#মাওলানা_সাদ_সাহেবের_অনুসরণ_করা_জায়েয_নয়।
-মাওলানা আবদুল মালেক দা.বা.
শিক্ষাসচিব ও বিভাগীয় প্রধান. তাখাসসুস ফি উলূমিল হাদিস, মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়া, ঢাকা।
====================================
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় গবেষক আলেমে দ্বীন, আরব-আজমের সুপরিচিত হাদীস শাস্ত্র গবেষক মাওলানা আবদুল মালেক সাহেব সম্প্রতি আরব ভাইদের উদ্দেশে একটি সংক্ষিপ্ত ওয়াদাহাতি বয়ান দিয়েছেন। সে বয়ানে তিনি বলেছেন, “সাদ সাহেব তার বয়ান ও আলোচনার মাঝে এমন নিত্যনতুন উদ্ভট বিষয় নিয়ে আসছেন, যা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআর মানহাজ, জমহুর উলামা, মুফাসসিরিন, ফুকাহা ও মুহাদ্দিসিনের মানহাজের পরিপন্থী। যার পরিপ্রেক্ষিতে শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা তার অনুসরণ-আনুগত্য জায়েয মনে করি না। তার বিকৃতি ও বিভ্রান্তির তালিকা এতোটাই দীর্ঘ যে, এখন সেগুলো বলে শেষ করা যাবে না।”
হযরতের বয়ানের লিংক কমেন্টের ঘরে পাবেন।
সবার সুবিধার্থে হযরতের বয়ানের আরবি ও বাংলা অনুবাদ এখানে উপস্থাপন করছি।
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته
أنا العبد الضعيف محمد عبد المالك، أمين شؤون التعليم بمركز الدعوة الإسلامية داكا، ورئيس التخصص في علوم الحديث الشريف.
أنا اقدّم إلى حضراتِكم كلمة ابتغاء مرضاة الله سبحانه وتعالى. تلك الكلمة تتعلق بأمر الدعوة والتبليغ، كما تعرفون الأحوال في العالم كله، فكلمة موجزة إلى حضراتكم أن أهل العلم في شبه القارة الهندية أعرف بأحوال ما حدث في “نظام الدين” وأقوال الشيخ سعد الكاندهلوي، فجمهور العلماء والفضلاء والفقهاء في الدين الناصحون للأمة متفقون في هذا الأمر أن الشيخ سعد خرج عن المنهاج والمسلك الذي سلك عليه أكابر التبليغ كالشيخ إلياس رحمه الله تعالى والشيخ يوسف رحمه الله تعالى والشيخ إنعام الحسن رحمه الله تعالى، فهو في خطاباته وبياناته يأتي بأمور محدثة خارجة عن منهج أهل السنة والجماعة وعن مسلك جمهور العلماء من المفسرين والفقهاء والمحدثين. فبناءً على هذا نحن من الناحية الشرعية لا نرى جائزا ان يُّقلّد و يُّتبع، و في ذكر انحرافاته طول لا يسعه الآن، إنما هو نقدم في اللقاء بعدا، إنما فصّلت الأمور في مكاتيب الأكابر كالشيخ إبراهيم والشيخ أحمد لات والشيخ يعقوب، وغيرهم، لعلها تُرجمت إليكم إن شاء الله تعالى.
فالكلمة الأخيرة هي أن نكون مع الأكابر الذين هم على منهاج الشيوخ الثلاثة، الذي هو منهج أهل السنة والجماعة، ومنهج السيرة الطيبة ومنهج الصحابة، ولا نتبع من شذّ، فإن الوعيد الشديد على من شذّ، هذه هي الكلمة الأخيرة.
فنرجو دعواتكم وندعو لكم إن شاء الله تعالى، وآخر دعوانا أن الحمد لله رب العالمين، والصلوة والسلام على سيد المرسلين وعلى آله وأصحابه أجمعين، السَّلام عليكم ورحمة الله وبركاته.
“আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
আমি অধম বান্দা মুহাম্মদ আবদুল মালিক। শিক্ষাসচিব ও বিভাগীয় প্রধান. তাখাসসুস ফি উলূমিল হাদিস, মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়া, ঢাকা।
আমি একমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার সন্তুষ্টি চেয়ে আপনাদের সমীপে কিছু কথা নিবেদন করব। কথাগুলো দাওয়াত ও তাবলীগ সম্পর্কে। পুরো পৃথিবীর হালত সম্পর্কে আপনারা অবহিত আছেন। আপনাদের সমীপে সংক্ষিপ্ত কথা হলো, নিযামুদ্দিন মারকাযে সম্প্রতি যেসব কাণ্ড ঘটেছে এবং শায়খ সাদ কান্ধলভি যেসব কথা বলছেন, সেগুলো সম্পর্কে ভারতীয় উপমহাদেশের উলামায়ে কেরাম সম্যক অবগত।
জমহুর উলামায়ে কেরাম, দ্বীনের ফুকাহায়ে কেরাম ও গুণীজন- যারা উম্মতের কল্যাণকামী- তারা সবাই এ কথার ওপর একমত যে, শায়খ সাদ সেই মানহাজ ও মাসলাক থেকে বের হয়ে গেছেন, যেই মাসলাকের ওপর তাবলীগের মুরুব্বিগণ, যথা শায়খ ইলয়াস রহ. শায়খ ইউসুফ রহ. ও শায়খ ইনআমুল হাসান রহ. আজীবন চলেছেন। সাদ সাহেব তার বয়ান ও আলোচনার মাঝে প্রতিনিয়ত এমন নিত্যনতুন উদ্ভট বিষয় নিয়ে আসছেন, যা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআর মানহাজ, জমহুর উলামা, মুফাসসিরিন, ফুকাহা ও মুহাদ্দিসিনের মানহাজের পরিপন্থী। যার পরিপ্রেক্ষিতে শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা তার অনুসরণ-আনুগত্য জায়েয মনে করি না। তার বিকৃতি ও বিভ্রান্তির তালিকা এতোটাই দীর্ঘ যে, এখন সেগুলো বলে শেষ করা যাবে না। পরবর্তী সাক্ষাতে আমি তা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। শায়খ ইবরাহিম, শায়খ আহমদ লাট ও শায়খ ইবরাহিমসহ প্রমুখ আকাবিরগণ তাদের চিঠিপত্রে সেই বিষয়গুলো সবিস্তারে আলোচনা করেছেন। আল্লাহ চাহেন তো সম্ভবত সেগুলোর অনুবাদ আপনাদের কাছে পৌঁছে যাবে।
আমার সর্বশেষ কথা হলো, আমরা আমাদের সেসব আকাবির ও মুরুব্বিদের সঙ্গে থাকব, যারা পূর্বের তিন হযরতজির মানহাজের ওপর থাকবেন। এই মানহাজই হলো আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআর মানহাজ। এটাই সীরাতুর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মানহাজ। এটাই সাহাবায়ে কেরামের মানহাজ। আমরা এমন ব্যক্তির অনুসরণ করব না, যিনি জমহুর উম্মত থেকে বিচ্ছিন্ন। কেননা যারা বিচ্ছিন্ন হবে, তাদের ব্যাপারে সাংঘাতিক শাস্তির ঘোষণা রয়েছে। এটাই আমার সর্বশেষ কথা।
আশা করি, আপনারা আমাদের জন্যে দুআ করবেন। ইনশাআল্লাহ, আমরাও আপনাদের জন্যে দুআ করব।
আমার সর্বশেষ আহবান হলো, সকল প্রশংসা সকল জাহানের রব আল্লাহর জন্যে। দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক নবীকুলসর্দার মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরিবার ও তাঁর সকল সঙ্গীদের ওপর। আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু”
Leave Your Comments