Category: বিচার ব্যবস্থা

উত্তরঃ- নারীরা বিচারক হতে পারবে। তবে হদ ও কিসাস জাতীয় কোন বিচারে রায় দিতে পারবে না।   - আল বাহরুর রায়েকঃ- ৬/৪৩৭,  আল ফিকহুল হানাফী ফি সাওবিহিল জাদীদঃ- ৩/১৩১, আল ফিকহুল হানাফী ওয়া আদিল্লাতুহুঃ- ৩/১১,...

উত্তরঃ- কোনো ফরজ বিধান অস্বিকার করা কুফরী। আমল না করা ফাসেকী। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত ব্যাক্তির উক্তি “আমি আল্লাহর বিধান অনুযায়ী ফায়সালা করবো না” এর দুটি অর্থ হতে পারে। ১/ তা অস্বিকার করা। সে ক্ষেত্রে কাফের বলে গন্য হবে। ২/ স্বীকার করা সত্বেয় ...

উত্তরঃ- কোনো কাজ নিশ্চিত ও নির্ভুল হওয়ার জন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করা শরয়ীভাবে অনুমোদিত। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত আদালতের রায় রিভিউ করতে কোন সমস্যা নেই।   -তাকমিলাতু ফাতহুল মুলহিমঃ- ২/৩২৩, আদ দুররুল মুখতার বিহামিশি রদ্দিল মুহতারঃ- ৫/৪২৩,...

উত্তরঃ- কারো কোন মতামত বা রায় শরীয়তের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হলেই কেবল মানা যাবে, অন্যথায় মানা যাবে না। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত  বিচারকের যে সব জিনিস শরীয়া বিরোধী নয়; তা মানা যাবে, আর যেগুলো বিরোধী; তা মানা যাবে না।   -আল ফিকহুল ইসলামী ওয়া ...

উত্তরঃ- শরীয়ত বিরোধী কোন কাজ বা ‍পদক্ষেপ মেনে নেওয়ার সুযোগ নেই। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত কাজী সাহেব শরীয়ত বিরোধী ফায়সালা দিলে তা মানা জরুরী নয়।   -আল ফিকহুল হানাফী ওয়া আদিল্লাতুহুঃ- ৩/৯, রদ্দুল মুহতারঃ- ৫/৩৫৩,...

উত্তরঃ- শরয়ী দৃষ্টিতে কাজী সাহেব সাক্ষ্য গ্রহণ করতে হলে সমস্ত সাক্ষ্য প্রমান অস্পষ্ট ও সন্দেহ থেকে খালি হতে হবে। আর অডিও ও ভিডিও ফুটেজ যেহেতু অস্পষ্ট ও অন্যের সংমিশ্রণ ও সন্দেহ থেকে খালি নয়, তাই কাজী সাহেব ভিডিও ফুটেজের সাক্ষ্য গ্রহণ...

উত্তর:- শরয়ী নীতিমালা অনুযায়ী বিচার কাজ প্রভাবিত করে এমন কোন কিছু করা সাক্ষী বা বিচারকের জন্য বৈধ নয়। সুতরাং  হাদিয়া গ্রহণের দ্বারা যেহেতু বিচারক প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাই তা গ্রহণ করা বৈধ নয়। ...

উত্তরঃ- প্রজাতন্ত্রের সকল নিরাপত্তা ও আনুসাঙ্গিক দায়ভার সরকারের উপর। সুতরাং নিরাপত্তার খাতিরে মোবাইল ট্রেকিং করাকে অবৈধ বলা যায়না। তবে নিছক হয়রানী করার উদ্দেশ্যে হলে তা হারাম ও মারাত্মক অপরাথ বলে বিবেচিত হবে।   -তাফসীরে কা...

উত্তর:- যদি মামলা করে কোন অধিকার আদায় করার প্রয়োজন হয়, তাহলে উক্ত মামলা পরিচালনার দায়িত্ব বাদীর উপরই থাকবে, বিবাদীর উপর নয়। কেননা শরীয়াতের মূলনীতি হলো অধিকার যার খরচও তার। সুতরাং প্রশ্নেবর্ণিত সূরতে বাদী যেহেতু নিজের হক আদ...

উত্তর:-ইসলামী শরীয়ায় কোন অপরাধের শাস্তি বাস্তবায়নের অধিকার একমাত্র ইসলামী রাষ্ট্র কতৃক নিযুক্ত  বিচারক ও তার পক্ষ থেকে নিযুক্ত ব্যক্তিদের । ব্যক্তিগতভাবে আইন হাতে তুলে নিয়ে শাস্তি দেয়ার অনুমতি নেই। সুতরাং প্রশ্নেবর্ণিত সুরতে বিচারকের রায় ব্যতীত মহ...

উত্তর:- ইসলামি দৃষ্টিতে শরয়ী কোন বিষয়ে সাক্ষি দেয়ার জন্য আদালত যদি কাউকে তালাশ করে তাহলে সেক্ষেত্রে সাক্ষী দেয়ার জন্য টাকা নিতে পারবে না। আর শরয়ী সাক্ষী ব্যতিত অন্য কোন সাক্ষীর ক্ষেত্রে রাহ-খরচসহ সময় ব্যয় বাবদ বিনিময় নিতে পারবে। মুসনাদুস সিহাব - ১...

উত্তর :- যে সমস্ত  অপরাধের শাস্তি শরীয়ত কর্তৃক নির্ধারিত। তাতে বান্দার হস্তক্ষেপ করার কোন সুযোগ নাই। যদি করেও ফেলে তবে তার কোন  গ্রহণযোগ্যতা  নাই। তাই, বর্ণিত সুরতে অনৈসলামিক আদালত কর্তৃক খুনিকে যে শাস্তি দেয়া হয়েছে ইসলামি আদালতে তার কোন ভিত্তি বা...

উত্তর:- শরীয়া আইনে মৌলিক কিছু দিক বিবেচনা করে মৃত্যুদণ্ড জনিত মামলায় মহিলাদের সাক্ষী অগ্রহণযোগ্য করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে দুইজন মহিলাকে একজন পুরুষের সাক্ষীর সমমর্যাদা দেওয়া হয়েছে। সুতরাং প্রশ্নোক্ত সুরতে শুধুমাত্র মহিলার সাক্ষীর মাধ্যমে ...

উত্তর:- মুসলমানদের জীবন যাত্রা পরিচালনা ও তাদের মাঝে দ্বন্ধ বিবাদ সমাধানের জন্য কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী মুসলিম বিচারকের একান্ত প্রয়োজন। কারণ অনেক বিবাদ এমন রয়েছে যা ইসলামি ফায়সালা ছাড়া সমাধান দেওয়া সম্ভব নয়। বিধায়, মুসলমানদের জন্য ধর্মীয় বিষয়াবলীত...

‍উত্তর : - শরীয়তের বিধানুযায়ী ব্যভিচার সাব্যস্ত হওয়ার জন্য প্রত্যক্ষ দর্শী চারজন পুরুষ সাক্ষ্য দিতে হবে। তাই প্রশ্নোক্ত সুরতে একজনের দেখার দ্বারা যিনার দণ্ড প্রয়োগ করা যাবে না।   দুররুল মুখতার- ৪/৬/ ৬৩। আল বাহরুর রায়েক- ৫/৭। ফাতাওয়ায়ে ক...