নাস্তিক-মুক্তমনা লেখক ‘S.P.’ এর ইসলামবিদ্বেষী পোস্টের জবাব (দ্বিতীয় পর্ব)
.
গল্প বলা স্টাইলে নাস্তিকতা(আসলে ইসলা্মবিদ্বেষ) প্রচার করে যিনি ইতিমধ্যেই নাস্তিকমহলে ব্যাপক বাহবা কুড়িয়েছেন।অনেকেই ওনার একাউন্টে গিয়ে নিজের অজান্তেই তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করতে পারেন বিধায় তার সম্পূর্ণ নাম উল্লেখ না করে শুধু নামের অদ্যাক্ষর উল্লেখ করলাম।যারা আগেই তার পোস্ট পড়েছেন, তারা এমনিতেই চিনতে পারবেন।
.
[এই সিরিজের প্রথম পর্ব পড়ুন এখানে #সত্যকথন_৯৯ ]
.
S.P. লিখেছে –
// আরেকটা কথা, বার বার যে বলছ মক্কাতে মুসলমানদের অত্যাচার করা হতো- তা আসলে কতটা সত্য আর অতিরঞ্জিত? ইসলাম ঘোষণার প্রথম তের বছর আরবের পৌত্তলিকরা কি চাইলেই মুহাম্মদকে হত্যা করতে পারত না? তার তো তখন সেনা বাহিনী নেই যে পাহারা দিয়ে রাখবে। তাহলে কেন হত্যা করেনি?
কারণ মুহাম্মদ হাশিমি বংশের ছেলে ছিল। তাকে হত্যা করার মনোভাব অনেকেই করত পৌত্তলিক ধর্মকে বিকৃত করার অভিযোগ কিন্তু সেটা বাস্তবায়ন করতে পারত না কারণ তাতে বনু হাশিম বংশ তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ত। যতই মুহাম্মদ বাপ-দাদার ধর্মকে বিকৃত করুক, তার উপর হামলা হলে রক্তঋণ হাশিমিরা উশুল করে ছাড়ত। এর প্রমাণ পাবে সিরাত ইবনে হিশাম পাঠ করলে।। … … এবার বলো তো, মক্কা ১৩ বছর আরব পৌত্তলিকদের হাতে কয়জন মুসলমান খুন হয়েছিলো? একজনও না! আর যুদ্ধ হাঙ্গামা কারা বাধিয়েছিল? কারা মক্কার বাণিজ্য কাফেলায় হামলা চালিয়ে লুট করেছিল? কারা মুক্তিপণ আদায় করত? //
.
আবার মিথ্যার বেসাতি।
আসলে এই মিথ্যাচার খণ্ডণ করা এতই সহজ যে এর জন্য কোন সীরাহবিদ হবার প্রয়োজন নেই।
.
আচ্ছা, প্রাথমিক যুগে যে মুসলিমরা মক্কা ছেড়ে আবিসিনিয়াতে (বর্তমান আফ্রিকা মহাদেশের ইথিওপিয়া) হিজরত করেছিল, এটা তো সবাই জানে। যে কোন সিরাত বইতে অথবা ইতিহাসের বইতে এটা পাওয়া যাবে। S.P. নামের অদ্যাক্ষরের আমাদের আলোচ্য ইসলামবিদ্বেষী লেখকের কথা অনুযায়ী মুসলিমদের উপর অত্যাচারের কাহিনী যদি আসলেই অতিরঞ্জিত হয়ে থাকে, তাহলে মুসলিমরা আবিসিনিয়া গিয়েছিল কেন? কোন মানুষ কি সাধে তার জন্মভূমি ছেড়ে আরেক দেশে গিয়ে বসতি গাড়ে? যদি তার উপর অত্যাচার না হয়ে থাকে বা তার জীবনের উপর হুমকি না আসে? ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বাংলাদেশের অনেক মানুষ কেন ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল?
.
