Category: হজ্ব

উত্তর :- নাবালেগের উপর হজ ফরয নয়। যদি করে তাহলে তা নফল বলে গণ্য হবে। আর বালেগ হওয়ার পর নেসাব পরিমাণ মালৈর মালিক হলে তার উপর হজ ফরয হয়। আর কোন নফল ইবাদত ফরয ইবাদতের সমান বা স্থলাভিষিক্ত হতে পারবে না। তাই উক্ত নাবালেগ ছেলে বালেগ হওয়ার পর তার উপর হজ ...

উত্তর :- বদলী হজ আদায়কারী ব্যক্তি মূল মালিকের পক্ষ থেকে নিযুক্ত উকিল সাব্যস্ত হয়ে থাকেন। আর উকিলের যাবতীয় ভূমিকা মালিকের পক্ষ থেকেই বিবেচনা করা হয়। তাই বদলী হজের উকিল নিযুক্ত  হওয়ার পর অন্যের পক্ষ থেকে হজ আদায় না করে নিজের পক্ষ থেকে হজ আদায় করে নে...

উত্তর :- প্রসিদ্ধ  মতানুযায়ী হজ বা ওমরার পর মদীনা যিয়ারত করা মুস্তাহাব। আবু দাউদ - হা. ৬৫; আল ফিকহুল ইসলামি - ৩/৩৫৮; আদ দুররুল মুখতার - ১/১৮৪; মাজমাউল আনহার - ১/৪৬৩; আপকে মাসায়েল আওর ‍উনকা হল - ৫/৩৯১।...

উত্তর :- ইবাদতের বাহিরে করা কোন ভুল বা অন্যায় ইবাদত শুদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে কোন প্রতিবন্ধক নয়।  তাই হজের বাইরে যদি কোন ভুল বা অপরাধ করে তাতে হজের আমলে  কোন ক্ষতি  হবে না।   সুরা আলে ইমরান - ৯৭; সুনানে তিরমিযি -১/১৬৮; রদ্দুল মুহতার - ২/৫৪৮; হা...

উত্তর :- হজ ফরয হওয়ার অন্যতম শর্ত হলো হজে যাওয়ার সামর্থ্য থাকা। হজ ফরয হওয়ার জন্য ঋণমুক্ত হওয়া জরুরী নয়। তাই উপরোল্লিখিত ব্যক্তি ঋণী হওয়া সত্তেও হজ আদায় করলে তার হজ আদায় সহিহ হবে।   সুরা আলে ইমরান - ৯৭; সুনানে তিরমিযি - ১/১৬৮; হাশিয়াতুত তা...

উত্তর :- হজ একবারই  ওয়াজিব হয়। তাই প্রথম বার যখন সে হজ করেছে তখন  যদি বাবা তাকে হজ আদায় করার সময় দেয়া টাকাগুলোর মালিক বানিয়ে দিয়ে থাকে তাহরে পরবর্তীতে তাকে আর হজ আদায় করা লাগবে না। আর যদি মালিক বানিয়ে দিয়ে না থাকে তাহলে পরবর্তীতে তাকে আবার হজ আদায় কর...

উত্তর:-হজ কবুল হওয়ার জন্য অন্যতম শর্ত হল,মাল হালার হওয়া । হারাম মাল দ্বারা কৃত হজ কবুল হয় না। সওয়াব ও পাবে না। তবে হজের ফরজিয়ত আদায় হয়ে যাবে।  সুতরাং প্রশ্নেবর্নিত ব্যক্তির দায়িত্ব থেকে হজের ফরজিয়ত রহিত হয়ে যাবে। কিন্তু আল...

উত্তর:-হজে আকবার কোন দিনকে বলা হয় এ ব্যাপারে মুফাসসিরীনে কেরাম ও ফুকাহায়ে কেরাম থেকে বিভিন্ন রকমের অভিমত পাওয়া যায়। তবে প্রসিদ্ধতম অভিমত হল,হজে আকবার হল হজের দিনটি জুমার দিন হওয়া।  কেউ কেউ নহরের দিনকে আবার কেউ কেউ মীনার দি...

উত্তর:-হজ ও ওমরা উভয়টা স্বতন্ত্র ইবাদত। হজ ফরজ, ওমরা সুন্নত। একটা অপরটার পক্ষ থেকে যথেষ্ট হবে না।  সুতরাং প্রশ্নেবর্নিত সাদ সাহেব আলাদাভাবে হজ করতে হবে। ওমরা করার দ্বারা হজের ফরজিয়ত আদায় হবে না।  - সুরা আলে ইম...

উত্তর:- টাকা আদায়ের সুযোগ থাকলে হাওলাত করে হজ করা নিষিদ্ধ নয়। সুতরাং আপনি হাওলাত করে হজে যেতে পারেন। তাতে কোন অসুবিধা নাই। -আদ্দুররুল মুখতার ২/৪৬২, ফাতওয়ায়ে শামী ২/৫২৯,মাসায়েলে রফয়ত কাসেমী ৫/৪৪...

উত্তর:- যে কোন ইবাদতের সওয়াব যেকোন ব্যক্তির নামে পৌছানো যায়। তাই ওমরা বা তাওয়াফের সওয়াব কারো নামে পৌছাতে কোন সমস্যা নাই।   রদ্দুল মুহতার - ২/৫৯৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া -১/৩৩১; ফাতাওয়া হাক্কানিয়া -৪/২১১; কিতাবুল ফাতাওয়া - ৪/২৫৬।...

উত্তর :- ইহরাম অবস্থায়  সেলাই করা কাপড় পরা নিষেধ। তাই যদি কোন মুহরিম পুরা একদিন সেলাই করা কাপড় পরে তাহলে তাকে দম দিতে হবে। আর যদি এর থেকে কম সময় পরে তাহলে তাকে সদকা দিতে হবে।   আল হিদায়া - ১/২৬৭; আদ দুররুল মুখতার - ২/৫৪৭; আল বাহরুর রায়েক -...

উত্তর :- ইসলামি শরীয়াতে মোহরানা স্ত্রীর বৈধ ও স্বীকৃত হক। যা আদায় করা স্বামীর উপর ওয়াজিব। এবং মোহরের বকেয়া টাকা স্বামীর উপর ঋণ হিসেবে থাকে। তাই স্বামীর  জন্য উচিত হলো, হজে যাওয়ার পূর্বে অন্যান্য ঋণের মত স্ত্রীর মোহরানা পরিশোধ করে দেয়া। তবে এ মোহরা...

উত্তর :- সুস্থ ব্যক্তির জন্য হজ ফরয হওয়ার সাথে সাথেই হজ আদায় করা জরুরী। বিলম্ব করা উচিত নয়। মেয়ের বিবাহ বা এজাতীয় কোন কারণে হজ পিছিয়ে দেয়ার উচিত নয়। তাই সে আগে হজ করবে। পরে মেয়ের বিয়ে দিবে।   সুরা আলে ইমরান - ৯৭; সুনানে তিরমিযি - ১/১৬৭;...

উত্তর:- হজ্ব হালাল মাল দ্বারা করাই আবশ্যক, হারাম মাল দ্বারা করলে দায় মুক্ত হলেও হজ্ব কবুল হওয়ার সওয়াব পাওয়া যায় না। সুতরাং প্রশ্নেবর্ণিত মাহতাব সাহেবের হজের ফরযিয়্যাত আদায় হলেও কবুল হজের সওয়াব প্রাপ্ত হবে না। -ফাতাওয়া শামী...