Category: কুরবানী

উত্তর:-শরয়ী দৃষ্টিতে কুরবানীর উদ্দেশ্যে ক্রয়কৃত পশুর দ্বারা কুরবানী করা উচিৎ। দাম কম-বেশির কথা বিবেচনা করে  পরিবর্তন  করে বিক্রি করা বৈধ হলেও অনুচিৎ। যদি কেউ এমন  করে এবং পরে পশুর মূল্য পূ্র্বের পশুর চেয়ে দাম কম হয়, তাহলে যেই পরিমাণ টাকা হবে,...

উত্তর:- শরীয়াতের বিধান মোতাবেক কুরবানী পশু জবাই ঈদের নামাযের পর হওয়া জরুরী। যদি কেই নামাযের  পূর্বেই কুরবানী করে, তাহলে তার কুরবানী সহীহ হবে না। তবে  কোন কারণে যদি নামায নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে নামায পূনরায় পড়তে হলেও  কুরবানী পুনরায় আরেকটি করতে হ...

উত্তর :- হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী কুরবানির গোশত তিনদিনের বেশী জমা করে রাখা জায়েয। তাই প্রশ্নোক্ত সুরতে আপনার এলাকার উক্ত হুজুরের কথাটি সঠিক নায়। বরং সঠিক মাসআলা হল, কুরবানির গোশত যতদিন  ইচ্ছা জমা করে রাখা যাবে।   সহিহ বুখারী - ২/৮৩৫; ফাতাও...

উত্তর :-  শরয়ী নিয়মানুযায়ী গরু মহিষ ও ‍উট জাতিয় পশুতে সর্বোচ্চ সাতজন শরীক হতে পারে। তবে শর্ত হলো কারো অংশ এক সপ্তমাংশের কম না হওয়া। যদি কারো অংশ এক সপ্তমাংশের কম না হওয়া। যদি কারো অংশ একসপ্তমাংশের কম হয় তাহলে কারো কোরবানি সহিহ হবে না। সুনানে তিরমি...

উত্তর:- শরয়ী মূলনীতি হলো, কুরবানি আবশ্যক হওয়ার জন্য নেসাব পরিমাণ মালের মালিক হতে হবে। আর এ নেসাব নির্ধারনের ক্ষেত্রে নিত্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত বস্তু ও তার মূল্য ধর্তব্য হবে। আর নিত্য প্রয়োজনীয় বস্তু বা তার ফসল যত দাম-ই হোক না কেন তা ধর্তব্য হবে না। ...

উত্তর:- ইসলামি শরীয়তে কোরবানির পশুর বাচ্চা তার মায়ের হুকুমে। যদি বাচ্চা জীবিত বের হয় তাহলে তাকেও যবেহ করতে হবে। আর তার মায়ের গোশতের মত তার গোশতও হালাল । আর যদি বাচ্চা মৃত বের হয় তাহলে তাকে যথাযথ নিয়মে দাফন করবে।   তিরমিযি- ১/২৭৬; আদ দুররুল...

উত্তর :- পশু যবাইয়ের ক্ষেত্রে মূলনীতি হলো, যবাইকারী ও তার সাহায্যকারী উভয়ের জন্য বিসমিল্লাহ বলা জরুরী। ইচ্ছাকৃতভাবে বিসমিল্লাহ ছেড়ে দিলে যবেহকৃত পশু হারাম হয়ে যাবে। তবে এ হুকুমটা ঐ সাহায্যকারী যিনি ছুড়ি চালনার ক্ষেত্রে সহযোগীতা করছেন তার জন্য। তাই যি...

উত্তর :- শরীয়তের বিধান হল মোহর যদি নগদ পরিশোধের শর্তে  নির্ধারণ করা হয় এবং স্বামীও যথেষ্ট সম্পদশালী হয়। তাহলে নেসাব নির্ধারণের ক্ষেত্রে উক্ত টাকাও ধর্তব্য হবে। চাই স্বামী তা পরিশোধ করুক বা না করুক। আর যদি নগদ পরিশোধের শর্ত না হয় তাহলে নেসাব নির্ধারণ...

উত্তর :- শরীয়তের বিধানুযায়ী গরু মহিষের মধ্যে সাত শরীকে কুরবানি করা যায়। তবে উত্তম হলো পশু ক্রয়ের পূর্বেই শরিক নিশ্চিত করা। অথবা পশু ক্রয়ের সময় শরীক করার নিয়ত করা। পশু ক্রয়ের পরে শরীক করা জায়েয হলেও তা অনুত্তম। সুতরাং প্রশ্নোক্ত সুরতে ধনি ব্যক্তির ...

উত্তর :-  শরীয়তের মুলনীতি হলো যে, কুরবানি ওয়াজিব হওয়া না হওয়ার বিষয়টার ধর্তব্য হলো, কুরবানি করার শেষ সময়ের অবস্থা। অর্থাৎ, কুরবানির দিনসমূহের শেষ দিনের সর্বশেষ অবস্থায় যদি সে ধনী হয় তবে তার উপর কোরবানি আবশ্যক। না হয় আবশ্যক নয়। বিধায় প্রশ্নে বর্ণিত...

উত্তরঃ-কুরবানি সঠিক হওয়ার জন্য এমন ত্রুটিমুক্ত পশু দ্বারা কোরবানি করতে হয় যে ত্রুটিযুক্ত পশু দ্বারা কুরবানী করা বৈধ নয় । আর ফুকাহায়ে কিরাম হিজড়া পশুর গোস্ত সিদ্ধ না হওয়ার কারণে ত্রুটি হিসেবে গণ্য করেছেন যার দ্বারা ...

উত্তর:-নেসাবের মালিক নয় এমন ব্যক্তি কোরবানির দিনসমুহের পুর্বে কোরবানীর নিয়তে পশু ক্রয় করলে তার উপর কোরবানী হলেও তা নির্দিষ্ট হয় না। বরং পরিবর্তনের সুযোগ থাকে। কিন্তু যদি কোরবানির দিনসমুহের মধ্যে ক্রয় করে তাহলে তা নির্দিষ্ট হয়ে যায়েএক্ষেত্রে প...

উত্তর:-কোরবানী ওয়াজিব হওয়ার জন্য নেসাব সমপরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়া জরুরী। হারাম সম্পদে মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয় না। বিধায় এ সম্পদের কারণে কাউকে নেসাবের মালিক ধরা হবেনা।  সুতরাং প্রশ্নেবর্ণিত সুরতে এমন ব্যক্তি শুধুই হারাম টাক...

উত্তর: হ্যাঁ, মৃত ব্যক্তির ওয়ারিশগণ তার ঈসালে সওয়াবের নিয়তে কুরবানী করতে পারবে। এক্ষেত্রে সওয়াব মৃত ব্যক্তির হবে, আর গোস্তের মালিক হবে কুরবানী দাতা। সে নিজেও গোস্ত খেতে পারবে অন্যদেরকেও খাওয়াতে পারবে। তবে, ঐ কুরবানী যদি মৃ...

উত্তর: হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত সূরতে অন্য সকল শরীকের ওয়াজীব কুরবানী আদায় হবে। এক শরীকের আকিকার নিয়তের কারণে কোন অসুবিধা নেই। -বাদায়েউস সানায়ে‘-৪/২০৯, রদ্দুল মুহতার-৬/৩২৬, আল হিকহুল হানাফী ফী ছাওবিহিল জাদীদ-৫/২১৪....