ইসলাম গ্রহণ করার ‘অপরাধে’ প্রাথমিক যুগে অনেক সাহাবীকেই কুরাইশরা হত্যা করেছিল, অনেকের উপর অবর্ণণীয় নির্যাতন চালিয়েছিল। ইসলামের প্রথম শহীদ হচ্ছেন একজন নারী সাহাবী সুমাইয়া (রা), পাষণ্ড কুরাইশরা তাঁকে বর্শা দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে। ইয়াসির বিন আমির (রা) কে মরুভূমিতে নির্যাতন করতে করতে মেরে ফেলে। বিলাল (রা) এর বুকের উপর পাথর চাপা দিয়ে উত্তপ মরুভূমিতে শুইয়ে রাখে, খাবার ও পানি না দিয়ে কষ্ট দেয়। আম্মার (রা) কেও কখনো বুকে পাথর চাপা দিয়ে মরুভূমিতে শুইয়ে রেখে আবার কখনো পানিতে চুবিয়ে শাস্তি দিতে থাকে। আবু ফুকাইহাহ (রা) এর জামা কাপড় খুলে লোহার শেকল দিয়ে বেঁধে মুরুভূমির গরম ও কঙ্করে ভরা প্রান্তর দিয়ে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে কষ্ট দেয়া হত, এরপর পিঠের উপর পাথর চাপা দিয়ে শুইয়ে রাখতো। খাব্বাব (রা) কে উত্তপ্ত শলাকা দিয়ে পিঠ ও মাথায় ছ্যাকা দেয়া হত, গ্রীবা মুচড়ে মুচড়ে কষ্ট দেয়া হত।এরপরেও ইসলাম ত্যাগ না করায় তাঁকে জ্বলন্ত অঙ্গারের উপর শুইয়ে পাথর দিয়ে চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। তাঁর পিঠ পুড়ে ধবল-কুষ্ঠ রোগীর মত সাদা হয়ে গিয়েছিল কিন্তু ইসলাম ত্যাগ করেননি। রোমান কৃতদাসী যিন্নিরাহ(রা) ইসলাম গ্রহণ করায় তাঁর মনিব আঘাত করে তাঁর চোখ নষ্ট করে দেয়। আমির বিন ফুরায়রা (রা) কে এমন নির্যাতন করা হয় যে তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। উসমান বিন আফফান (রা) কে খেজুর পাতার চাটাইয়ের মধ্যে জড়িয়ে নিচ থেকে আগুন জ্বালিয়ে ধোঁয়া দিয়ে কষ্ট দেয়া হত। এরকম আরো বহু অত্যাচার নির্যাতনের বিবরণ দেয়া যাবে। ইতিহাসের বইগুলো এমন বিবরণে ভরা। [১]
.
অথচ নাস্তিক-মুক্তমনাদের অসামান্য ‘মানবিকতা’(!) বোধের কাছে এগুলো কিছু না।ইসলামবিদ্বেষই আসল কথা। হাশিমি বংশের বলে মুহাম্মাদ ﷺ কে কুরাইশরা কখনো হত্যা করার চেষ্টা করেনি বলতে গিয়ে আমাদের আলোচ্য নাস্তিক মহাশয় যে মিথ্যাচারটি করলেন, তার খণ্ডণে ইবন হিশামসহ বিভিন্ন উৎস থেকে কিছু ঘটনা উল্লেখ করছি –
.
■ ঘটনা ১: “একবার আবু জাহল বলল, হে কুরাইশ ভাইয়েরা! তোমরা লক্ষ্য করেছ কি, মুহাম্মাদ আমাদের ধর্মের সমালোচনা ও উপাস্যদের নিন্দা থেকে বিরত হচ্ছে না? আমাদের পিতা ও পিতামহকে সারাক্ষণ গালমন্দ করেই চলেছে (নির্জলা মিথ্যা। নবী ﷺ কাউকে গালি দিতেন না)। এ কারণে আমি আল্লাহর নামে প্রতিজ্ঞা করেছি যে, আমি একটি ভারী পাথর নিয়ে বসে থাকব, মুহাম্মাদ যখন সিজদায় যাবে, তখন সে পাথর দিয়ে তাঁর মাথা চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিব। এরপর যে কোন পরিস্থিতির জন্য আমি প্রস্ত্তত। ইচ্ছে হলে তোমরা আমাকে বান্ধবহীন অবস্থায় রাখবে, ইচ্ছে হ’লে আমার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে। এরপর আবদে মানাফ আমার সাথে যেরূপ ইচ্ছে ব্যবহার করবে এতে আমার কোন পরোয়া নেই। …. [২]
.
