Category: সুদ

উত্তর: সরকারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বাধ্যতামূলকভাবে চাকরিজীবীর বেতনের যে অংশ প্রভিডেন্ট ফান্ডে কেটে রাখা হয় তার উপর সুদের নামে অতিরিক্ত যা দেওয়া হয় তা চাকরিজীবীর জন্য গ্রহণ করা জায়েয আছে। এটাকে সুদ বলা হলেও শরীয়তের দৃষ্টিতে তা সুদ ন...

উত্তর প্রশ্নোক্ত অবস্থায় সমিতির সাথে গাড়ি ঠিক করানোর ব্যাপারে মুরাবাহা চুক্তি করা সহীহ হয়নি। কেননা এটা মূলত শ্রমনির্ভর কাজ। এধরনের কাজে মুরাবাহা হয় না। সুতরাং প্রশ্নোক্ত লেনদেনকে মুরাবাহা নাম দেওয়া হলেও তা এক প্রকারের সুদি চুক্তির অন্তর্ভুক্ত হয়ে ...

উত্তরঃ- কোনো অর্থ হালাল বা হারাম হওয়া নির্ভর করে আয়ের উৎস ও পদ্ধতীর উপর। উপার্জনের উৎস ও পদ্ধতী যদি হালাল হয় তাহলে হালাল, অন্যথায় হারাম।   -সুতুরাং প্রশ্নে বর্ণিত ব্যাংক যদি গ্রাহকের টাকায় শরীয়া সম্মতভাবে ব্যাবসা-বানিজ্য করে এবং তার মুনাফা...

উত্তরঃ- সুদের টাকা হুবহু সুদ দাতাকে ফিরিয়ে দেয়া আবশ্যক। তা অন্যত্র ব্যাবহারের অনুমতি নেই। সুতরাং সুদের টাকা দিয়ে ব্যাবসা বানিজ্য করা জায়েয নেই। তবে কেউ করে ফেললে ব্যাবসার লভ্যাংশ তার জন্য হালাল হবে।   -ফাতহুল ক্বদীরঃ-৬/৪৩২, রদ্দুল মুহতা...

উত্তরঃ- শতকরা আনুপাতিক হার নির্ধারণ পূর্বক শরীকি তথা যৌথ ব্যাবসা বৈধ । সুনিদৃষ্ট টাকা উল্লেখ নিষেধ। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে ৪০০ টাকা নির্ধারণ করায় এ চুক্তি গ্রহনযোগ্য না।   -আল ফিকহুল হানাফী ফি সাওবিহিল জাদীদঃ- ৫/৭১, আদ দুররুল মু...

উত্তরঃ- সুদীক্ষেত্রে ভালো খারাপের তারতম্য বিবেচ্য নয়। বরং সর্বাবস্থায় তা সমান সমান লেনদেন করা আবশ্যক। সুতরাং সিলভারের বিপরিতে সিলভার সুদী বস্তুর অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় প্রশ্নে বর্ণিত ক্রয়-বিক্রয় সহীহ হবে না। তবে এক্ষেত্রে বৈধ পন্থায় ক্রয় বিক্রয়ের পদ্ধত...

উত্তরঃ- শরয়ী দৃষ্টিতে সুদী লেনদেন সম্পূর্ণ হারাম। সুতরাং ট্যাক্স থেকে বাচার জন্য সুদী লেনদেন করা বৈধ হবেনা।   -রদ্দুল মুহতারঃ-৫/১৬৬, আল আশবাহু ওয়ান নাজায়েরঃ-২৬৮, জাদীদ ফিকহী মাসায়েলঃ- ৪/৫৪-৫৬,...

উত্তরঃ- মুদারাবার মধ্যে জোগানদাতার এবং শ্রমদাতার চুক্তি সাপেক্ষে লভ্যাংশের বন্টন করা বৈধ। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সুরতে মূল টাকা বা পুঁজি ছাড়া লভ্যাংশের অর্ধেক অর্ধেক ভাগ-বন্টন করা বৈধ।   -আল হিদায়াহঃ-৩/২৫৭, আস সুনানুল কু...

উত্তরঃ- শরয়ী দৃষ্টিতে প্রত্যেক এমন ঋন যা মুনাফাকে চায় তাই সুদ । অর্থাৎ মূল টাকা বাকি রেখে তা থেকে মুনাফা লাভ করাটা হলো সুদ সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত ইটের ভাটায় দুই লক্ষ টাকা এই শর্তে দেওয়া যে তাকে প্রতি গাড়িতে ‍দুই লক্ষ টাকা লাভসহ এক...

উত্তরঃ- শরয়ী দৃষ্টিতে সুদ ও ঘুষ হারাম। প্রশ্নে বর্ণিত প্রাইজ বন্ডে এই উভয়টা পাওয়া যায় বিধায় তা ক্রয়-বিক্রয় করা হারাম।   -আল কুরআনুল কারীম; সুরা মায়িদাহঃ-৯০, রদ্দুল মুহতারঃ- ৫/১৬৬, ফাতাওয়ায়ে উসমানীঃ- ৩/১৭৩,...

উত্তরঃ-  শরয়ী দৃষ্টিতে ব্যাবসা হালাল, সুদ হারাম। সুতরাং ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন অর্থায়ন প্রতিষ্ঠান যদি শরিয়াহ নিয়ম মেনে ব্যাবসা করে, এবং অর্জিত টাকা শরিয়াহ সম্মত পন্থায় বন্টন করে তাহলে তাদের এ টাকা ভোগ করা বৈধ। অন্যথায় নয়। &nbs...

উত্তর: কুরআন ও হাদীসের আলোকে সুদ হারাম। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে কাফেরদের কাছ থেকে সুদ নেয়া জায়েয হবে না।   রদ্দুল মুহতার ৫-১৮৬, আদ্দুররুল মুখতার ৫-১৮৬, ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া ৩-১১৮, ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া ৬-২১০...

উত্তর: শরীয়তের দৃষ্টিতে মুনাফার শর্তে ঋণ আদান-প্রদান করা হারাম। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে যে অতিরিক্ত টাকা পাঠানো হয় তা ঋণ গ্রহিতার টাকা পৌছানোর খরচ হিসাবে পাঠানো হয়। এবং তা বিকাশ কোম্পানী কেটে নিয়ে যায়। আর ঋণদাতা তার মূল টাকাই পেয়ে থাকে। তাই উক...

উত্তর :- ঋণের বিপরীতে শর্ত করে অতিরিক্ত দেয়া-নেয়া সুদের অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় তার হারাম। আর শর্তমুক্তভাবে হাদিয়া দেয়া-নেয়া বৈধ। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সুরতে লোন দাতাকে প্রদত্ত ডিসকাউন্ট পূর্ব শর্তযুক্ত ও ঋণের সাথে সম্পৃক্ত না হলে বৈধ। অন্যথায় হারাম। &n...

উত্তর:- শরয়ী বিধানানুযায়ী সুদ দেয়া-নেয়া উভয়টাই হারাম। তবে অতি অপারগতা থাকলে জরুরত পরিমাণ নেয়া যাবে। আর ১০ লক্ষ টাকা এত অধিক পরিমাণ যার উপর কোন মানুষের জীবন বা জীবিকা নির্ভর থাকে না। তাই এত অধিক পরিমাণ টাকা সুদভিত্তিক ঋণ নেয়া নিসন্দেহে হারাম। &n...