উত্তর: একটি সদকা ফিতর একাধিক ব্যক্তিকেও দেওয়া জায়েয। তাই ১৫/২০ টাকা করে ফিতরা দেওয়া সহীহ। তবে একটি ফিতরা একাধিক ব্যক্তিকে দেওয়ার চেয়ে একজনকে দেওয়াই উত্তম। -বাদায়েউস সানায়ে ২/২০৮; রদ্দুল মুহতার ২/৩৬৭...
View Detailsউত্তর: হাদীসে বর্ণিত পাঁচটি বস্তুর মূল্য দ্বারা সদাকাতুল ফিতর আদায়ের বিষয়টি সাহাবা-তাবেয়ীদের বক্তব্য ও আমল দ্বারা প্রমাণিত। ইমাম বুখারী রাহ. সহীহ বুখারীতে بَابُ العَرْضِ فِي الزّكَاةِ অধ্যায়ে তা‘লীক হিসেবে বর্ণনা করেন যে, তাউস রহ. বলেন قَالَ...
View Detailsউত্তর হ্যাঁ, চাল বা অন্য খাদ্যশস্য দ্বারাও সদকায়ে ফিতর আদায় করা যাবে। সেক্ষেত্রে ১ কেজি ৬৩৫ গ্রাম গম অথবা ৩ কেজি ২৭০ গ্রাম খেজুর বা যবের মূল্যের সমপরিমাণ চাল দিতে হবে। -মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ১০৪৭২; কিতাবুল আছল ২/১৮০; আলমাবসূত, সারাখস...
View Detailsউত্তর: সদকা ফিতর এমন ব্যক্তিকে দেওয়া যাবে যে যাকাত গ্রহণ করতে পারে। প্রশ্নোক্ত ব্যক্তি যদি যাকাত গ্রহণের যোগ্য হয়ে থাকে তবে তাকে সদকা ফিতর দেওয়া ঠিক হয়েছে। আর ছদকায়ে ফিতর আদায়ের নিয়ম হল, একজন ব্যক্তির পক্ষ থেকে কমপক্ষে ১.৬৫ কেজি গম অথবা তার...
View Detailsউত্তর: সৌদি আরবে অবস্থানরত ঐ ব্যক্তির পক্ষ থেকে দেশে সদকায়ে ফিতর আদায় করতে চাইলে সৌদি আরবের হিসেবে সদকায়ে ফিতর আদায় করতে হবে। যেমন এ বছর সৌদি আরবে ন্যূনতম সদকায়ে ফিতরের মূল্য যদি হয়ে থাকে আট শত টাকা, তাহলে সৌদি প্রবাসীর পক্ষ থেকে এ দেশে সদকা...
View Detailsউত্তর: প্রাপ্তবয়স্ক বুঝমান সন্তানের সদাকাতুল ফিতর আদায় করা বাবার উপর ওয়াজিব নয়। তাই আপনার ঐ মেয়ের সদাকাতুল ফিতর আপনার আদায় করা জরুরি নয়। নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে সে নিজের সদাকাতুল ফিতর নিজেই আদায় করবে। অবশ্য আপনি যদি তার পক্ষ থেকে আদায় করে দ...
View Detailsউত্তর: নেসাবের মালিক নাবালেগ ছেলে-মেয়ের উপর সদকাতুল ফিতর তার সম্পদ থেকে আদায় করাই নিয়ম। তাই অভিভাবক বাচ্চার সম্পদ থেকে ফিতরা আদায় করে দিবে। তবে পিতা ইচ্ছা করলে নিজ সম্পদ থেকেও তা আদায় করে দিতে পারেন। -মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৩/৬...
View Detailsউত্তর: প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তির উপর সদকা-ফিতর ওয়াজিব নয়। কারণ তার কাছে এক লক্ষ টাকা মূল্যের জমি থাকলেও ঐ পরিমাণ ঋণও তার আছে। ঋণ আদায় করে দিলে তার নিকট ফিতরার নেসাব পরিমাণ সম্পদ অবশিষ্ট থাকছে না। তাই লোকটিকে ফিতরা আদায় করতে হবে না। -খু...
View Detailsউত্তর: না, স্বামী ও সন্তানদের সদকায়ে ফিতর আপনাকে আদায় করতে হবে না। স্বামীর উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হোক বা না হোক স্ত্রীর জন্য তা আদায় করা আবশ্যক নয়। আর পিতার উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হলে নাবালেগ সন্তানের ফিতরা পিতাকেই আদায় করতে হয়। সন্তানের...
View Detailsউত্তরঃ- শরয়ী নীতিমালার আলোকে মুহরিম ব্যাক্তির জন্য সুগন্ধি প্রাধান্য বস্তু ব্যাবহার নিষিদ্ধ। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সুগন্ধিযুক্ত জর্দ্দা যেহেতু সাধারণত সুগন্ধিই মুখ্য বা প্রাধান্য হয় না, তাই তা খাওয়া বৈধ। তবে সুগন্ধি থাকার কারণে মাকরুহ হবে। ইহরাম অ...
View Detailsউত্তরঃ- শরীয়তের মূলনীতি অনুযায়ী যাকাত আদায় হওয়ার জন্য আদায়কালীন নিয়ত থাকা এবং হকদারকে মালিক বানিয়ে দেয়া আবশ্যক। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে ঋন ক্ষমা করার দ্বারা যাকাত আদায় হবে না। তবে যদি যাকাতের টাকা তার হাতে দিয়ে তার থেকে ঋন পরিশোধ করে নেয় তাহল...
View Detailsউত্তরঃ- যাকাত আদায়ের ক্ষেত্রে শরীয়তের মূলনীতি হলো যাকাত প্রদানের মাধ্যমে নির্দৃষ্ট কাউকে পূর্ণ মালিক বানিয়ে দেওয়া। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত রাস্তা নির্মানে যাকতের টাকা ব্যায় করা যাবে না। যেহেতু তাতে মালিকানা পাওয়া যায় না। -রদ্দুল মুহতারঃ...
View Detailsউত্তরঃ- শরীয়তের মূলনীতি হলো নেসাব পরিমান মালের মালিক হওয়ার দ্বারা যাকাত ওয়াজিব হয়। এবং বছরান্তে আদায় করতে হয়। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সূরতেও বছর শেষেই যাকাত আদায় করা আবশ্যক। চাইলে আগেও আদায় করতে পারবে। -ফাতাওয়ায়ে কাযীখানঃ-১/১৬২, আল ফিকহ...
View Detailsউত্তরঃ- শরীয়তের মূলনীতির আলোকে ঋন দুই প্রকার। এক, ব্যাবসায়ীক ঋন। দুই, স্বাভাবিক ঋন। স্বাভাবিক ঋন যাকাত থেকে বাদ যাবে। তবে ব্যাবসায়ীক ঋন বাদ দেয়ার ক্ষেত্রে মূলনীতি হচ্ছে যদি ঋনের টাকা দিয়ে কোম্পানি যাকাত অযোগ্য জিনিস ক্রয় করে, তাহলে তাতে যাকাত ওয়াজ...
View Detailsউত্তরঃ- ঋন হিসেবে প্রদত্ত্ব টাকা ঋন দাতার মালিকানায়ই থাকে। এ টাকা প্রাপ্তির পূর্ণ নিশ্চয়তা থাকলে যাকাত ঋন দাতার উপর বর্তাবে। ঋনগ্রহিতার উপর নয়। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সুরতে যদি ঋন নেসাব পরিমান হয় এবং অন্যান্য সকল শর্ত বিদ্যমান থাকে তাহলে উক্ত ঋনের ...
View Details