■ ঘটনা ২: আব্দুল্লাহ ইবন মাস‘ঊদ (রা) বলেন, একদিন রাসূল ﷺ বায়তুল্লাহর পাশে সলাত আদায় করছিলেন। আবু জাহল ও তার সাথীরা অদূরে বসেছিল। কিছুক্ষণ পর তার নির্দেশে ভুঁড়ি এনে সিজদারত রাসূলের ﷺ দুই কাঁধের মাঝখানে চাপিয়ে দিল, যাতে ঐ বিরাট ভুঁড়ির চাপে ও দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান।
.
ইবনু মাস‘ঊদ (রা) বলেন, আমি সব দেখছিলাম। কিন্তু এই অবস্থায় আমার কিছুই করার ক্ষমতা ছিল না। অন্যদিকে শত্রুরা দানবীয় উল্লাসে ফেটে পড়ছিল। এই সময় কিভাবে এই দুঃসংবাদ ফাতিমার (রা) কানে পৌঁছল। তিনি দৌঁড়ে এসে ভুঁড়িটি সরিয়ে দিয়ে পিতাকে (মুহাম্মাদ ﷺ) কষ্টকর অবস্থা থেকে রক্ষা করেন। … [৩]
.
■ ঘটনা ৩: আনাস (রা) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, একদিন মক্কার মুশরিকরা রাসুলুল্লাহকে ﷺ এমন নির্মমভাবে মারধর করল যে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়লেন। এ সময় আবু বকর(রা) দ্রুত সেখানে এসে পৌঁছালেন এবং মুশরিকদের উদ্যেশ্য করে বললেন,
“ওরে হতভাগার দল! তোমরা কি একজন ব্যক্তিকে শুধু এ কারণে হত্যা করতে চাও যে তিনি বলেন আমার প্রভু হলেন আল্লাহ।”
লোকেরা পেছনে ফিরে বলল, “এ কে?”
তাদের মধ্য থেকে একজন জবাব দিল, “এ হল আবু কুহাফার পাগল ছেলে (আবু বকর রা.)।” [৪]
.
■ ঘটনা ৪: উরওয়াহ ইবন যুবাইর (রা) বলেন, একদিন আমি আবদুল্লাহ ইবন আমরকে (রা) জিজ্ঞেস করলাম, মুশরিকরা রাসুলুল্লাহ ﷺ এর সাথে কী ধরণের কঠোর আচরণ করেছে?
তিনি জবাব দিলেন, “একদিন আমি দেখলাম রাসুলুল্লাহ ﷺ কাবা শরীফে নামাজ পড়ছিলেন। এমন সময় উকবা বিন আবু মুআইত সেখানে এসে নিজের চাদর দিয়ে রাসুলুল্লাহ ﷺ এর গলা এমনভাবে পেঁচিয়ে ধরল যে তাঁর শ্বাস রুদ্ধ হওয়ার উপক্রম হল। তৎক্ষণাৎ আবু বকর (রা) সেখানে গিয়ে উকবাকে কাঁধে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলেন এবং বললেন,
“তোমরা কি একজন ব্যক্তিকে শুধু এ কারণে হত্যা করতে চাও যে তিনি বলেন আমার প্রভু হলেন আল্লাহ। অথচ তিনি তোমাদের কাছে তোমাদের প্রভুর নিকট থেকে সুস্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে এসেছেন।” [৫]
.
সব থেকে বড় কথা, কুরাইশরা যদি হত্যা নাই করতে চাইত – তাহলে রাসুলুল্লাহ ﷺ মদীনায় হিজরত করলেন কেন? হিজরতের রাতে কুরাইশরা তাঁর বাড়ি ঘেরাও করেছিল কেন? [৬]
এ ঘটনা দিয়েই তো নাস্তিক মহোদয়ের অপযুক্তি খণ্ডণ হয়ে যায়।
.
