প্রশ্নঃ- যায়েদ থেকে ওমর জমি ক্রয় করে। আর বকর থেকে যায়েদ জমি ক্রয় করে। তাই ওমর বকরকে বলে জায়েদের জমি জায়েদের কাছে থাক, তুমি যায়েদকে জমি না দিয়ে আমাকে দিয়ে দাও। তার প্রস্তাবে ওমর ও বকর ‍উভযে রাজি হয়। অতঃপর তারা এভাবেই ভোগ দখল করে চলতে থাকে। কিন্তু কেউ কাউকে দলীল করে দেয়নি। এমতাবস্থায় উমর ও বকরের মৃত্যুর পর বকরের ওয়ারিছগন উমরের ওয়ারিছদের জমি দিতে অস্বিকৃতি জানালে ওমরের ওয়ারিছগন যায়েদ থেকে জমি দাবি করে। তখন যায়েদ তাদের বলে জমিতো আগেই বদলা বদলী হয়ে গেছে। এখন আমি আমার জমি ‍দিবনা। তোমরা যার সাথে বদল করেছ তার কাছ থেকে নিয়ে নাও। এখন জানার বিষয় হলো শরিয়ত এর দৃষ্টিতে যায়েদ কি তার জমি দিতে বাধ্য থাকবে?

উত্তরঃ- শরয়ী নীতিমালা অনুযায়ী ইজাব-কবুল তথা প্রস্তাব ও গ্রহনের মাধ্যমে লেনদেন চুক্তি সম্পুর্ণ হয়। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সুরতে যেহেতু যায়েদ এবং ওমরের মধ্যকার চুক্তি উভয়ের সন্তুষ্টিতে প্রস্তাব ও গ্রহনের মাধ্যমে সম্পাদন হয়েছে, তাই লেনদেন চুক্তি বৈধ। আর ওমর ও বকরের মধ্যকার ভূমি পরিবর্তন চুক্তি যেহেতু যায়েদের সম্মতিতে হয়েছে, তাই বকরের থেকে যায়েদের ক্রয়কৃত ‍ভূমির মালিকানা  ওমরের জন্য প্রতিষ্ঠিত হবে। এমতাবস্থায় বকরের ওয়ারিছদের জন্য ওমরের জমি জবর দখল করা বৈধ হবেনা। তবে যেহেতু দলিল প্রমানের ঝামেলা রয়েছে তাই বিষযটা আদালতের মাধ্যমে স্বাক্ষী প্রমানের ভিত্তিতে সমাধান করে নেয়া শ্রেয়।

 

– আল ফিকহুল হানাফী ফি সাওবিহিল জাদীদঃ-৪/১৪, আল বাহরুর রায়েকঃ-৫/৪২৯, ফাতাওয়া হাক্কানিয়াঃ-৬/৩২,

Leave Your Comments

Your email address will not be published. Required fields are marked *