নিষেধ। এছাড়া বছরের বাকি যেকোন দিন ওমরা আদায় করা যেতে পারে। আদ দুররুল মুখতার - ২/৪৭৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া -  ১/৩১; হাশিয়ায়ে তাহতাভি- পৃ. ৭৪; মাজমাউল আনহার - ১/২৯; মাসায়েলে রা...

উত্তর :- সহজভাবে ঋণ পরিশোধের সুযোগ থাকলে ঋণ করে হজ বা ওমরা আদায় করার অনুমতি আছে।   আদ দুররুল মুখতার - ২/৪৬২; রদ্দুল মুহতার - ২/৪৬২; আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল - ৫/২৯৭;...

উত্তর:- ওমরা করা সুন্নাত। তাই তা নিয়ত করার দ্বারা ফরজ বা ওয়াজিব হয়ে যায় না। আর কোন সুন্নাত আদায় করার নিয়ত করে তা না করার দ্বারা কোন গুনাহ হবে না।   আদ দুররুল মুখতার - ২/৪৭২; ফাতাওয়া হিন্দিয়া - ১/৩০১; হাশিয়ায়ে ইবনে আবেদীন - ৩/৫৪৫; ফাতাওয়া ক...

উত্তর :- ওমরার রুকন দু’টি। এক.ইহরাম বাধা । দুই. তাওয়াফ করা। আর ওমরার শর্ত হলো- এক. সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মাঝখানে দোড়ানো। দুই হলক বা কসর করা।   আদ দুররুল মুখতার - ২/৪৭২; ফাতাওয়া কাজিখান - ১/১৮৩; হাশিয়ায়ে তাহতাভি- পৃ. ৭৪০ ।...

উত্তর :- কোন বিধান যদি পুরোপুুরি আদায় করা না যায় তাহলে তার স্থলাভিষিক্ত কিছু দিয়ে হলেও আমল করা জরুরী। হজ ও ওমরা থেকে হালাল হওয়ার ক্ষেত্রে চুল মুণ্ডানোই আসল নির্দেশ। কিন্তু চুল না থাকলে মাথার উপর ক্ষুর বা কাঁচি জাতীয় কোন কিছু ঘুরিয়ে নেয়া-ই যথেষ্ট। ...

উত্তর :- হলক হওযার পূর্বেই কাপড় পরিধান করার কারণে ওমরার কোন ক্ষতি হবে না। তবে সদকায়ে ফিতর পরিমাণ সদকা করা ওয়াজিব।   সুনানে তিরমিযি- ১/১৮২; আল লুবাব ফি শরহিল কিতাব - পৃ. ২০৬; আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল - ৫/৩২৬।...

উত্তর :- ইসলামি শরীয়তে যেকোন ব্যক্তির জন্য দান-সদকা ইত্যাদি ইবাদতের মাধ্যমে সওয়াব পৌছানো জায়েয আছে। চাই ব্যক্তি জীবিত হোক বা মৃত তাতে কোন অসুবিধা  নাই। সুস্থ ব্যক্তির পক্ষ থেকে অন্য ব্যক্তির ওমরা করা জায়েয আছে।   রদ্দুল মুহতার - ১/৫৯৫; ...

উত্তর :- গোটা সৌদি আরব হেরেমের বাহিরে নয়। আর ওমরার ইহরাম বেধে হেরেমের ভিতরে প্রবেশ করলে-ই ওমরা করা ওয়াজিব হয়। তাই কেবল চাকুরির জন্য সৌদি গেলে তার উপর ওমরার আবশ্যকতা বর্তাবে না।   ফাতাওয়া তাতার খানিয়া - ৩/৫৫৩; ফাতাওয়া  হাক্কানিয়া- ৪/২৭৯...

উত্তর: ওমরার যাবতীয় বিধি-বিধান হজের মতই। অর্থাৎ যেমনিভাবে মৃত ব্যক্তির নামে হজ আদায় করা যায়, তেমনি ভাবে ওমরাও আদায় করা যায়।সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে ওমরা পালনের নিয়ত করলে তার পক্ষ...