সে আরও লিখেছে –
// আরেকটা দিক দেখো, মদিনায় জীবন হাতে নিয়ে হিযরত করার যে কথা বলা হয় সেটাকে সত্য ধরে নিলে আমাদের বিশ্বাস করতে হয় মক্কা দখল করার পরই বুঝি প্রফেট মক্কায় প্রবেশ করেছিলেন। কিন্তু আমরা দেখি তিনি তার আগেই হজ করতে মক্কায় তার দলবল নিয়ে হাজির হোন এবং তার নিজস্ব নিয়মে হজ পালন করেন। এমনকি তিনি আবু বকর আর আলীকে পাঠিয়ে হজ মৌসুমে প্রচার করতে বলেন যে, আগামী বছর পর থেকে মুশরিকদের তিনি এই স্থান থেকে চিরতরে বিতাড়িত করবেন। //
.
সে আসলে কিসের ভিত্তিতে কোন কিছু সত্য বা মিথ্যা বিবেচনা করে সেটাই একটা প্রশ্ন। যা হোক, আমরা তাফসির ও সিরাহ মারফত জানতে পারি যে, রাসুলুল্লাহ ﷺ ও সাহাবীগণ সীমাহীন অত্যাচারের শিকার হয়ে মদীনায় হিজরত করার পর বছরের পর বছর তাদের জন্য কাবায় ইবাদত করার কোন সুযোগ ছিল না। ৬ষ্ঠ হিজরীতে রাসুলুল্লাহ ﷺ ও সাহাবীগণ (রা) উমরাহ পালনের জন্য মক্কার দিকে রওনা করেছিলেন। তাঁদের এ সফর ছিল একান্তই ইবাদতের জন্য ও শান্তিপূর্ণ। তাঁরা কুরবানী পশুর গায়ে চিহ্ন দিয়ে ও ইহরাম বেঁধে যাত্রা করেছিলেন যাতে সবাই নিশ্চিত থাকে যে এ সফর শুধুই ইবাদতের জন্য এবং শান্তিপূর্ণ। কিন্তু এরপরেও কুরাইশরা তাদের কাবায় যেতে দেয়নি। নবী ﷺ তাদের সঙ্গে শান্তির সনদ ‘হুদায়বিয়া সন্ধি’ করে সে বছর উমরাহ না করেই মদীনা ফিরে যান। [৭]
পরবর্তীতে ২ বছরের মধ্যে কুরাইশরা এ সন্ধি ভঙ্গ করলে ৮ম হিজরীতে রাসুলুল্লাহ ﷺ শান্তিপূর্ণ উপায়ে মক্কা জয় করেন। এর আগ পর্যন্ত হজ বা উমরাহ করার কোন সুযোগ মুসলিমদের ছিল না। মক্কা বিজয়ের আগে হজ করবার অ্লীক ইতিহাস বলে নাস্তিক মহোদয় এক অভিনব উপায়ে মিথ্যাচারের প্রয়াস পেয়েছেন।
.
নাস্তিক মহোদয় আবু বকর (রা) এর যে ঘটনা উল্লেখের চেষ্টা করেছেন তা মক্কা বিজয়ের পরের ঘটনা। সুরা বারাআতের (তাওবা) একেবারে প্রথম অংশ এই সময়ের প্রেক্ষিতে (অর্থাৎ মক্কা বিজয়ের পর) নাজিল হয়েছে। ৯ম হিজরীতে হজের মৌসুমে আবু বকর (রা) কে হজযাত্রীদলের নেতা করে পাঠান রাসুলুল্লাহ ﷺ। ১০ই যিলহজ আলী (রা) জনগণের উদ্যেশ্যে রাসুলুল্লাহ ﷺ এর নির্দেশমালা পড়ে শোনান। তার মধ্যে এটাও উল্লেখ ছিল যেঃ যে মুশরিকগণ মুসলিমগণের সঙ্গে ওয়াদা পালনে কোন প্রকারের ত্রুটি করেনি, কিংবা মুসলিমদের বিরুদ্ধে অন্য কাউকে সাহায্য প্রদান করেনি, তাদের অঙ্গীকারনামা নির্ধারিত সময় পর্যন্ত বলবত রাখা হবে।
এ ছাড়া আবু বকর (রা) একদল সাহাবায়ে কেরামের মাধ্যমে ঘোষণা প্রদান করেন যে – আগামীতে কোন মুশরিক কাবায় হজ করতে পারবে না এবং কেউ জাহিলিয়াতের যুগ থেকে চলে আসা অশ্লীল রীতি উলঙ্গ হয়ে কাবা তাওয়াফ করতে পারবে না। [৮]
.
এটা ঠিক যে– রাসুলুল্লাহ ﷺ মক্কা বিজয়ের পরে মুশরিকদের হজ করা নিষিদ্ধ হয়। কাবা মূলত ইব্রাহিম (আলাইহিস সালাম) এর নির্মিত এক-অদ্বিতীয় আল্লাহর উপাসনা গৃহ। মক্কা বিজয়ের পর ইব্রাহিমি হজের বিধি-বিধান পুনরুদ্ধার করা হয় এবং পৌত্তলিকদের নব উদ্ভাবনকে নিষিদ্ধ করা হয়। এ গৃহে মূর্তিপুজা ও অন্যান্য নব উদ্ভাবিত পৌত্তলিক রীতিতে হজ করার অর্থ হচ্ছে এই গৃহের পবিত্রতা নষ্ট করা। উলঙ্গ হয়ে তাওয়াফ করার মত অশ্লীল কাজ ইসলাম কখনো বরদাশত করেনি, করবেও না। এ রীতি ইব্রাহিম (আলাইহিস সালাম) কিংবা অন্য কোন নবীর রীতি নয়। কাজেই এই সকল শয়তানী রীতিকে সঙ্গত কারণেই ইসলাম নিষিদ্ধ করেছে। এ ছাড়া আমরা এটাও দেখছি যে, যেসকল মুশরিক মুসলিমদের সঙ্গে চুক্তি রক্ষা করেছে, মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাউকে সাহায্য করেনি, তাদের সাথে চুক্তি রক্ষা করবার নির্দেশও সেই হজ মৌসুমে জানানো হয়েছিল। কাজেই এ ইতিহাসকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে ইসলামকে ‘অশান্তিময়’ প্রমাণ করার এই চেষ্টাও একটি ব্যর্থ চেষ্টা ছাড়া কিছু নয়।
.
( চলবে, ইন শা আল্লাহ। আল্লাহু মুসতা’আন।)
======
লেখকঃ মুহাম্মাদ মুশফিকুর রহমান মিনার
#সত্যকথন
======
[১] ‘আর রাহিকুল মাখতুম’, শফিউর রহমান মুবারকপুরী(র), তাওহিদ প্রকাশনী, পৃষ্ঠা ১১৬-১২০
আরো দেখুনঃ
➥ http://islamiat101.blogspot.com/…/the-early-persecution-of-…
➥ http://www.musalla.org/ar…/Persecution_of_the_Muslims33.html
➥ http://www.islamreligion.com/…/172/muhammad-s-biography-pa…/
➥ https://en.wikipedia.org/…/Persecution_of_Muslims_by_Meccans
[২] সীরাতুন্নবী(স)-ইবন হিশাম, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৬৪
[৩] বুখারী ও মুসলিম, মিশকাত, হাদিস নং ৫৮৪৭
[৪] মুসতাদরাক হাকিম,(কিতাবু মাআরিফাতিস সাহাবা), হাদিস নং ৪৩৯৮; মুসনাদ আবু ইয়ালা, হাদিস নং ৩৫৯২
[৫] সহীহ বুখারী, (কিতাবুল মানাকিব), হদিস নং ৩৪০২, ৩৫৬৭; (কিতাবুত তাফসির), হাদিস নং ৪৪৪১
[৬] হিজরতের ঘটনা ও কুরাইশদের রাসুলুল্লাহকে ﷺ হত্যাচেষ্টার বিস্তারিত বিবরণের জন্য দেখুনঃ ‘আর রাহিকুল মাখতুম’, শফিউর রহমান মুবারকপুরী(র), তাওহিদ প্রকাশনী, পৃষ্ঠা ২০৬-২১০ দ্রষ্টব্য
[৭] বিস্তারিত দেখুনঃ ‘আর রাহিকুল মাখতুম’, শফিউর রহমান মুবারকপুরী(র), তাওহিদ প্রকাশনী, পৃষ্ঠা ৩৮৬-৩৯৪
[৮] বিস্তারিত দেখুনঃ ‘আর রাহিকুল মাখতুম’, শফিউর রহমান মুবারকপুরী(র), তাওহিদ প্রকাশনী, পৃষ্ঠা ৫০১
Leave Your Comments